ফাইভস্টারের সেরা খাবারের স্বাদ সেখানে বসেই পাওয়া যায়, ওই একই খাবার প্যাক করে নিয়ে চলতি পথে খেলে, তার
চেয়ে পাওভাজিও ভালো লাগতে পারে। পার্থক্য তৈরি করে আস্বাদনের প্যারামিটারগুলো।
সুজিত সরকারের 'অক্টোবর'-ও তেমনই এক
ডিশ।
প্রথমেই জানিয়ে রাখি, প্রতি একশো জন
দর্শকে সত্তর জনেরই এভারেজ, বিলো-এভারেজ বা বোরিং লাগতে পারে,
কিন্তু বাকি ত্রিশ শতাংশের হয়তো সারাজীবন মনে থাকবে এই ছবি।
কেমিস্ট্রির সাংঘাতিক বিক্রিয়াগুলোর মতো এখানে কতগুলো 'বিক্রিয়ার শর্ত' আছে দর্শকের জন্য, না মানলেই আপনি সত্তর শতাংশে...
প্রথমত: পারলে একা যান, বড় জোর দুজন, কিন্তু গ্রূপে নয়। কেউ সঙ্গে গেলেও তার সাথে কথায় (বা অন্য কিছুতে) মাতবেন না।
দ্বিতীয়ত: শান্ত পরিবেশে দেখুন, স্পিরিচুয়াল লেভেলের শান্ত। আর ভুলেও টরেন্টের হল-রেকর্ডিং নয়।
তৃতীয়ত: এন্টারটেইনমেন্ট পারপাসে যাবেন না।
ব্যস, এই শর্তগুলো মানলেই আপনি বাকি ত্রিশ শতাংশের খুব কাছে, বাকিটা আপনার রুচি।
প্রথমত: পারলে একা যান, বড় জোর দুজন, কিন্তু গ্রূপে নয়। কেউ সঙ্গে গেলেও তার সাথে কথায় (বা অন্য কিছুতে) মাতবেন না।
দ্বিতীয়ত: শান্ত পরিবেশে দেখুন, স্পিরিচুয়াল লেভেলের শান্ত। আর ভুলেও টরেন্টের হল-রেকর্ডিং নয়।
তৃতীয়ত: এন্টারটেইনমেন্ট পারপাসে যাবেন না।
ব্যস, এই শর্তগুলো মানলেই আপনি বাকি ত্রিশ শতাংশের খুব কাছে, বাকিটা আপনার রুচি।
সিনেমার কিছু অলঙ্কার থাকে, যা আমরা খুঁজি
আর কি...
অভিনয় আর সিনেমাটোগ্রাফির দাপট - - নেই।
দুর্দান্ত গল্প কিংবা সঠিক সময়ে টুইস্ট - - নেই।
হাই-আর্টিস্টিক ইন্টেলিজেন্স - - না, তাও নেই।
কী আছে তাহলে ?
জার্নি। আর বুনন।
মূল গল্প বড়জোর পাঁচমিনিটের, রিয়েলেস্টিক, খুব প্রেডিক্টেবল গল্প, আর সেটা দুঘন্টা টানলে বোরিং লাগারই কথা। বিশ্বাস করুন, এক মুহূর্তের জন্যেও চোখ আর মন পর্দা থেকে সরেনি, পাশের জনৈক কাপল কী করছিল সেগুলোও টের পাইনি, কিন্তু শর্ত ঐ, ঐ শর্তগুলো...
পাঁচ মিনিটের প্রায় গল্পবিহীন, মোচড়বিহীন গল্পের প্রতিটি মিনিটের ফাঁকে এক পাড়-বাঁধানো পাহাড়ি নদীর জার্নি, কলকল শব্দ আছে, গতি আছে, গতি বুঝতে পারবেন না, মনে হবে স্থির, খুব স্থির, সাথে কঠোর বুনন, ছড়াবে না।
অভিনয় আর সিনেমাটোগ্রাফির দাপট - - নেই।
দুর্দান্ত গল্প কিংবা সঠিক সময়ে টুইস্ট - - নেই।
হাই-আর্টিস্টিক ইন্টেলিজেন্স - - না, তাও নেই।
কী আছে তাহলে ?
জার্নি। আর বুনন।
মূল গল্প বড়জোর পাঁচমিনিটের, রিয়েলেস্টিক, খুব প্রেডিক্টেবল গল্প, আর সেটা দুঘন্টা টানলে বোরিং লাগারই কথা। বিশ্বাস করুন, এক মুহূর্তের জন্যেও চোখ আর মন পর্দা থেকে সরেনি, পাশের জনৈক কাপল কী করছিল সেগুলোও টের পাইনি, কিন্তু শর্ত ঐ, ঐ শর্তগুলো...
পাঁচ মিনিটের প্রায় গল্পবিহীন, মোচড়বিহীন গল্পের প্রতিটি মিনিটের ফাঁকে এক পাড়-বাঁধানো পাহাড়ি নদীর জার্নি, কলকল শব্দ আছে, গতি আছে, গতি বুঝতে পারবেন না, মনে হবে স্থির, খুব স্থির, সাথে কঠোর বুনন, ছড়াবে না।
একজন শেফ-কে জিজ্ঞেস করে দেখুন, পৃথিবীর
শ্রেষ্ঠতম ডিশগুলো খুব সিম্পল, রেসিপিগুলো জটিল, আরও জটিল তা তৈরি করা। স্ক্রিপ্ট আর স্ক্রিন-প্লে দিয়ে খেলে গেলেন জুহি আর
সুজিত, সিনেমা পেল সম্পূর্নতা। Shawshank Redemption দেখে থাকলে জানাবেন স্লো-সিনেমা মাত্রই বোরিং হয় না, যদি আপনি গল্পে ঢুকে যান।
মূল নায়িকার চরিত্র আর তার মায়ের চরিত্র নিজেদের সেরা দিতে কার্পণ্য করে নি, যোগ্য সঙ্গ দিয়েছে মেক-আপ আর্টিস্টের দক্ষতা।
সবচেয়ে ভালো লেগেছে পরিচালকের বরুণ ধাওয়ান-কে ব্যবহারের শৈলী, অভিনেতার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল সুজিত তাকে নিয়ে কোনো এক্সপেরিমেন্ট করেননি, তাকে চলমান প্ৰপস হিসেবে ব্যবহার করেছেন। যার ফলে বরুণের থেকেও এফোর্টলেসলি বেরিয়ে এসেছে সেরাটা।
সিনেমার টেকনিক্যাল দিক বিচারের লোক আমি নই। নিজের অনুভূতিটা শেয়ার করছি শুধু। তবে এটুকু বলতে পারি, অনুকূল পরিবেশে এই স্বাদ গ্রহণ করতে পারলে, আপনি ভাগ্যবান...
মূল নায়িকার চরিত্র আর তার মায়ের চরিত্র নিজেদের সেরা দিতে কার্পণ্য করে নি, যোগ্য সঙ্গ দিয়েছে মেক-আপ আর্টিস্টের দক্ষতা।
সবচেয়ে ভালো লেগেছে পরিচালকের বরুণ ধাওয়ান-কে ব্যবহারের শৈলী, অভিনেতার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল সুজিত তাকে নিয়ে কোনো এক্সপেরিমেন্ট করেননি, তাকে চলমান প্ৰপস হিসেবে ব্যবহার করেছেন। যার ফলে বরুণের থেকেও এফোর্টলেসলি বেরিয়ে এসেছে সেরাটা।
সিনেমার টেকনিক্যাল দিক বিচারের লোক আমি নই। নিজের অনুভূতিটা শেয়ার করছি শুধু। তবে এটুকু বলতে পারি, অনুকূল পরিবেশে এই স্বাদ গ্রহণ করতে পারলে, আপনি ভাগ্যবান...
No comments:
Post a Comment