সাল ২০১৮, বিশ্ব দ্রুতগতির।মোমবাতি থেকে আজ ইলেক্টিসিটি, পালকি
থেকে হাইস্পিড
মেট্রো,বুলেট ট্রেন,
নোকিয়া ১৬০০ ছেড়ে আমরা এখন 4g।
নোকিয়া ১৬০০ ছেড়ে আমরা এখন 4g।
উন্নত শিক্ষা, সংস্কৃতি,সাহিত্য আর বিজ্ঞানের সহাবস্থান যে সভ্যতার বিপুল অগ্রগতির পেছনে তা বলাই বাহুল্য।আর এই অগ্রগতিকে উৎসাহ প্রদানের উদ্দেশ্যকে বিপুল ভাবে উৎসাহিত করে এ জগতের অন্যতম সেরা পুরস্কার নোবেল পুরস্কার প্রদান,অন্তত শেষ শতক থেকে।খুব ছোট্টবেলা থেকেই আমার আপনার সবারই এবিষয়ে রীতিমত কৌতূহলের সীমা ইনফিনিটি।তাহলে আসুন আজকে জেনে নি নোবেল সম্পর্কে কিছু তথ্য। চলুন পিছিয়ে যাই মোটামুটি ১০০ বছরের মত।জায়গাটা সুইডেন ভদ্রলোকের নাম আলফ্রেড নোবেল, একাধারে রসায়নবিদ,কারিগরিবিদ, এবং একজন স্টিল ব্যবসায়ী।এর পাশাপাশি ভালবাসতেন সাহিত্য। এইভাবেই চলছিল, হঠাৎ এক কান্ড ঘটিয়ে বসলেন, আবিস্কার করে ফেললেন ডিনামাইট,যা পরবর্তী ক্ষেত্রে হয়ে উঠলো মারাত্মক বিস্ফোরক।যুদ্ধপ্রবণ বিশ্বে তার ব্যবসার অভিমুখ গেল বদলে।সারাজীবন ধরে রোজগার করে ফেললেন প্রচুর অর্থ।পেটেন্ট নিলেন ৩৫৫ টা। ১৮৮৮ সালে নোবেলের ভাই লুভিগ মারা যান কিন্তু ভুলবশত এক ফ্রেঞ্চ সংবাদপত্র নোবেলের মৃত্যু সংবাদ প্রচার করলো "The merchant of death is dead"এই হেডলাইনে। এতে রীতিমত ধাক্কা খেলেন ভদ্রলোক,এভাবে কেউ তাকে মনে রাখুক তাতো তিনি চাননি কোনোদিন।মৃত্যুর আগে করে বসলেন এক উইল যাতে তিনি তার সম্পত্তির ৯৪% শতাংশ (৩১মিলিয়ন SEK,ডলারে186 million অথবা 150 miliion ইউরো)দান করে দিলেন সুইডিশ একাডেমি কে আর বললেন এবার থেকে প্রতিবছর সাহিত্য,পদার্থবিদ্যা,রসায়ন, মেডিসিন এবং শান্তি বিষয়ে যারা বিশ্বে সর্বাপেক্ষা অবদান রাখবেন তাদের পুরস্কৃত করা হবে।
আলফ্রেড নোবেলের সন্মানার্থে রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমী অব সায়িন্সেস ১৯০১ সালে
প্রথম প্রদান করল নোবেল পুরস্কার(প্রসংঙ্গত বলে রাখি শান্তি পুরষ্কার টা দেয় নরওয়ে
নোবেল কমিটি) এর ৬০ বছর পর 'অর্থনীতি' বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়। এখনো অব্দি ৫৮৫ বার এ
পুরস্কার দেওয়া হয়েছে (২০১৭ অব্দি), পেয়েছেন ৯২৩ জন (বিজ্ঞানী মাদাম কুরি এবং
পাউলিং পেয়েছেন ২ বার করে)এরমধ্য ৪৮জন মহিলা।।সবচেয়ে কম বয়সে এ পুরস্কারের প্রাপক পাকিস্তানের মালালা
ইউসুফজাই (১৭ বৎসর) শান্তি বিষয়ে; এবং সবচেয়ে বেশী বয়সে পেয়েছেন Leonid Hurwicz(৯০
বৎসর) অর্থনীতিতে।সবচেয়ে বেশিবার নোবেল দেওয়া হয়েছে পদার্থবিদ্যায়(১১১ বার)।
আমাদের
দেশে ভারতবর্ষও ছাপ রেখেছে রীতিমত, এসেছে ৮ টি নোবেল। দরজা খুলে দিলেন কবিগুরু
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর(সাহিত্যে,১৯১৩) যা এশিয়ার প্রথম নোবেল।
এরপর থেকে,
২)চন্দ্রশেখর ভেঙ্কটরামন(পদার্থবিদ্যা,১৯৩০),
৩)ড. হরগোবিন্দ খোরানা(মেডিসিন,১৯৬৮)
৪)মাদার টেরেসা(শান্তি,১৯৭৯)
৫) ড.সুব্রনিয়ম চন্দ্রশেখর (পদার্থবিদ্যা,১৯৮৩)
৬) ড. অমত্য সেন (অর্থনীতি,১৯৯৮)
৭) ড. ভেঙ্কটরামন রামাকৃষ্ণান(রসায়ন,২০০৯)
৮)কৈলাস সত্যার্থী(শান্তি ২০১৪),
এরপর থেকে,
২)চন্দ্রশেখর ভেঙ্কটরামন(পদার্থবিদ্যা,১৯৩০),
৩)ড. হরগোবিন্দ খোরানা(মেডিসিন,১৯৬৮)
৪)মাদার টেরেসা(শান্তি,১৯৭৯)
৫) ড.সুব্রনিয়ম চন্দ্রশেখর (পদার্থবিদ্যা,১৯৮৩)
৬) ড. অমত্য সেন (অর্থনীতি,১৯৯৮)
৭) ড. ভেঙ্কটরামন রামাকৃষ্ণান(রসায়ন,২০০৯)
৮)কৈলাস সত্যার্থী(শান্তি ২০১৪),
এছাড়াও জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর নাম নমিনেশন পেয়েছিল শান্তিতে কিন্তু মরনোত্তর না দেওয়ার যুক্ত হতে পারেনি প্রাপকের তালিকায়।
(সূত্র
-গুগল,উইকিপিডিয়া,আরিয়ান্ত ম্যাগাজিন)
No comments:
Post a Comment