ব্লগ-টগ

প্রকাশ্যে আত্মপ্রকাশের ঘরোয়া সূত্র

Post Page Advertisement [Top]

To Place your advertisement here call - +917980316633/+918145704098

একটু দেরি করেই হাতে পেলাম 'দশমিক'-এর চতুর্থ বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যা ( ডিসেম্বর,২০১৭)।
বেশ কয়েকদিন আগে ঘরোয়া আলোচনায় আমরা ঠিক করি শুধু গল্প উপন্যাস বা কবিতাগুচ্ছ কেন আমরা যারা লিটিলম্যাগও সমান উৎসাহে পড়ি সে'সবের সমালোচনাও পৌঁছে দেওয়া দরকার সবার মধ্যে। যাতে বহু পত্রিকার মাঝে খুঁজে নেওয়া যায় পছন্দের পত্রিকাখানি। খানিকটা সেই ভেবেই সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা শুরু করলাম আমি।
পৃথ্বী বসুর সম্পাদনায় দশমিকের চতুর্থ সংখ্যা পেয়েছে অনন্যরূপ। 
পত্রিকার সুচিপত্র আকর্ষণীয়। (ছবি সংযোজিত)
'স্মৃতির গম্বুজ'- ছত্রতলে রয়েছে শ্রী নির্মল হালদারের 'স্রেফ নমস্তে জানিয়ে' এবং শ্রী প্রশান্ত মাঝির 'ভাস্করগাছ -এর পরম ছায়ায়'
'স্রেফ নমস্তে জানিয়ে' উঠে এসেছে নির্মল মাঝির অনবদ্য দুরন্ত কবি-জীবনের স্মৃতিচারণ, রয়েছে উত্তর কলকাতার ঘরোয়া মনোভাবের ফিরে দেখা এবং হঠাৎ হঠাৎ খুঁজে পাওয়া বিভিন্ন সাহিত্যিককে, তাদের সাথে কাটানো সময়গুলোকে।
বিশেষ পাওনা প্রশান্ত মাঝির 'ভাস্করগাছ-এর পরম ছায়ায়'। ভাস্কর চক্রবর্তীর না জানা বিভিন্ন স্মৃতি তুলে ধরেছেন সুনিপুন ভাবে। সাথে রয়েছে ভাস্কর-হাতে লেখা বিভিন্ন চিরকুট অথবা শ্রাদ্ধবাসরের কার্ডের চিত্র। কেমন ছিল শক্তি, সন্দীপন, প্রদীপ ভট্টাচার্য এবং আরো অনেকের সাথে ভাস্কর চক্রবর্তীর দিনযাপন। অসম্ভব সুন্দর পরিবেশনা গোটা স্মৃতিচারণার। একটি পরিচ্ছেদ তুলে ধরার লোভ সামলাতে পারছিনা।
প্রশান্ত মাঝি লিখেছেন- 'আমি আর সুব্রতদা হ্যাংওভার কাটিয়ে চা খেতে বেরোই। সেখানে গিয়ে দেখি ভাস্কর। বলেন, সারারাত সন্দীপন আমাকে খুব অপমান করছিল। একটা বদলা নিয়ে এসেছি ছোট্ট করে। সাত সকালে।
-কী সেই নীরব বদলা, ভাস্করদা?
- সন্দীপনের বাথরুমে আজ আস্ত নতুন একটা লিরিল সাবান ছিল। বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসার সময় এক বালতি জলের নীচে তাকে ঘুম পরিয়ে রেখে এসেছি। বেলায় যখন স্নানে যাবে, টের পাবে। আহা, এখনও মনে পড়ে সেই সবুজ সুগন্ধময় সাবান লিরিল! বিজ্ঞাপনের মেয়েটির মতোই।
সন্দীপন অনেকবারই বলেছেন 'ভাস্কর খুব কবি'। তবে 'শীতকাল কবে আসবে সুপর্ণা' আমি দু-বার পড়েছি। নতুন, এক কাব্যভাষা। সন্দীপনকে লক্ষ্য করে আমাকে লেখা এক চিঠিতে ভাস্কর লিখেছিলেন একবারই। সন্দীপনের ওপর বিরক্ত হয়ে: 'মাঝে মাঝে চা-এর দোকানে সন্দীপন আসেন আর দেখে যান আমি কতটা মরছি...।'
যাইহোক এই রইলো প্রশান্ত মাঝির প্রবন্ধের সারসংক্ষেপ।( ভাস্কর প্রেমিক বলে বোধহয় একটু বেশিক্ষন ধরেই লিখে ফেললাম)
এর পরেই আসে 'পুরোনো চাল' যার মধ্যে আছে তুষার রায়ের 'গদ্য ও/বা পদ্য' এবং মতি নন্দীর- 'কবি নই'
দুটোই স্বাধীন সাক্ষাৎকার এবং আমি নিশ্চিত ভীষণ ভালো দুটি সংগ্রহ হয়ে থাকবে লাইব্রেরিতে।
কবিতায় 'শ্যামবাজার' নামক কলামের মধ্যে আছে শৌভ চট্টোপাধ্যায়, ভাস্করজ্যোতি দাস, দীপ্তিপ্রকাশ দে, সম্বিত বসু এবং অনুপম ভট্টাচার্যের কবিতা।
যার মধ্যে শৌভ চট্টোপাধ্যায়ের 'নিঃশব্দে অতিক্রম করি' এবং সম্বিত বসুর 'রান্না ঘরের থিয়েটার' অন্য মাত্রা দিয়েছে 'দশমিক'-কে।
'লেটারপ্রেস'-এ রয়েছে 'অনির্বান দাসকে লেখা নারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের চিঠি' যা একটি অনবদ্য সংযোজন এবং 'দ্বাদশ ব্যক্তি'- তে তিমিরকান্তি ঘোষের 'ইভানের দিনলিপি'
'দশমিক'- এইসকলকে নিয়েই এবং সম্বিত বসুর প্রচ্ছদে হয়ে উঠেছে চতুর্থ বর্ষে অসাধারণ এবং অসামান্য। সবাইকে পড়ার অনুরোধ জানাই। 
লিটিল ম্যাগ বেঁচে থাকুক যুগ যুগ ধরে।
প্রাপ্তিস্থল- ধ্যানবিন্দু, পাতিরাম (কলেজস্ট্রিট)
মূল্য- ৭৫ টাকা
ইমেল- doshomikpotrika@gmail.com

No comments:

Post a Comment

Bottom Ad [Post Page]

To Place your advertisement here call - +917980316633/+918145704098