- অরিন্দম
কোনো এক ভোরে মুখোশের
জাদুকর
কোনো অবসরে চুপিচুপি
বিষদাঁত, তারপর
বিপণ্ণ, বিষণ্ণ, তবু
হার মেনে নিতে নয়...
ভেঙেছি, তবু নতজানু বসে
নেই, জাদুকর
শূন্য করিডোরে পদচিহ্ন
রেখে যাই
আগামীর বার্তা জানাই
...
যেন ক্লান্ত জনতা ভুলের
মিছিলে
বিভ্রান্ত জাদুকর
হারিয়ে যায়
ভাবছো তুমি চুপচাপ শহরে
গ্রাফিতি আঁকা দেয়াল
জুড়ে
রক্তের দাগ ছড়িয়ে দেবে
নিয়তির শরীরে,
বুকের পাঁজরে...
সাম্প্রতিককালে, রূপম
ইসলাম ব্যতীত অন্য কারোর লিরিক লেখার সাথে কিছুটা কানেক্ট করতে পারলাম। নিজের
অনুভবগুলো নিজের নির্বাচিত শব্দে বাঁধার জন্য যে নূন্যতম পরিশ্রমটুকু করতে হয়,
সেটা করার সুযোগ আমি খুব একটা পাই না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রূপমদা লিখে রেখেছে। আর
অবশিষ্ট ক্ষেত্রে হয় আমার ব্যস্ততা নয়তো কুঁড়েমি। কি বা হবে লিখে, এরকম একটা ভাব।
সত্যিই তো। লিখেই বা কি হবে! লেখার থেকে জরুরী জানা, শোনা এবং পর্যবেক্ষণ।
যাই হোক, বহুদিন পর আজ
হঠাৎ করে ৭:৩০টায় অফিস থেকে বেরিয়ে পড়ার সুযোগ পেয়ে গেলাম এবং রাস্তা পেরোতে গিয়ে
এই গানটাই মনে পড়ে গেল। আমার বাড়ী আসা যাওয়ার পথে ভীড় ফুটপাথ পেরোতে হয়। শারদ উৎসবের সৌজন্যে এখন সে ভীড়ে পারফিউমের গন্ধ বেড়েছে। ছোটবেলা
থেকে আমি বৈচিত্র বা বিপরীতধর্মী ছবি যেটুকু চোখে পড়েছে তার প্রায় সবটাই রাস্তায়
নেমে। বাড়ীতে বসে বা বইয়ের পাতায় আমি এসব প্রত্যক্ষ করতে পারিনি। একটু তির্যকভাবে
দেখলে বা গাড়ীর কাঁচ তুলে নিলে আমার জীবন নিশ্চয় অন্যরকম খাতে বইতো। আমি পালাতে
পারতাম, ছুটতে পারতাম আরো আরো সুখের খোঁজে।
কিন্তু কোথায় পালাতাম!
এই যে আশেপাশের ভীড় আমায় ঘিরে রেখেছে। এখানে দাঁড়িয়েই দেখতে হবে দরদাম, কেনাবেচা,
টপকে যাওয়া এবং পিছিয়ে পড়া মুখ। শোরুম থেকে দামী গন্ধ এসে বলে যাবে কোথায় পালাবে!
কত সহজ ইনস্টলমেন্টে বিক্রী হচ্ছে স্প্লিট এসি, স্মার্ট টিভি। ইএমআই-এর ফাঁদ ছেড়ে
কোথায় পালাবে! নিরক্ষর এ দেশে ভালোবাসাতেও কোন স্বাদ নেই, থামানো যাবে না লিবিডো।
তবু প্রতিদিন আমরা ফেসবুকে আসন বিছিয়ে বসি, হাবিজাবি লিখি। জানি এভাবেই ক্ষয়ে যাবো
আমরা; এই ভার্চুয়াল মায়াজালেই বন্দী হয়ে। তবু নিজের ছায়াকে বেঁধে রাখবো টাইমলাইনে।
পতাকাবিহীন একটা কণ্ঠস্বর। যে জেবিএল-এর কানা ঝালাপালা ইকো হওয়ার থেকে রূক্ষ
কিন্তু স্পষ্ট ভয়েস হওয়ার স্পর্ধা দেখিয়েছে। কিন্তু পালাতে পারেনি।
No comments:
Post a Comment