ছোট্ট ছোট্ট পায়ে,
লালসাদা পোশাকে, মায়ের হাত ধরে বাচ্চা মেয়েটা স্কুল যাওয়ার সময় যখন মায়ের ধমকে
নির্বোধের মতো রাস্তার মন্দিরের ভগবানের সামনে হাত জোড় করে, সেই প্রার্থনায় তো কোন
চাহিদা থাকেনা।
বাবার কোলে মাথা রেখে ৮
মাসের বাচ্চা মেয়েটা যখন জীবনের প্রথম দুর্গাপুজা দেখতে বেরোয় এবং বাবা ঠাকুরের
দিকে দেখিয়ে বলে ‘ওই দেখো মা দুগ্গা ঠাকুর! নমঃ করো’ আর হাত দুটো জোড় করিয়ে দেয়
তখন বাচ্চা মেয়েটা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে ওই টানা টানা চোখের দিকে, সেই
চাহনিতে তো কোন পার্থিব চাহিদা থাকেনা।
বলা হয়ে থাকে ‘স্বচ্ছ
হৃদয় যার/ কিসের ভয় তার ?’ তবে এই শিশুগুলোর স্বচ্ছ হৃদয় স্বচ্ছতার দাম পায়না কেন
? কেন লালসাদা জামাটা অমন করে রক্তমাখা দেহটাকে আঁকড়ে ধরে ভাঙা মন্দিরের পাশে পড়ে
থাকে ? কেনই বা প্রথম মা বলার আগেই একটা শিশু ক্ষতবিক্ষত হয় ? তবে এই কি স্বচ্ছতার
পরিণাম ? এই কি আপনাদের ওই কি যেন বলে ভগবানের বিচার...
আল্লার যে সাচ্চা
বান্দা দিনে চারবেলা ভক্তিভরে নামাজ পড়ে তার মেয়েটার কেন সর্বনাশটা হয় ?
‘প্রার্থনার ওই পুজোর থালায় জ্বলছে আশার ধূপ/ ঈশ্বরের হাত রক্তমাখা, আমরা তো তাও
চুপ’ তাহলে সেই সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরের ভুমিকাটা কি ?
ঈশ্বর যদি নিষ্ক্রিয়
হয়ে বসেই থাকবেন তাহলে প্রতি যুগে নাস্তিক বাড়বে আরও বাড়বে । আসলে মানুষের ভালো
খারাপের দ্বন্দ্ব খানাই হল ঈশ্বর আর সেই ঈশ্বর এর ওপরেই শয়তানের গ্রাস ব্যাপারটা
ওই ‘ সরষের মধ্যে ভুত ’ এর মতন যাই হোক নিজের ভিতরের ওই ভালো খারাপের দ্বন্দ্বে
ভালোকে জিতিয়ে দিন নিজেই নিজের ভগবান হয়ে উঠুন...
No comments:
Post a Comment