শহর কাব্য
কোন এক পূর্নিমার রাতে আমি এই শহরের
ঠোঁটে চুমু খাই !
চুমু খাওয়ার জন্য আমাকে কোন আয়োজনের
দরকার পড়ে না ।
যখন তখন, যেখানে
সেখানে, ট্রাফিক সিগনাল, জেব্রা
ক্রসিং,
সোডিয়াম আলো, ফুটপাত
সন্ধ্যায় চায়ের কাঁপে আমি চুমু খাই ।
শহরের ওপরে একটা বিশাল আকাশ দেখা যায়,
সেই আকাশে ভেসে ওঠে আমার প্রেমিকা
তুমি !
এই শহর, এই
ভালোলাগা, সব সব কিছুকেই !
দিনের আলোই আমি শহরকে দেখি,
রাতের অন্ধকারে মিটিমিটি তারার আকাশে আমি খুঁজি !
বাতাসের শো শো শব্দে রাত নেমে আসে
আমার শহরে,
হুট - হাঠ ডিস্ট্রিক ট্রাক আর দু একটা
নেশাচর বাইকের শব্দে
আমার একটুও বিরক্ত লাগে না আর !
আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকি দুরের
বহুতল বাড়ির জানালায়,
যেখানে কোন বালিকা এখনো বই হাতে পুরো
ঘর হেঁটে বেড়ায় !
কোন এক অন্ধকার বারান্দায় আমার চোখ
চলে যায়,
সেখানে প্রেমহীন প্রেমিকার সুখ দুঃখ
ভাগা ভাগি করে নেয়
কোন এক স্বপ্নবাজ প্রেমিক !
হুট করে কোন এক ঘরের বাতি জ্বলে ওঠে,
কেঁপে কেঁপে ওঠে ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে
যাওয়া রেল লাইনটা !
এখনো হয়তো কোন এক নেশাচর প্রানী শহরময়
ঘুড়ে বেড়ায় কবিতার খাতায় ।
আমি সেই শহরের ঠোঁটে চুমু খাই ! আমার
অনন্ত কালের চুমু !
দু ফোঁটা মৃত্যু হবে ?
খুবলে খাচ্ছে পুরো শহরটা, ঘুণপোকা, জীবন, মৃত্যু, তুমি
তোমরা সব !
প্রকোপ রোদের চাদরে মুড়ে ঝলছে যাচ্ছে
চামড়া,
কান পেতে থাকলে এখন আর আলো শোনা যায়
না !
পুড়ছে হৃদয়, হৃদপিণ্ড, কলিজা
!
নীল রঙে সাদা বিষ মিশিয়ে দিয়েছো তুমি,
ভালোবাসায় আজ নেই শহরের মতোই আসীম
তৃপ্তি !
শব্দের মতো আজ আওয়াজ তুলে মন পাহাড়ের
মরিচিকায় ধরা দেয় না
তোমার সকাল না হওয়া রাত ।
প্রেমহীন শূণ্য মনে সুন্দরী নামক কোন
চরিত্রের বসবাস আজ আর নেই ।
শুধু ভালোবাসা আততায়ীর বেশে খুন দিয়ে
যায় রক্তে !
দু ফোঁটা মৃত্যু হবে ?
আমি নিজেকে সাদা কাপড়ে মোড়াতে চাই ।
তোমার সাদায় আমার লাল রঙ মিশিয়ে দিতে
চাই ।
তুমি তিলে তিলে সব শব্দ শূণ্যতায়
মিলিয়ে দিও!
ভালো থাকার অজুহাতে তুমি মিলিয়ে নিও
তোমার সুখের সংসার ।
সেই সংসারে আমার কোন অস্তিত্ব নেই !
নেই কোন গন্ধে তুমি তুমি লাগা ।
বিপ্লব হোক
আমি সেদিন শহরকে বলেছিলাম বিপ্লব হোক !
শহর অট্টহাসিতে ফেটে পড়েছিলো ।
আমি আবার বলেছিলাম বিপ্লব হোক !
শহর আমাকে বলেছিল এখনো সময় হয়নি ।
আমি খুব মন খারাপ করে বলেছিলাম কলম চলবেই !
শহর সেদিন পুরোটাই নিশ্চুপ ।
তারপর আমার কলম চলল শহরের দেয়ালে !
আমি লিখেছিলাম বিপ্লব হোক ।
হঠাৎ আমার দরজায় ঠক ঠক শব্দ,
আমি উঠে দরজা খুলতেই স্টেনগানের পাইপ
আমার বুকে,
আমি তখনও বলেছিলাম বিপ্লব হোক !
তারা আমাকে টেনে হিঁচড়ে খামছে ধরেছিল ,
স্টেনগানের শক্ত পাইপ আমাকে ভেঙ্গে চুরমার করতে চেয়েছিল ।
আমি তখনও শক্ত গলায় বলেছিলাম বিপ্লব হোক !
আমার মৃত্যুর পরেও বিপ্লব হোক !
শহুরে একটি রাত
আমার শহর এখন নিরব নিস্তব্দ !
বড় রাস্তা ধরে মাঝে মাঝে দু-একটি ডিস্ট্রিক্ট ট্রাক
মাতালের মতো ছুটে চলে ।
শহরের প্রহরী মোড়ে মোড়ে
ঘুমন্ত চোখে
চায়ের কাপে চুমুক দেয় ।
পলাশী কিংবা শাহবাগ, রাতভর চলতে থাকে
চায়ের কাঁপে জীবনের ঝড় !
দুরের সারি সারি বাড়িগুলো প্রায় সবই ঘুমন্ত,
দুই-একটা জানালা এখনো স্বপ্ন বুনে চলে
তারহীন নেটওয়ার্কে ।
আর !
প্রেম গুলো সাক্ষী হয়ে অবিরাম ঘুরতে থাকে
না দেখা এক তরঙ্গে ।
জনশূণ্য হলুদ বাতির নিচে নৃত্য করে চলে
এক ঝাঁক ললনার দল ।
রাত্রিবিলাশ করে শকুনের দল সে নৃত্যে !
শহরের ল্যাম্পোস্ট গুলো দাঁড়িয়ে থাকে
নতুন সুর্য দেখার অপেক্ষায় ।
ব্যস্ত নগরী ভিন্নতর রুপ ধরে,
যাপন করে চলে রাত্রিবিলাশ ।
সেখানে ছোট ছোট প্রেম নিয়ন অলোয় হারিয়ে যায় ।
তুমি আমি তুচ্ছ হয়ে বেঁচে থাকি,
আমার শহরের এই একটি রাতে ।
সময় এখন বিপ্লবের !
তবে জ্বলে উঠুক প্রচণ্ড আগুন তোমার
চেতনায়,
শহরে আর একবার বিপ্লব হোক !
রাজপথে যদি রক্ত ঝড়ে ঝড়ুক,
দেয়ালে দেয়ালে লেখা হোক আবার শ্লোগান,
কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে গেয়ে উঠুক রক্ত
গরমের গান ।
ঈশ্বর তুমি অন্ধ থাকো, তোমায়
আজ আর দরকার নেই !
বিপ্লব শহর ছাড়িয়ে পৌছে যাক পাহাড়ে, সীমান্তে, চাষের
জমিতে,
এক মুঠো ভাতের প্লেটে, ক্ষুধার্ত
মায়ের গর্ভে ।
তুমি বেরিয়ে পড়ো !
লেট নাইট পার্টি, চায়ের
কাঁপে আড্ডা, প্রেমিকের বুকের উষ্ণতা,
আলিঙ্গনে চুমুর স্বাদ, সব
কিছু ফেলে তুমি বেরিয়ে পড়ো !
একটা লাল সবুজের পতাকা হাতে তুমি
বেরিয়ে পড়ো ।
একটা মানচিত্রে বিপ্লব হোক,
ইঞ্চি ইঞ্চি জমিতে তুমি চাষ কর বিপ্লব
!
সীমান্তের কাঁটা তারে রক্তের দাগ এখনো
শুকায়নি,
সেইখানে তুমি বারুদ হয়ে জ্বলে ওঠো
রাইফেলের সামনে ।
তোমার যদি মনে হয় কাঁটা তারের প্রয়োজন
নেই,
তাহলে ভেংগে দাও ওই সীমান্তের
দাম্ভিকতা,
ওখানে ফুটুক সম্প্রীতির ফুল ।
তোমার যদি মনে হয় পাহাড়ে ফুল ফোঁটা
দরকার,
তাহলে রোপণ কর কৃষ্ণচূড়া, শিমুল, পলাশ
কিংবা তোমার প্রিয় জারুলফুল ।
আবারও বলছি তুমি জ্বলে ওঠো !
সুন্দর সকালের আলোর মতো, বিকেলের
গোধূলির মতো !
কখনও বা সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের মতো, আকাশের
বিজলির মতো,
তুমি জ্বলে ওঠো !
লাল সবুজের মানচিত্রে এখন তোমার জ্বলে
ওঠার সময়,
পুর্ব পশ্চিম উত্তর দক্ষিন, এখন
তোমার সবখানে আগুন জ্বালানোর সময় ।
সময় এখন বেরিয়ে পড়ার, সময়
এখন বিপ্লবের !
সময়
বিমুগ্ধ নগরীতে হঠাৎ আর্তনাদের চিৎকার,
জমে যাওয়া একটা সকাল আতকে ওঠে প্রচণ্ড আর্তনাদে,
একটা হৃদপিণ্ড, না একটা সময় নিলামে উঠেছে আজ !
অপেক্ষায় জর্জরিত একাকীত্ব একটা সময়,
আর্তনাদ খুবলে খেয়েছে পিশাচের মতো করে,
অপেক্ষায় বিলীন হয়ে গেছে মুহুর্ত,
কিন্তু কোন খবর আসেনি বহুকাল,
আসবেও না আর কখনো !
তাই আজ নিলাম উঠেছে চরা দামে ।
বিক্রি হয়ে যাচ্ছে কালো হয়ে যাওয়া হৃদপিণ্ড,
না না না না না,
ওঠা হৃদপিণ্ড নয়, ওটা শুধুই সময় !
কালের গর্ভে টিকে থাকা একটা সময় !
একটা মহাকাল বৈয়ে গেছে কয়েকটা ফুলের সাথে,
একটা শহর একাকীত্বে ডুব দিয়ে থেকেছে ওখানে বহুকাল,
কালের গর্ভে বিলীন হতে চেয়েও টিকে গেছে স্থায়িত্বে,
হ্যাঁ !
আমি সেই স্থানের কথা বলছি,
যে একটা সময়ে আটকে থেকে থেকে হয়েছে পবিত্র !
আজ সেই সময় উঠেছে নিলামের কাঠগড়ায়,
প্রেমিকার দল ভিড় করে হাতে নাম্বার প্রেট নিয়ে,
আজ একাকীত্ব ঘোচানোর দিন !
আজ বিক্রি হয়ে যাবে বেঁচে থাকা শেষ টুকু স্থান,
সময় !
জমে যাওয়া একটা সকাল আতকে ওঠে প্রচণ্ড আর্তনাদে,
একটা হৃদপিণ্ড, না একটা সময় নিলামে উঠেছে আজ !
অপেক্ষায় জর্জরিত একাকীত্ব একটা সময়,
আর্তনাদ খুবলে খেয়েছে পিশাচের মতো করে,
অপেক্ষায় বিলীন হয়ে গেছে মুহুর্ত,
কিন্তু কোন খবর আসেনি বহুকাল,
আসবেও না আর কখনো !
তাই আজ নিলাম উঠেছে চরা দামে ।
বিক্রি হয়ে যাচ্ছে কালো হয়ে যাওয়া হৃদপিণ্ড,
না না না না না,
ওঠা হৃদপিণ্ড নয়, ওটা শুধুই সময় !
কালের গর্ভে টিকে থাকা একটা সময় !
একটা মহাকাল বৈয়ে গেছে কয়েকটা ফুলের সাথে,
একটা শহর একাকীত্বে ডুব দিয়ে থেকেছে ওখানে বহুকাল,
কালের গর্ভে বিলীন হতে চেয়েও টিকে গেছে স্থায়িত্বে,
হ্যাঁ !
আমি সেই স্থানের কথা বলছি,
যে একটা সময়ে আটকে থেকে থেকে হয়েছে পবিত্র !
আজ সেই সময় উঠেছে নিলামের কাঠগড়ায়,
প্রেমিকার দল ভিড় করে হাতে নাম্বার প্রেট নিয়ে,
আজ একাকীত্ব ঘোচানোর দিন !
আজ বিক্রি হয়ে যাবে বেঁচে থাকা শেষ টুকু স্থান,
সময় !
আমাদের সব আছে
একটা সিগারেটে ছাই হতে থাকে আমাদের দিনলিপি,
সাদা ফিল্টারে লেগে থাকা ঠোঁটের লাল রঙ,
ওটাকেই বরং চুমু ধরে নিয়ে চলুক আমাদের প্রেম !
রোজ নিয়মে আমরা চুমু খাই,
আমাদের চুমু খাওয়ার জন্য কালো দেয়াল লাগে না,
একটা সিগারেটের সাদা ফিল্টার যথেষ্ট !
একটা কালো পতাকার মতো শহর,
এখানেও দিন আসে, ভোর হয়, সন্ধ্যা পেরিয়ে আবার রাত আসে,
আমরা স্পর্শ করি আমাদের হাত কাধ গলা,
এটাতেই আমাদের শরীরে শরীর মিশে যায়,
আমাদের প্রয়োজন পড়ে না কোন ফ্ল্যাটের কামড়া !
অবলীলায় চলতে থাকে আমাদের সঙ্গম ।
আমাদেরও ভালোবাসা আসে, আসে এক শহর প্রেম !
হাতের স্পর্শে আমাদের পরিবর্তন হয় না রেখা,
শুধু শরীরের শিহরণে মৃদু কম্পন আসে আমাদের চোখে !
আমরাও তাকিয়ে থাকি, লুকিয়ে দেখি সেই চোখ,
কিন্তু ঘুম হয় না, শুধু স্বপ্নে থেকে যায়
পাহাড় আর আকাশের মিলন !
আমাদেরও বুক ধড়ফড় করে, খুব ইচ্ছে হয় পালিয়ে যেতে,
সমুদ্রের গভীরে লুকিয়ে আকাশ ছুতে !
আমরাও আমাদেরকে ডেকে চলি নানান শব্দে,
কখনো বন্ধু, কখনো প্রেমিক, কখনো ভালোবাসা !
আমাদেরও সংসার আছে, আছে বেচে থাকার তীব্র টান !
সেখানে আমাদেরও ঘর আছে, আছে সুন্দর সাজানো বাগান !
ফুল আছে অনেক বাহারি রঙের,
তার শিউলি আমার বকুল, আছে কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙ !
একটা বারান্দা আছে আমাদের, সেখানে
রোজ রাতে চাঁদ ওঠে !
বেলিফুলের গন্ধে চায়ের কাঁপে চুমু চলে আমাদের !
আছে খোলা ছাঁদ, রেলিঙের ধারে বসে বুকে বুক বাধে আমাদের !
আমাদেরও কান্না আছে, আছে দুঃখ কষ্ট
আর আছে কান্না মুছে দেওয়ার হাত !
আমাদের আমরা আছি,
ভাগাভাগি করে নেওয়ার হৃদয় আছে এক জোড়া,
আছে সিগারেট আর চায়ের কাঁপে শহর প্রেম !
আমাদের ভালোবাসা আছে অবলীলায় ।
সাদা ফিল্টারে লেগে থাকা ঠোঁটের লাল রঙ,
ওটাকেই বরং চুমু ধরে নিয়ে চলুক আমাদের প্রেম !
রোজ নিয়মে আমরা চুমু খাই,
আমাদের চুমু খাওয়ার জন্য কালো দেয়াল লাগে না,
একটা সিগারেটের সাদা ফিল্টার যথেষ্ট !
একটা কালো পতাকার মতো শহর,
এখানেও দিন আসে, ভোর হয়, সন্ধ্যা পেরিয়ে আবার রাত আসে,
আমরা স্পর্শ করি আমাদের হাত কাধ গলা,
এটাতেই আমাদের শরীরে শরীর মিশে যায়,
আমাদের প্রয়োজন পড়ে না কোন ফ্ল্যাটের কামড়া !
অবলীলায় চলতে থাকে আমাদের সঙ্গম ।
আমাদেরও ভালোবাসা আসে, আসে এক শহর প্রেম !
হাতের স্পর্শে আমাদের পরিবর্তন হয় না রেখা,
শুধু শরীরের শিহরণে মৃদু কম্পন আসে আমাদের চোখে !
আমরাও তাকিয়ে থাকি, লুকিয়ে দেখি সেই চোখ,
কিন্তু ঘুম হয় না, শুধু স্বপ্নে থেকে যায়
পাহাড় আর আকাশের মিলন !
আমাদেরও বুক ধড়ফড় করে, খুব ইচ্ছে হয় পালিয়ে যেতে,
সমুদ্রের গভীরে লুকিয়ে আকাশ ছুতে !
আমরাও আমাদেরকে ডেকে চলি নানান শব্দে,
কখনো বন্ধু, কখনো প্রেমিক, কখনো ভালোবাসা !
আমাদেরও সংসার আছে, আছে বেচে থাকার তীব্র টান !
সেখানে আমাদেরও ঘর আছে, আছে সুন্দর সাজানো বাগান !
ফুল আছে অনেক বাহারি রঙের,
তার শিউলি আমার বকুল, আছে কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙ !
একটা বারান্দা আছে আমাদের, সেখানে
রোজ রাতে চাঁদ ওঠে !
বেলিফুলের গন্ধে চায়ের কাঁপে চুমু চলে আমাদের !
আছে খোলা ছাঁদ, রেলিঙের ধারে বসে বুকে বুক বাধে আমাদের !
আমাদেরও কান্না আছে, আছে দুঃখ কষ্ট
আর আছে কান্না মুছে দেওয়ার হাত !
আমাদের আমরা আছি,
ভাগাভাগি করে নেওয়ার হৃদয় আছে এক জোড়া,
আছে সিগারেট আর চায়ের কাঁপে শহর প্রেম !
আমাদের ভালোবাসা আছে অবলীলায় ।
একটা বিষাদ
আজ রাতে বাড়ি ফেরেনি সমুদ্র,
একটা উত্তাল ঢেউয়ের মতো তাকে নিয়ে গেছে দূরদেশ !
একটা নীল তিমি !
প্রেমিক খুঁজে পেরিয়েছে বিশাল জলরাশি !
শরীর হারিয়েছে আকাশ মেঘের কাছে, কিন্তু তাদের প্রেম হয়নি কখনো !
পাহাড়ের সাথে একটা চাপা সঙ্গমে ব্যস্ত থেকে সবুজ হারিয়েছে তার তারুণ্য, কিন্তু পাহাড় কখনো গলেনি !
পৃথিবী পেরিয়েছে একটা সময় কিন্তু বয়স বাড়েনি প্রেমের !
শুধু আমার বয়স বেড়েছে তোমার কাছে, কয়েকটা সঙ্গমহীন রাত কাটিয়ে তুমি চুমু খাও আমার গালে !
তারপর চলে যাও একরাত বিষণ্ণতায় !
আমি কাটিয়ে দেই একলা শহরে, করিডোর থেকে করিডোরে,
ফুটপাত থেকে রাস্তায় !
আমার হৃদপিণ্ডে একটা বিষাদ খেলে যায়, তোমাকে একান্তই না পাওয়ার বিষাদ !
একটা গন্ধহীনতায় কেটে যাওয়া আমার সমস্ত রাত !
একটা উত্তাল ঢেউয়ের মতো তাকে নিয়ে গেছে দূরদেশ !
একটা নীল তিমি !
প্রেমিক খুঁজে পেরিয়েছে বিশাল জলরাশি !
শরীর হারিয়েছে আকাশ মেঘের কাছে, কিন্তু তাদের প্রেম হয়নি কখনো !
পাহাড়ের সাথে একটা চাপা সঙ্গমে ব্যস্ত থেকে সবুজ হারিয়েছে তার তারুণ্য, কিন্তু পাহাড় কখনো গলেনি !
পৃথিবী পেরিয়েছে একটা সময় কিন্তু বয়স বাড়েনি প্রেমের !
শুধু আমার বয়স বেড়েছে তোমার কাছে, কয়েকটা সঙ্গমহীন রাত কাটিয়ে তুমি চুমু খাও আমার গালে !
তারপর চলে যাও একরাত বিষণ্ণতায় !
আমি কাটিয়ে দেই একলা শহরে, করিডোর থেকে করিডোরে,
ফুটপাত থেকে রাস্তায় !
আমার হৃদপিণ্ডে একটা বিষাদ খেলে যায়, তোমাকে একান্তই না পাওয়ার বিষাদ !
একটা গন্ধহীনতায় কেটে যাওয়া আমার সমস্ত রাত !