সকাল থেকে মোটামুটি কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকার
বাঙালি (মূলত) মেট্রো চেপে ঘুরেছে। রানাঘাট বা ব্যান্ডেল, বজবজ বা ডানকুনি সব
লোকাল ট্রেনই প্রায় মেট্রো। কয়েকদিন ধরে চলা ভাগাড়ের মাংস থেকে সোজাসুজি তরুণ-তরুণীর আলিঙ্গন।
গত কয়েকদিন ধরে যতবার ভাগাড়ের মাংস আলোচনায় এসেছে
ততবার আমাদের ঘেন্না পেয়েছে। ততবার আমাদের রাগ হয়েছে। ততবার আমাদের সন্দেহ জেগেছে।
কখনও রাগ হয়েছে নিজেদের উপর। কেউ কেউ ভেবেছি পঞ্চাশটাকায় বিরিয়ানি খাওয়ার সময় কেন
মাথায় এলো না এত সস্তায় দেয় কী করে! কেউ সেই রাগ গড়িয়ে
দিয়েছি অসাধু চক্র আর বিরিয়ানির দোকানদারের উপর।
ঠিক সেই সময়ই দুটো তরতাজা শরীর এবং তাদের
'আলিঙ্গন' জিভে নতুন টেস্ট জুগিয়েছে। সমাজ, সংস্কৃতি, প্রতিবাদ, প্রতিরোধের মতো চোখা চোখা শব্দ উঠে এসেছে। কেউ কেউ
বলেছেন "প্রকাশ্যে মূত্র ত্যাগ চললেও কিছু হয়না আর প্রকাশ্য আলিঙ্গনেই যত্ত
আপত্তি।"
আপনার বাড়িতে ডায়াবেটিক রোগী আছে? দেখেছেন
প্রস্রাব পেলে তাদের কী অবস্থা হয়? ধরুন প্রকাশ্যে সেই রোগী প্রস্রাব করছেন।
উপায়হীন হয়ে প্রস্রাব করছেন। তার কী সাজা হওয়া উচিৎ? মুশকিল হলো তাকে দেখে অন্য
একজন স্বাভাবিক লোক পাশের দেয়াল ভিজিয়ে দেবেন। আর কিছু বললে যুক্তি আসবে "কেন
উনি যে মুতে গেলেন!"
আসলে আমরা মানসিক ভাবে দীন। আমরা চেতনার অনগ্রসর
শ্রেণি। আমরা অজান্তে চুমু বা আলিঙ্গনের সঙ্গে প্রস্রাবের তুলনা করি। আমরা ভাবিনা
এই মেট্রোতেই বুকের দুধ শূন্য হয়ে যাওয়া
মায়ের সন্তান কাঁদছে দেখে অন্য এক সদ্যজাতর মা ব্রেস্ট ফিডিং করিয়েছে। কলকাতা
কার্যত মিনিবাসে পরিণত হচ্ছে। আগমার্কা কালচার কাকুরা আমাদের পিছন দিকে হাঁটাতে
চাইছেন।
এখানে ভাগাড়ের মাংস হজম করে ফেলা লোক আলিঙ্গনের
অযাসিডিতে কাবু। ঘিলুতে জেলুসিল না দিলে নিজেদের বমি আহা কী সুন্দর বলে চাটতে হবে।
No comments:
Post a Comment