টিম রিভিউ: উত্তর
আফ্রিকার দেশ যুদ্ধবিদ্ধস্ত টিউনিশিয়া এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপের অন্যতম চমক।
বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে মারিটিয়ানাকে হারানোর পর তৃতীয়
রাউন্ডে গ্রুপলিগের ম্যাচগুলিতে রীতিমত আধিপত্য দেখিয়ে সরাসরি বিশ্বকাপের ছাড়পত্র
জোগাড় করে নেয়।
বিশ্বকাপে
টিউনিশিয়া:"দ্য কার্থেজ ঈগলস " নামে পরিচিত টিউনিশিয়া ১৯৫৪ সাল অবদি
ফরাসী উপনিবেশ থাকায় সরাসরি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণে অপারগ ছিল।তাদের প্রথম কোনো
বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ ১৯৭৮ সালে।এরপর,১৯৯৮,২০০২,২০০৬ এ টানা তিনবার
বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে,উপোরোক্ত ৪
বারের কোনো বারেই তারা গ্রুপলিগের গেরো কাটাতে পারেনি।
এবার দেখে নেওয়া যাক টিউনিশিয়ার জাতীয় দলের খুঁটিনাটি ---
কোচ:কুয়েতের প্রাক্তন কোচ
তথা টিউনিশিয়ার এবং আফ্রিকার বিভিন্ন ক্লাবে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নাবিল
মালৌল এবারের টিউনিশিয় জাতীয় দলের মূল প্রশিক্ষক। ইনি আগেও টিউনিশিয়ার জাতীয় দলের
সহকারী কোচ এবং হেড কোচ হিসেবে দুবার কাজ করেছেন।
গোলরক্ষক : আসন্ন
বিশ্বকাপে এই দলের অন্যতম পরীক্ষার জায়গা হতে চলেছে গোলরক্ষক। বর্ষীয়ান গোলরক্ষক আয়মেন মাথলৌথিকে এবার সম্ভবত রুশ বিশ্বকাপে তেকাঠির
নীচে দেখা যাবে। বাকিদের মধ্য বেশিরভাগই আন্তর্জাতিক ফুটবলে অনভিজ্ঞ।
রক্ষণ: টিউনিশিয় রক্ষণেও
নতুন মুখের সংখ্যা বেশি। অভিজ্ঞ এবং আন্তর্জাতিক ফুটবলে পরিচিত নাম বলতে য়োহান
বেনালৌনে(লেস্টার সিটি),ডিলান
ব্রন(গেন্ট) ইত্যাদি। বাকিরা তুরস্ক,মিশর বা অন্যান্য দেশের
ক্লাবগুলিতে খেললেও আন্তর্জাতিক ফুটবলে নতুন।
মাঝমাঠ:অভিজ্ঞতা এবং
তারুণ্যের সমন্বয়ে টিউনিশিয়ার মাঝমাঠ গঠিত হয়েছে।ফারজানি সাশি(আল নাসের) র মত
অভিজ্ঞ নামের পাশাপাশি ইলিয়াস স্খিরি(মন্টপেলিয়ার),মোহামেদ আরবি(টুরস) দের মত নতুন এবং প্রতিভাবানদের দলে অন্তর্ভুক্ত
করা হয়েছে।
আক্রমণভাগ: এই বিভাগেও
নতুনদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।ওয়াখবি খাজরি(রেনেস) ক্লাব ফুটবলে অন্যতম পরিচিত
নাম।এছাড়াও,নতুনদের মধ্যে
বেন ইউসুফ(আল ইত্তিফাক),বাসেম স্রারফি(নিস),নঈম স্লিটি(ডিজন)দের সম্ভবত রাশিয়া বিশ্বকাপের জন্য দলে রাখা হচ্ছে।
শক্তি:যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ
হয়েও টিউনিশিয়া যেভাবে দাপটের সাথে যোগ্যতাঅর্জনপর্বের ম্যাচগুলি
খেলে সরাসরি রাশিয়া বিশ্বকাপের ছাড়পত্র আদায় করে নিয়েছে,তাতে
নিজেদের কাছে নিজেরাই অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে পারে।
এই দলের গড় বয়স কম হওয়াও
টিউনিশিয়ার পক্ষে বাড়তি সুবিধার।
দূর্বলতা:দলে অভিজ্ঞ
নামের সংখ্যা হাতেগোনা। দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ের কাছেই এটি প্রথম কোনো বড়
প্রতিযোগিতা হওয়ায়,আসন্ন বিশ্বকাপ
টিউনিশিয় দলের জন্য যে একপ্রকার "অ্যাসিড টেস্ট" হতে চলেছে,তা বলাই বাহুল্য।
সম্ভবনা:গ্রুপ লিগ।
No comments:
Post a Comment