আগষ্ট
(১২৬)
মৃত্যু কে কাল রাতে
খুব কাছ থেকে দেখলাম ।
দেখলাম আমার পাশেই
এলিয়ে দেওয়া বিষাদ নিয়ে
আমার দিকে
নিস্ফলক চোখে চেয়ে আছে,
আমি ভয়ে আতঁকে উঠি,
কিন্তু খনিক পরেই আমার
প্রত্যেক ভয় ,আবেগ হিমেল হয়ে
আসে
ভয় কেটে যায় ,কেটে যায়
সময়ও।
তারপর তন্দ্রা আসে ,
শিশু ঘুমে চলে যাই ,যেন
পিরামিডের ফ্যারাও এর ঘুম,অনন্ত কালিন ঘুম
ভোর হবার আগেই ইষৎ
নিদ্রিত চোখে দেখি ,সে আমার জন্য
ছেড়ে গেছে নীল খাম
যাতে চিঠি নেই ,নেই
শব্দ।
ভোর আসে ,কেটে
যায়,তারপর কাটে বেলা কাটে দুপুর, অপরাহ্ন,তারপর আসে
শুধু অপেক্ষা ,ঠিক যেমন
অপেক্ষা করেছিল
পাবলো নেরুদার
"অসুখী একজন"
কিংবা জীবনানন্দের
বনলতা সেন ,কিংবা
রুদ্রর তসলিমা,বিনয়ের
গায়েত্রী,,সুনীলের নীরা,অথবা শা্ল বোদলেয়ারের
মৃত প্রেমিকা,ত্রিদিপের
আলো ।
সময় আমার মাথাতেও
পাথরের মত
নামে,আমার অসহ্য অজানা
এক চেতনা হয়
আমিও অপেক্ষা করি রাতের
।
নিশির অপেক্ষায় হয়ে উঠি
অধীর,
চিঠি কেন ফাঁকা??মৃত্যু
কি খামে শব্দ
ভরতে ভুলে গেছে?এই সব
অজানা
বিস্ময় আমায় মর্মাহত
করে দেয়।
আমি এখনো অপেক্ষায়,
এখনো রাত এসে পৌছায়নি ,
রাতের আলো এসে পরেনি
চাদরে ,
আমি অপেক্ষায় ,হাত থেকে
পরে রাত ভেঙে যায়। সিলিং ফ্যান,স্লিপিং পিল আর বাবার মালা ঝোলানো ফটো দেখে বড্ড
লোভ লাগে , তখন।বাবাকে আমি হিংসা করি ,তবু সাহসে কুলোয়না সিলিং ফ্যান আর আর
স্লিপিং পিলের শিশির সাথে সঙ্গম করার ক্ষমতা চলে যায়,বীর্য হীন হয়ে পরি ,আর তখন
অতীব ঝিনুক হওয়ার এষণা শরীর ঘিরে চলে।আর চলে তীব্র নারী হবার কামনা ,যাতে মৃত্যুকে
নিজের জঠর থেকে প্রসব করতে পারি, অসাড় হয় শরীর। ব্যর্থ হই , তারপর ব্যর্থ গনিকাকে ভালোবেসে আমি অপেক্ষা করি, সেই মোহময় মৃত্যুর অপেক্ষায়, যে বিগতকালীন রাতে
আমার দিকে শীতের শিশির ভেজা পাথরের
মত নিস্ফলক চেয়েছিল।
No comments:
Post a Comment