শ্রাবণের শুরু হতেই মনটা কিছু পাওয়ার নেশায় মেতে
ওঠে, কখনও বা হারাই হারাই হয়-- কি যেন হারিয়ে যাচ্ছে জীবনের বৃষ্টি ভেজা প্রাঙ্গন
থেকে।
প্রতি শ্রাবণই নিয়ে আসে নতুন ভেজা ফুলের গন্ধ --
শ্রাবণ শেষে সে গন্ধটাও মিলিয়ে যায়--
জীবন থেকে এক একটা শ্রাবণ হারিয়ে যাচ্ছে -- কোথায়
কোনখানে? কে তার খবর রাখে--।
মনকে বলি -- মন মেনে নাও এই হারিয়ে যাওয়া --
হারিয়ে তো যাবেই জীবন তাকিয়ে থাকবে আবার আগামী শ্রাবণের দিকে -- কি খবর নিয়ে আসে
সেই অপেক্ষায় --।
তিথি কলেজ থেকে ফিরে একমনে বৃষ্টি দেখছিল-- এই
শ্রাবণের বৃষ্টিতেই সে জীবনের অনেক কিছু হারিয়ে ফেলেছিল আবার পেয়েওছিল অনেক
কিছু--- শ্রাবণের বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যায় সে হারিয়ে ফেলেছিল নিজেকে অনুপমের কাছে--
দুজনে একই কলেজে পড়ত--- অনুপম তার থেকে দুবছরের সিনিয়র ছিল-- সে ছিল বিজ্ঞানের
ছাত্র, আর তিথি ছিল একবারেই বিপরীত
মেরুর ছাত্রী -- দর্শন নিয়ে সে এম এ পাশ করেছে--- তাও কি করে যে দুজনে দুজনের
প্রেমে পরে গিয়েছিল তা আজ আর মনে পরেনা--। হারিয়ে যে কেন গিয়েছিল কি এক অমোঘ টানে,
আজ তিরিশ বছর পরেও তা মনের ক্যানভাসে ছবি হয়ে জেগে ওঠে একটি হারিয়ে যাওয়া শ্রাবণ
সন্ধ্যা।
ঘটনার পরের দিনই অনুপম তাকে নিয়ে গিয়ে কালি
মন্দিরে বিয়ে করে সিঁদুর পরিয়ে
দিয়েছিল --। পরের দিন বাড়ী চলে গিয়েছিল-- ওর বাবা কৃষ্ণনগরে থাকত-- ওখানকার খুব নাম করা উকিল ছিল-- তাছাড়া ওখানে
ওদের অনেক জমিজমা ও ছিল-- এককথায় বলতে গেলে খুবই অবস্থাপন্ন ঘরের ছেলে-- ও কলকাতায়
মেসে থেকে পড়াশোনা করত। আর তিথির বাবা ছিলেন সরকারের উচ্চপদস্থ অফিসার-- মাও একজন
নামকরা স্কুলের টিচার। -- ওদের পরিবার মানে বাবা মা দুজনেই খুবই আধুনিক মনষ্কের
মানুষ ছিলেন।
তারপর দিন থেকে আর অনুপমকে দেখতে পায়নি --।
অনেকদিন পর তাদের এক কলেজের বন্ধুর হাত দিয়ে অনুপম একটা চিঠি পাঠিয়েছিল-- তাতে
লেখা ছিল বাড়ি এসে দেখে মা তার বিয়ে ঠিক করে রেখেছেন সামনের মাসেই বিয়ে-- তাদের সব
কথা শুনে বললেন এ বিয়ে না করলে মায়ের মরা মুখ দেখতে হবে-- প্রথম চারদিন মাকে
একফোঁটা জল ও খাওয়ানো যায়নি-- বাধ্য হয়ে সে বিয়েতে মত দেয়-- তারপর মা উঠে জল
খান--।
আমার কিছু করার ছিলনা-- কিন্তু এই বেড়া একদিন আমি
ভেঙে ঠিক তোমার কাছে পৌঁছে যাবো --। সে আজ তিরিশ বছর আগের কথা--। তারপর থেকে
জীবনের এক একটা শ্রাবণ চলে যাচ্ছে অনুপম আর আসেনি--।
তিথির বাবা মাই সব দায়িত্ব নিয়ে মানুষ করেন শায়ন
কে -- তার আর অনুপমের সন্তান -- অনুপম শায়নের অস্তিত্বের কথা জানেও না, তিথি ও আর
জানানোর প্রয়োজনবোধ করেনি।
অনুপমের কথা--
তিথি আমি জানি তোমার কাছে আমি এখন জগতের সবচেয়ে
ঘৃণ্য মানুষ কিন্তু আমি যে কতখানি নিরুপায় ছিলাম তা একমাত্র ভগবানই জানেন-- চারদিন
ধরে নিজের মাকে একফোঁটা জল না খেয়ে দেখেও আমি অবিচল ছিলাম কিন্তু যখন দেখলাম মায়ের
প্রেসার ফল করছে, বাবা এসে বললেন -- মাকে না মেরে কি শান্তি হচ্ছেনা? বাধ্য হলাম তখন নিজের ভালোবাসাকে বলি দিতে।
আমি আমার মনের কথা কাউকে বোঝাতে পারিনি-- তুমিও
হয়তো বুঝবেনা -- তাই আমার চিঠির কোন উত্তর পাইনি--। জানিনা তুমি কোথায় আছ, কেমন আছ?
প্রাণহীন ভালোবাসা হীন একটা সংসার জালে আবদ্ধ থাকা
যে কি যন্ত্রণার তা কেউ বুঝবেনা--।
কিন্তু আজ এতদিন পর তোমার কথাই বসে ভাবছি তুমি
জানতেও পারবেনা-- আমার শুধু মনে হয় ভেঙে গেছে আমার শ্রাবণের ভালোবাসা -- ভেঙে
ফেলেছি প্রতিশ্রুতি, শ্রাবণ সন্ধ্যায় বিবাহের অঙ্গীকার -- তোমার কাছে যাবার মতন
মুখ আর নেই -- কি মুখ নিয়ে দাঁড়াবো তোমার কাছে? আমার চোখে এখনও তুমি সেই লম্বা
বিনুনি বাঁধা চঞ্চলা তরুণী -- নাই বা দেখলাম তোমার বার্ধক্যের ছবি--। একটা কথা
স্বীকার না করে পারছিনা আমার স্ত্রী
শ্রুতি বড় ভালো আর সরল মেয়ে -- তোমার কথা ওকে আমি সব বলেছিলাম -- ও সব নিঃশব্দে
মেনে নিয়ে আমায় ভালোবেসেছে-- আমায় অনেক বার বলেছে তোমার খোঁজ করতে, আমিও খুজে ছিলাম, পাইনি তোমায় আর--।
শ্রুতিকে দুবছর ছুঁই
নি -- কিন্তু ওর সহ্যশক্তি মায়া মমতা, গোপন অশ্রু সব আমায় ভুলিয়ে দিল-- কখন যেন
নিজের অজান্তেই ওর কথা ভাবতে শুরু করলাম---
ভাবছো তো? কি অমানুষ আমি? কিন্তু তিথি তুমিই বল-- ওর তো কোন দোষ ছিলনা-- তবুও
নিজের অধিকার নিয়ে কখনও আমায় বিব্রত করে তোলেনি-- নিঃশব্দে সব মানতে মানতে একদিন
কঠিন নার্ভের অসুখের শিকার হয়-- দুটো মেয়ের জীবন আমার জন্য নষ্ট হচ্ছে? নিজের কাছে নিজে প্রশ্ন করি-- আমি কি? আমি কি
মানুষ? সেদিনের শ্রাবণ সন্ধ্যার
বৃষ্টিভেজা স্মৃতি না হয় মিথ্যা হয়ে যাক একজনকে অন্তত ভালো ভাবে বাঁচতে সাহায্য
করি-- এরপরই দুঃখী নিরপরাধ মেয়েটাকে কাছে টেনে নিয়ে তাকে স্ত্রীর সম্মান দি-- ভালো
হয়তো বাসতে পারিনি--- কিন্তু তার প্রতি মায়া মমতা, স্নেহর আমার কোন অভাব ছিলনা--
আমাদের একটি কন্যা সন্তানও হয়--।
শ্রুতিকেও বেশিদিন আমি ধরে রাখতে পারিনি--
দীর্ঘদিনের অযত্নে অবহেলায় ভেঙে পরা শরীর আর জোড়া লাগলো না -- শ্রুতি চলে গেলে
আমায় ছেড়ে -- যেন এক চরম শাস্তি দিয়ে গেল-- যাওয়ার আগে আমায় বলে গিয়েছিল-- "
আর তো কোন বাধা রইল না, এবার দিদিকে ভালো করে খুজে নিয়ে এসো--।
না সত্যি কথা বলতে আজ আর দ্বিধা করবনা তোমায়-- আমি
শ্রুতির স্মৃতিকে মেরে ফেলতে চাইনি-- বরং খুব যত্ন করে বাঁচিয়ে রেখেছি---।
শুধু এই শ্রাবণ সন্ধ্যা গুলোয় মনটা তোমার কাছে চলে
যায়-- অপেক্ষায় থাকি এক শ্রাবণ চলে গেলে আর একটা শ্রাবণের--।
তিথি জানলা ধরে শ্রাবণের বৃষ্টি দেখতে দেখতে ভাবছে
এই শ্রাবণটাও চলে যাবে-- আসবেনা কেউ--।
অন্য শ্রাবণ
পারমিতা চ্যাটার্জী
শ্রাবণের শুরু হতেই মনটা কিছু পাওয়ার নেশায় মেতে
ওঠে, কখনও বা হারাই হারাই হয়-- কি যেন হারিয়ে যাচ্ছে জীবনের বৃষ্টি ভেজা প্রাঙ্গন
থেকে।
প্রতি শ্রাবণই নিয়ে আসে নতুন ভেজা ফুলের গন্ধ --
শ্রাবণ শেষে সে গন্ধটাও মিলিয়ে যায়--
জীবন থেকে এক একটা শ্রাবণ হারিয়ে যাচ্ছে -- কোথায়
কোনখানে? কে তার খবর রাখে--।
মনকে বলি -- মন মেনে নাও এই হারিয়ে যাওয়া --
হারিয়ে তো যাবেই জীবন তাকিয়ে থাকবে আবার আগামী শ্রাবণের দিকে -- কি খবর নিয়ে আসে
সেই অপেক্ষায় --।
তিথি কলেজ থেকে ফিরে একমনে বৃষ্টি দেখছিল-- এই
শ্রাবণের বৃষ্টিতেই সে জীবনের অনেক কিছু হারিয়ে ফেলেছিল আবার পেয়েওছিল অনেক
কিছু--- শ্রাবণের বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যায় সে হারিয়ে ফেলেছিল নিজেকে অনুপমের কাছে--
দুজনে একই কলেজে পড়ত--- অনুপম তার থেকে দুবছরের সিনিয়র ছিল-- সে ছিল বিজ্ঞানের
ছাত্র, আর তিথি ছিল একবারেই বিপরীত
মেরুর ছাত্রী -- দর্শন নিয়ে সে এম এ পাশ করেছে--- তাও কি করে যে দুজনে দুজনের
প্রেমে পরে গিয়েছিল তা আজ আর মনে পরেনা--। হারিয়ে যে কেন গিয়েছিল কি এক অমোঘ টানে,
আজ তিরিশ বছর পরেও তা মনের ক্যানভাসে ছবি হয়ে জেগে ওঠে একটি হারিয়ে যাওয়া শ্রাবণ
সন্ধ্যা।
ঘটনার পরের দিনই অনুপম তাকে নিয়ে গিয়ে কালি
মন্দিরে বিয়ে করে সিঁদুর পরিয়ে
দিয়েছিল --। পরের দিন বাড়ী চলে গিয়েছিল-- ওর বাবা কৃষ্ণনগরে থাকত-- ওখানকার খুব নাম করা উকিল ছিল-- তাছাড়া ওখানে
ওদের অনেক জমিজমা ও ছিল-- এককথায় বলতে গেলে খুবই অবস্থাপন্ন ঘরের ছেলে-- ও কলকাতায়
মেসে থেকে পড়াশোনা করত। আর তিথির বাবা ছিলেন সরকারের উচ্চপদস্থ অফিসার-- মাও একজন
নামকরা স্কুলের টিচার। -- ওদের পরিবার মানে বাবা মা দুজনেই খুবই আধুনিক মনষ্কের
মানুষ ছিলেন।
তারপর দিন থেকে আর অনুপমকে দেখতে পায়নি --।
অনেকদিন পর তাদের এক কলেজের বন্ধুর হাত দিয়ে অনুপম একটা চিঠি পাঠিয়েছিল-- তাতে
লেখা ছিল বাড়ি এসে দেখে মা তার বিয়ে ঠিক করে রেখেছেন সামনের মাসেই বিয়ে-- তাদের সব
কথা শুনে বললেন এ বিয়ে না করলে মায়ের মরা মুখ দেখতে হবে-- প্রথম চারদিন মাকে
একফোঁটা জল ও খাওয়ানো যায়নি-- বাধ্য হয়ে সে বিয়েতে মত দেয়-- তারপর মা উঠে জল
খান--।
আমার কিছু করার ছিলনা-- কিন্তু এই বেড়া একদিন আমি
ভেঙে ঠিক তোমার কাছে পৌঁছে যাবো --। সে আজ তিরিশ বছর আগের কথা--। তারপর থেকে
জীবনের এক একটা শ্রাবণ চলে যাচ্ছে অনুপম আর আসেনি--।
তিথির বাবা মাই সব দায়িত্ব নিয়ে মানুষ করেন শায়ন
কে -- তার আর অনুপমের সন্তান -- অনুপম শায়নের অস্তিত্বের কথা জানেও না, তিথি ও আর
জানানোর প্রয়োজনবোধ করেনি।
অনুপমের কথা--
তিথি আমি জানি তোমার কাছে আমি এখন জগতের সবচেয়ে
ঘৃণ্য মানুষ কিন্তু আমি যে কতখানি নিরুপায় ছিলাম তা একমাত্র ভগবানই জানেন-- চারদিন
ধরে নিজের মাকে একফোঁটা জল না খেয়ে দেখেও আমি অবিচল ছিলাম কিন্তু যখন দেখলাম মায়ের
প্রেসার ফল করছে, বাবা এসে বললেন -- মাকে না মেরে কি শান্তি হচ্ছেনা? বাধ্য হলাম তখন নিজের ভালোবাসাকে বলি দিতে।
আমি আমার মনের কথা কাউকে বোঝাতে পারিনি-- তুমিও হয়তো
বুঝবেনা -- তাই আমার চিঠির কোন উত্তর পাইনি--। জানিনা তুমি কোথায় আছ, কেমন আছ?
প্রাণহীন ভালোবাসা হীন একটা সংসার জালে আবদ্ধ থাকা
যে কি যন্ত্রণার তা কেউ বুঝবেনা--।
কিন্তু আজ এতদিন পর তোমার কথাই বসে ভাবছি তুমি
জানতেও পারবেনা-- আমার শুধু মনে হয় ভেঙে গেছে আমার শ্রাবণের ভালোবাসা -- ভেঙে
ফেলেছি প্রতিশ্রুতি, শ্রাবণ সন্ধ্যায় বিবাহের অঙ্গীকার -- তোমার কাছে যাবার মতন
মুখ আর নেই -- কি মুখ নিয়ে দাঁড়াবো তোমার কাছে? আমার চোখে এখনও তুমি সেই লম্বা
বিনুনি বাঁধা চঞ্চলা তরুণী -- নাই বা দেখলাম তোমার বার্ধক্যের ছবি--। একটা কথা
স্বীকার না করে পারছিনা আমার স্ত্রী
শ্রুতি বড় ভালো আর সরল মেয়ে -- তোমার কথা ওকে আমি সব বলেছিলাম -- ও সব নিঃশব্দে
মেনে নিয়ে আমায় ভালোবেসেছে-- আমায় অনেক বার বলেছে তোমার খোঁজ করতে, আমিও খুজে ছিলাম, পাইনি তোমায় আর--।
শ্রুতিকে দুবছর ছুঁই
নি -- কিন্তু ওর সহ্যশক্তি মায়া মমতা, গোপন অশ্রু সব আমায় ভুলিয়ে দিল-- কখন যেন
নিজের অজান্তেই ওর কথা ভাবতে শুরু করলাম---
ভাবছো তো? কি অমানুষ আমি? কিন্তু তিথি তুমিই বল-- ওর তো কোন দোষ ছিলনা-- তবুও
নিজের অধিকার নিয়ে কখনও আমায় বিব্রত করে তোলেনি-- নিঃশব্দে সব মানতে মানতে একদিন কঠিন
নার্ভের অসুখের শিকার হয়-- দুটো মেয়ের জীবন আমার জন্য নষ্ট হচ্ছে? নিজের কাছে নিজে প্রশ্ন করি-- আমি কি? আমি কি
মানুষ? সেদিনের শ্রাবণ সন্ধ্যার
বৃষ্টিভেজা স্মৃতি না হয় মিথ্যা হয়ে যাক একজনকে অন্তত ভালো ভাবে বাঁচতে সাহায্য
করি-- এরপরই দুঃখী নিরপরাধ মেয়েটাকে কাছে টেনে নিয়ে তাকে স্ত্রীর সম্মান দি-- ভালো
হয়তো বাসতে পারিনি--- কিন্তু তার প্রতি মায়া মমতা, স্নেহর আমার কোন অভাব ছিলনা--
আমাদের একটি কন্যা সন্তানও হয়--।
শ্রুতিকেও বেশিদিন আমি ধরে রাখতে পারিনি--
দীর্ঘদিনের অযত্নে অবহেলায় ভেঙে পরা শরীর আর জোড়া লাগলো না -- শ্রুতি চলে গেলে
আমায় ছেড়ে -- যেন এক চরম শাস্তি দিয়ে গেল-- যাওয়ার আগে আমায় বলে গিয়েছিল-- "
আর তো কোন বাধা রইল না, এবার দিদিকে ভালো করে খুজে নিয়ে এসো--।
না সত্যি কথা বলতে আজ আর দ্বিধা করবনা তোমায়-- আমি
শ্রুতির স্মৃতিকে মেরে ফেলতে চাইনি-- বরং খুব যত্ন করে বাঁচিয়ে রেখেছি---।
শুধু এই শ্রাবণ সন্ধ্যা গুলোয় মনটা তোমার কাছে চলে
যায়-- অপেক্ষায় থাকি এক শ্রাবণ চলে গেলে আর একটা শ্রাবণের--।
তিথি জানলা ধরে শ্রাবণের বৃষ্টি দেখতে দেখতে ভাবছে
এই শ্রাবণটাও চলে যাবে-- আসবেনা কেউ--।
No comments:
Post a Comment