ব্লগ-টগ

প্রকাশ্যে আত্মপ্রকাশের ঘরোয়া সূত্র

Post Page Advertisement [Top]

To Place your advertisement here call - +917980316633/+918145704098


প্রেম-ভালবাসা এমন একটা অনুভূতির নাম যা আমরা হৃদয়ের খুব গভীরে পুষতে থাকি!কেউ হয়তো তার ভালবাসার মানুষটাকে কোনোদিন সেই গুপ্ত-সুপ্ত স্বপ্নময় কথা টা বলতেই পারেনা,কেউ হয়তো সারাদুনিয়াকে জানিয়ে দেয় তার সেই স্বপ্ন মাখা অনুভূতির কথা।কেউ হয়তো অপেক্ষা বুকে বয়ে নিয়ে বেড়ায় বছরের পর বছর।

তবে আমরা সবাই চাই সেই মানুষটাকে জানিয়ে দিতে তার প্রতি আমাদের জমানো সুপ্ত 
অনুভূতি যেমন সুপ্ত থাকে ঝিনুকের বুকে মুক্ত!আজকাল প্রেম-ভালবাসা টা হয়ে উঠেছে মুঠো ফোনের 
আলাপচারিতায়,ক্ষুদে বার্তায়,সোশ্যাল মিডিয়া অথবা হোয়্যাটসআপ কে কেন্দ্র করে। আর এই প্রযুক্তির ভীড়ে একসময়কার ভালবাসা প্রকাশের মাধ্যম প্রেমপত্র হারিয়ে গেছে! বিকেলের সোনালি পড়ন্ত আলোকে সাক্ষী রেখে হাতে হাতে পৌঁছে যাওয়া সেসব প্রেমপত্র আজকের প্রজন্মের কাছে হয়তবা অচেনা।

তখন প্রেমপত্রে যেন শুধু ভালবাসা না প্রিয় মানুষটার কাছে পাঠানো হত স্পর্শ আর সুবাস।শত শত মুহূর্তের অপেক্ষার পর একটা পত্র এলে মনে হত সব সুখ এসে  দুনিয়াটাই রঙিন করে দিয়েছে।
সব দেশেই এরকম প্রেমপত্রের প্রচলন ছিল।তাই সব ভাষায় এ পত্র লেখা হতো।আর ভালবাসা 
এরকম ই যে বড় বড় যোদ্ধার ও মন জুড়ে কারো না কারো জন্য একটা সুপ্ত অনুভূতি থাকে আর তার কঠিন হৃদয়ের ভাষার জন্যেও কেউ হয়তো অপেক্ষা করে থাকে।এই প্রেমপত্র গুলোও জগৎ সেরা হয়।এরকমই টি সেরা প্রেম পত্রের সাথে আজ  আপনাদের সাক্ষাৎ করাবো।আর এই প্রেমপত্র সব প্রেমিকা বা প্রেমিকের কাছে অনেক বড় সম্পদ,বার বার করে পড়তে পড়তে মুখস্ত হয়ে গেলেও যেন মনে হয় আরো অনেকবার সেই অক্ষরে মোড়ানো ভালবাসার স্পর্শ নিই।

প্রযুক্তির উৎকর্ষে চিঠিপত্র এখন জাদুঘরের উপাদান হলেও একসময় পৃথিবী কাঁপানো মহানায়করাও প্রেমপত্র লিখেছেন। নেপোলিয়ন বোনাপার্ট খেকে শুরু করে কবি কীটস, চার্চিল থেকে হেন্ড্রিক্সের সে প্রণয়প্রস্তাব চিরকালই রোমান্সের শ্রেষ্ঠ শিহরণ দিয়ে যাবে৷ 



চার্লি ইয়ামসের ভালোবাসায় পরিপূর্ণ বিয়ের প্রস্তাব সম্বলিত চিরকুট
আমি এখন চৌত্রিশের কোঠায় দাঁড়ানো তোমার মায়াময় রূপের বাঁধনে বুক ভাঙা এক পাগল যুবক। আমি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি। এতটাই উন্মত্ত আমার এ ভালোবাসা। এখন চূড়ান্ত পরিণতির প্রহর গুনছে ঘর বাঁধার স্বপ্ন নিয়ে। আমার এ দরিদ্র ভালোবাসা হয়তো তোমাকে রাজপ্রাসাদের সুখ গড়ে দিতে পারবে না, তবুও আমৃত্যু চেষ্টা করে যাবে তোমার মুখের হাসি অম্লান, অক্ষত রাখতে।হে প্রেয়সী, দেবে কি আমাকে সে সুযোগ তোমার অনামিকায় আমার দেওয়া আংটি পরাতে? তোমার অনামিকা অঙ্গুলির আংটির মাপই আমার স্বপ্নের উত্তর।
উত্তরের প্রত্যাশী।
তোমারই অনেক অনেক ভালোবাসার
চার্লস

ফেনি ব্রাউনীকে দেওয়া জন কিটসের ভালবাসাময় অপেক্ষার প্রেমপত্র
আমার মিষ্টি ভালোবাসা,
আগামীকাল তোমার মোহনীয় মুখখানা দেখার পূর্ব মুহূর্তের প্রতিটি সেকেন্ড যেন এক একটি যুগের অপেক্ষার মতোই ধৈর্য্য পরীক্ষা।
তোমার সৌন্দর্যের আবছায়া যেন আমার অনুভবেই গড়া।
তোমার ভালবাসার আবেশ যেন আমার সমস্ত হৃদয়কেই চুরি করা।
আমার প্রিয় ফেনি
ভালোবাসা রইলো
তোমারই জে. কে.

১৮১৯ সালের আগস্ট মাসে তেরেসাকে দেওয়া কবি লর্ড বায়রনের প্রেমপত্র
প্রেমময়ী,
আমি তোমার মনের বাগানে ঘুরে ঘুরে তোমারই অনুভূতির ডানায় চড়ে বেড়িয়েছি। কারণ আমি তোমায় ভালোবাসি, আমি বুঝে নিয়েছি তোমার বাগানকোণে আমার প্রতি জমানো তোমার ভালোবাসা। শুধু মুখের আগল খুলে একবার বল, আমায় ভালোবাসো! সে কথা শোনার অপেক্ষার প্রহর গুনছি।
তোমারই প্রিয়

লিও টলস্টয়ের ভেলেরিয়া আরসেনাভকে দেওয়া প্রেমময় চিঠি
প্রিয়ন্তি,
আমি তোমার সৌন্দর্যে উদ্ভাসিত, বিমোহিত। আমার এ ভালোবাসা অপার্থিব। পৃথিবীর কোনো কিছুই টলাতে পারবে না আমার এ ভালোবাসাকে। পৃথিবীর কোনো কিছুই সহজলভ্য নয়। সেরূপ তোমার প্রতি আমার প্রেম বন্দনাও আমার সাধনা।
তোমারই লিও

প্রেমিকার উদ্দেশ্যে সুরসম্রাট বেটোফোনের হৃদয় উৎসারিত প্রেমপত্র
ভালোবাসা সবকিছুরই দাবীদার। সে দাবীর দোহাই রেখেই বলছি- আমি শুধুই তোমার, আর তুমিও কেবলই আমার।
তোমারই
বেটোফেন

ভালবাসার নায়িকা জোসেফিনকে লেখা নেপোলিয়নের  আবেগময় চিঠি
নেপোলিয়নের মতো তুখোড় যোদ্ধা কি করে একজন অসাধারণ প্রেমিক হতে পারেন সেটা তার প্রিয়তমা স্ত্রীকে লেখা চিঠি না পড়লে বোঝা অসম্ভব! তিনি প্রায় ৭৫ হাজার চিঠি লিখেছেন যার বেশির ভাগ ছিল যুদ্ধের ময়দান থেকেই জোসেফিনকে (পরবর্তীতে তার স্ত্রী) দেওয়া। একজন যোদ্ধার মনেও যে কি পরিমাণ প্রেম থাকতে পারে তার প্রতীক বহন করে এই চিঠিগুলো।জোসেফিন, আমার জোসেফিন,
গতকাল সারাটি বিকেল কাটিয়েছি তোমার পোট্রেটের দিকে চেয়ে থেকেই। কী করে পারো তুমি বলতো এই কঠোর মনের যোদ্ধার চোখেও জল আনতে? আমার হৃদয় যদি একটি পাত্র হয়, তবে সেই পাত্রে ধারণ করা পানীয়ের নাম দুঃখ। তুমি কি তা বোঝো জোসেফিন? আবার কবে তোমার আমার দেখা হবে? সে অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হতেই চায় না! সে অপেক্ষায়…
তোমারই
নেপোলিয়ন বোনাপার্ট

স্ত্রী ক্লেমিকে লেখা উইনস্টন চার্চিলের এক প্রেমপত্র
স্বামী ও স্ত্রীর মাঝে বিয়ের পর প্রেম নাকি উবে যায়। এই কথার অসত্যতার প্রমাণ মেলে মূলত স্ত্রী ক্লেমিকে লেখা চার্চিলের এক প্রেমপত্রের ছত্রে ছত্রে।
আমার প্রিয় ক্লেমি,
আমার মন পড়ে রয়েছে মাদ্রাজের ছোট্ট এক টেবিলে, যেখানে বসে বসে তুমি গত পত্রখানায় লিখেছো যে, আমি নাকি তোমার জীবনকে আলোকিত করেছি। চিঠিখানা পড়ে নির্বাক আমি বসে রইলাম কিছুক্ষণ। একমাত্র আমিই জানি, তোমার কাছে আমি কতটা ঋণী। আজ আমি যেখানে দাঁড়িয়ে, তার সবটাই তো তোমারই দান। কত ঝড় এলো জীবনে। কিন্তু তুমিই আমার শিখিয়েছো কী করে ঝড়ের রাতেও রত্ন কুঁড়াতে হয়। সব ঝড়ের রাতে কুড়ানো রত্ন জমিয়ে রেখেছি ক্লেমি তোমায় দেবো বলে। কবে আবার দেখা হবে আমাদের? তোমার স্মৃতি আর ভালবাসা নিয়েই আমার বেঁচে থাকার প্রতিটি নিঃশ্বাস পড়ে। কখনও বদলে যেওনা যেন।
একান্তই তোমার
চার্চিল



No comments:

Post a Comment

Bottom Ad [Post Page]

To Place your advertisement here call - +917980316633/+918145704098