টিম রিভিউ:অ্যাটলান্টিক
তীরবর্তী পশ্চিম আফ্রিকার একটি ছোট দেশ হল সেনেগাল।এবারের বিশ্বকাপের যোগ্যতাঅর্জন
পর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে মাদাগাস্কারকে ৫-২ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে পরবর্তীতে তৃতীয়
রাউন্ডে পৌছে একটিও ম্যাচ না হেরে গ্রুপ শীর্ষে থাকায় সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট
পেয়ে যায়।
বিশ্বকাপে সেনেগাল:
"লায়ন্স অফ টেরাংগা" নামে স্বল্পপরিচিতি লাভ করা সেনেগালের প্রথম
বিশ্বকাপের মঞ্চে পদার্পণ ২০০২ সালে। সেবার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ওবদি পৌছে
সকলকে চমকে দেয় সেনেগাল। এরপর,দীর্ঘ ১৬
বছরের প্রতীক্ষার পর ২০১৮ সালের রুশ বিশ্বকাপের যোগ্যতাঅর্জনে সমর্থ হল তারা।
এবার একনজরে দেখে নেওয়া যাক এবারের সেনেগালের জাতীয় ফুটবল দলের
খুঁটিনাটি ---
কোচ: প্যারিস সেইন্ট
জার্মেইন,লিলি,মন্টপেলিয়ারের
মত ক্লাবে খেলা সেনেগালের প্রাক্তন বিশ্বকাপার আলিওউ সিসে এবারের সেনেগালের জাতীয়
দলের মূল প্রশিক্ষককের দায়িত্বে আছেন। তাঁরই অধিনায়কত্বে সেনেগাল ২০০২ সালের
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ওবদি পৌছায়। অতীতে তিনি সেনেগালের অনুর্দ্ধ ২৩ জাতীয়
দলের সহকারী কোচ এবং পরবর্তীতে মূল প্রশিক্ষকের দায়িত্বও পান।
গোলরক্ষক:সেনেগাল জাতীয়
দলের অন্যতম অনভিজ্ঞ জায়গা গোলরক্ষক। ক্লাব ফুটবলে হোরোয়া অ্যাথলেটিক ক্লাবে খেলা
বর্ষীয়ান গোলরক্ষক খাদিম এন্ডিয়ায়ে সম্ভবত রুশ বিশ্বকাপে প্রথম পছন্দ হিসেবেই
যাচ্ছেন।অতিরিক্ত হিসেবে সম্ভবত আব্দুলায়ে ডিয়ালো(রেনেস),অ্যালফ্রড গোমিস(স্প্যাল) এর মধ্যে বেছে নেওয়া হবে।
রক্ষণ:সেনেগালের রক্ষণে
অভিজ্ঞ মুখ বলতে কেবল কালিদৌ কৌলুবালি(নাপোলি),কারা এম্বোজি(আন্ডারলেখ্ট),স্যালিফ সানে(হ্যানোভার
৯৬) ইত্যাদি। বাকিদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিজ্ঞতা সীমিত।
মাঝমাঠ: সেনেগালের
মাঝমাঠে অভিজ্ঞদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য নাম হল
ইদ্রিসা গুয়ে(এভার্টন),বাদৌ
এন্ডিয়ায়ে(স্টোক সিটি),শেইখৌ কৌয়াতে(ওয়েষ্টহ্যাম ইউনাইটেড)
ইত্যাদি।
আক্রমণভাগ:সেনেগালের
আক্রমণভাগের বৈচিত্র ও অভিজ্ঞতা অন্য বিভাগের থেকে তুলনামূলকভাবে অনেকটাই বেশি।
লিভারপুলের তারকা স্ট্রাইকার স্যাদিও ম্যানে,অভিজ্ঞ মৌসা সৌ(বুরাস্পোর),মাম বিরাম ডিওফ(স্টোক
সিটি),মৌসা কোনাটে(অ্যামিয়েন্স),কেইটা
বাল্ডে(মোনাকো),এম্বায়ে নিয়াঙ্গ (টোরিনো) যাদের মধ্যে
উল্লেখযোগ্য নাম।
শক্তি:বিভিন্ন বিভাগে
অভিজ্ঞ তারকা খেলোয়াড়দের থাকা সেনেগালের শক্তিবৃদ্ধি অনেকটাই করেছে।তাছাড়াও,প্রাক্তন বিশ্বকাপার আলিওউ সিসের মূল প্রশিক্ষক হিসেবে থাকাও
সেনেগালকে বিশ্বকাপের মঞ্চে বাড়তি সুবিধা এনে দিতে পারে।
দূর্বলতা: বড়
প্রতিযোগিতায় খেলার অনভিজ্ঞতা সেনেগালের অন্যতম দুশ্চিন্তার কারণ।সেক্ষেত্রে ঘোষিত
গ্রুপের নিরিখে আসন্ন বিশ্বকাপ যে সেনেগালের কাছে চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে,তা বলাই বাহুল্য।
সম্ভবনা:গ্রুপপর্ব থেকে
প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল।
No comments:
Post a Comment