ব্লগ-টগ

প্রকাশ্যে আত্মপ্রকাশের ঘরোয়া সূত্র

Post Page Advertisement [Top]

To Place your advertisement here call - +917980316633/+918145704098

মুহূর্তের আত্মপরিস্থিতি। জটলার মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি একা, ডাহুকের ডাক হতাশ করল এবারো। ছন্ন ছেড়ে আসি, পথের ধূলায় ফাঁপা তেজ পড়ে থাকে। সুশৃঙ্খলিত অরাজকতা নাকি অবিন্যস্ত অসংবদ্ধ? কিয়ারো-র ছবিটার কথা...
paintings by U.S. servicemen and women that will be unveiled to the public

A translation from Sohrab Sepehri’s “Address”


ঠিকানা
অনুবাদ- ঋতব্রত ঘোষ


ফুটফুটে জ্যোৎস্নায় ভোরের আলো ফুটেছে বলে ভ্রম হয়েছিল,
ঠিক তখুনি চালক জিজ্ঞাসা করল -
বন্ধুর বাড়ি কোন দিশায়?
Where is the friend’s house?
এই নামে ছবি করেছিলেন একখান কিয়ারোস্তামি, আদরের কিয়ারো আমার।
নাম রেখেছিলেন -  বন্ধুবাড়ি কোন দিশা?
শোহরাবের থেকে পাক্কা বারো বছর ধরে ছোট, কিশোর বয়স থেকেই তার alter-ego
অদ্বিতীয় দ্বৈত সত্ত্বার প্রতি-অহমিক জটিলতা,
শোহরাব লিখলেন -
ফুটফুটে জ্যোৎস্নায় ভোরের আলো ফুটেছে তাই ভ্রম হয়েছিল,
ঠিক তখুনি চালক জিজ্ঞাসা করল -
বন্ধুর বাড়ি কোন দিশা?
আকাশো গহীনে থমকে দাঁড়াল,
পথিক এক, নির্জনে
ধূ ধূ বালিয়াড়ি, নিশীথে
আলোকশাখার স্টকটিকে মুখে এঁটে ধরে পথ দেখাল
তর্জনী তুলে নির্দেশ করেছিল মগডালের দিকে
বলেছিল - এ মহীরুহের শিখরে পৌঁছানোর আগে
ইতিমধ্যে পড়বে এসে এক অ্যাভিনিউ এর প্রান্তে
ঈশ্বরীর স্বপ্নের চাইতে সবুজ সেখানকার সবকিছু,
আর ওই বাগানপথে জানো,
যতদূর পাখা মেলে গ্লাইড করতে করতে,
এয়ারোফয়েলে ভাসতে ভাসতে
যেতে পারো বাজপাখির পিঠে চেপে
দেখবে ভালবাসার রঙ নীল।
বাজ না পারলেও তুমি কিন্তু একদিন পৌঁছে যাবে ওই রাস্তাটা মানে  অ্যাভিনিউ এর শেষ সীমায়
তোমার তখন কৈশোর পেরিয়ে গেছে
একাকীত্বের মল্লিকাবনে তুমি নিস্পন্দ,
দুই পা দুই পা করে যেখানে মুকুল ফুটে রয়েছে.....
সুপ্রাচীন গল্পগাথায় ঘেরা পাহাড়ের নীচু কোল ঘেঁষে চলচ্ছক্তি তোমার হ্রাস করে আসে,
তুমি থেমে রইলে এখানে, রয়ে গেলে
জলের মতন স্বচ্ছ এবং একা একটা ভয় এসে সেঁধোয়, মুড়ে ফেলতে চায় তোমায়,
আবহমান পরিসরের অন্তরঙ্গে
যেন শুনতে পেলে শুকনো পাতায় পাতায় হেঁটে যাওয়ার খসখস,
ছোট্ট শিশুটির সাক্ষাত পেয়েছ বলে ওপর দিকে তাকালে,
ও তখন হুই তালগাছটার ডগায়,
মুঠোয় তার মুরগির ছানা,
আলোর বাসা থেকে উদ্ধার করেছে সেটিকে,
আলোর দিকে তাকিয়ে তুমি উথলে ওঠো,
শিশুকে জিজ্ঞাসা করেছ,
বলতে পারো আমার সখার বাড়ি কোনদিকে? কোথায় আছে তার বাসা?

নিবিয়ে দিই সুইচ, স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে কাঁচ জুড়ে দেখা মোমের আলো, সেপেইরির কবিতা পাঠ শেষ হবার আগেই।
না-হওয়া কিছু কথা, মৃৎপ্রবৃত্তি ওখানে জলপ্রপাতের জন্ম হয়। লোকায়ত মতে একে তুষ্টি বলে? কি জানি কী বলে। মনে রাখতে পারি না। কানেও ভাল শুনি না আজকাল। চোখের শক্তি কমেছে। মাথা ঘামে না। আজকাল তেমনভাবে দিন কাটে না।
কারো নই আমি, কারো প্রয়োজনে, বিষাদে, আড়ালে আবডালে স্বয়ংক্রিয় হতে চাই যদি। বোধ উধাও করতে চেয়ে কেউ আমার অক্ষ্যে, তড়িঘড়ি সামলে নিতে নিজের অবক্ষয়ী ডানাদুটি পাট করে রাখি। সুকুমারহি প্রলেপ মাখাই খুব করে। পাট করা ডানায়। থতমত অগত্যা জটলা ক্ষীণদৃষ্ট হয়, চোখের বাইরে দৃশ্য তখন মনমাতাজ রূপ নিয়েছে। তখনো আমার অনুভূতি জুড়ে কুয়াশার ছাই।দূরাশার আক্ষেপ। মৃদুময় গ্লানি বয়ে চলেছি, বিবাদ অনুল্লেখ। অভ্যন্তরে ভিন্ন দৃষ্টি। সেখানে জমাট, জবুথবু। অক্ষ্যে বরং নিহারিকার প্রত্যেক স্তর। হাল্কা বলয়ের প্রান্তরে প্রত্ন পর্যন্য প্রলেপ। কতটা যেনঅন্তর্লীন, আপন প্রবাহে বুঁদ হয়ে আছে। আমিও ধানিষ্ঠ, একাগ্রে উচ্চমূর্ধায় আসীন হয়ে বসি। এভাবে কিছুটা অনর্গল
ছত্রাখান হতে থাকছি ক্রমশ। এক একটি ফ্র্যাকটালাইজড্ উপাদান আনুমানিক, মৃত কক্ষের অবসাদ জীবনের পালাগান আর যেখানে প্রতিধ্বনিত, দুটি কর্মক্ষেত্রে সমানে চরম মুহূর্তেরঅপেক্ষায়....সৃজনের রণভূমিতে আমি মূক দৃশ্যের প্রহসন দেখি, শব্দ পৌঁছত নি মীন্ কিছু চকিত রশ্মি সুটসাঁট বেরিয়ে গেল, আমার কিছু মুখরতা দীনতা চোখেও ঝাপসাটে ভাব আসে। তার ওপরমকরযুগের প্রকাণ্ড মাছ, নিছন্তিকা, তার মাথাটা এত বড় আর ছুঁচালো যে প্রতিটা চোখের কৌণিক মানে দুই পরম্পরাগত বৈশিষ্ট বিশেষ রতনলীলা। কৌমার্যের পক্ষপাত, ঘৃণার উপমা। বড় ত্যাঁদড় মাছকেওছেড়ে দেয় না ভক্ষ্য বানাতে, এমন মাছের অন্যায় নীতি। ভাগাড়ের সান্নিধ্যে  বিশ্বের গোলকের মধ্যেও এমনটি, একটি দুটি তারাটি
হয়ত বদল বদরি হয়ে গেল। ফুরুৎ করে গা ঘেঁষে, লোমশ পায়ের তালুতে গ্রিট্ পরে রাখি, যদি নাচতে বলে তালের পর তাল। নিছক বেহালে। আসল কারণটা হল, আমরা ভয় পেতে ভুলে গেছি। দুঃসাহস পেয়ে বসেছে আমাদের। ভয় নেই বলে রঙহীন হয়ে গেছে দিনগুলো। ভয়ার্ত মানুষগুলোকে দেখতে পাই, রঙীন লাগে যখন আতসকাঁচে চোখ লাগাই। ফোকাস্ করা যাচ্ছে না।
কেউ কথা রাখল না
চব্বিশ ঘণ্টা পার হল,
হাতমিছিলে সামিল হয়ে যে যার ঘরে ফিরে গেল,
ভাগাড়ে শবের ওপর বেসামাল পায়ের শব্দ,
বিনোদনের খাবার যাবে আংশিক মেশানো হবে পচা মাংস তাতে।
অন্যদিকে গ্রামের প্রান্তে মাঠের শেষে চাষী ধুঁকছে,
অনাবৃষ্টি আজ পাঁচ বছর একটানা।
এ আমার দায়। এ তোমার।
নিঃসঙ্গ হলেও সে দায় এড়ানো যায় নি।

সাথে সাথে নাচের তালে তালে প্রগতিশীল দেশ
আর দেশের আহম্মক নাগরিক
চাপা-মুড়োনো অষ্টরম্ভার প্রকোপে হতোস্মিয়ান রাস্তা-ধারে ওক তুলছে,
কি জানি চাষীর উচ্ছিষ্ট খাবারে পাওয়া গেছে সেঁকো বিষের যারপরনাই মাত্রা
নাকি, বিয়েবাড়ির রগড়ে গেলা খাবার হজম হতে সময় নিচ্ছে,
চমকে উঠেছে মরা মানুষের প্লীহা,
জলতরঙে তখন অযূথ রাগ আর এ কেমন মেঘ করল বিনা দ্বিধায়!
নির্বাচনে নিঃসম্ভার এক জাতীয় দলের রাস্তা জুড়ে শোভাযাত্রা চলে গেল।
দেশ উন্নতি করছে।
দেশের মানুষ পচা-গলা লাশের মতন অসুখ অথবা রোজনামচা কলাকুলি করে রোজ সকালে বেসিন-প্রদেশে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে বলছে, গণতন্ত্র নিপাত যাক।
আর ছড়ছড় করে কলের জল পয়ঃপ্রণালী বেয়ে রাস্তার নালায়,
যেখানে আমাদের হাত মিছিল সবে মাত্র সমাপ্ত হয়ে গেছে,
কূলূধ্বনি করে আবর্জনা এবং ভিখারী শরীর জড়িয়ে মড়িয়ে একতাল চর্বির মতো মিলিত হচ্ছে গঙ্গা, সিন্ধু, নর্মদায়।





BlogTog is a new forum for creativity. We are trying to set a benchmark for all the independent talents so that they can freely flaunt their skills without any pressure. We will be glad if you lend your hand to support us in seeing into the future. Click on this Link - http://p-y.tm/P8c2Coihd


No comments:

Post a Comment

Bottom Ad [Post Page]

To Place your advertisement here call - +917980316633/+918145704098