অনিমেষ সরকার-এর কয়েকটি কবিতা
প্রজাপতি
সকালের বিছানা ছেড়ে উঠতেই দুই একটা প্রজাপতি বসলো এসে
ঘুম তো উধাও অনেক আগেই
জেগে জেগে রাত পাহারা,
বাতি
ল্যাম্পোস্টের জ্বলছে বাতি
ভোরের আলোয় বাড়ছে বৈদ্যুতিক বিল
হাতছানি
জানালার কাঁচে মৃদুমন্দ হাওয়া দিচ্ছে টোকা
ঘাস পেরিয়ে উঠোন আলোয় রোদের লুকোচুরি
দ্বন্দ্ব
আমার সকাল এখনো রাতেই আছে
শুধু রাত বোধহয়
দিন হতে গিয়েছে ভুলে৷
দিন হতে গিয়েছে ভুলে৷
প্রবাসের অপেক্ষা
১
আজও
যখনই থাকি দাঁড়িয়ে অদ্যপ্রান্তে
২
ক্লান্ত
মরুভূমির ঝড় করে গ্রাস
মুহূর্তে বিভীষিকাময় হয়ে ওঠে
৩
ঝর্ণায়
পা ডোবানো তরুণীটি বাড়ি ফেরেনি
আমিও উৎসুক হয়ে চালিয়ে যাই চেষ্টা খোঁজার
৪
আশমান-
সরোবরে জলকেলি আর গ্রন্থাকারে নির্ভেজাল প্রবেশ
আমার স্বর্গ জুড়ে প্রবল দাপাদাপি৷
৫
সমুদ্র-
তোর ঠোঁটের ওই মোহনায় আমিও যাই মিশে
গভীরে
লাল টকটকে নির্ভেজালে
সিনড্রম
৬
আন্ডারস্ট্যান্ডিং-
জানি আমি শূণ্যতায় করি বাস
যার সংজ্ঞা নেহাত জিরো-
তবু অপেক্ষায় সেই তরুণীর
আরও গভীরে আত্মপ্রবেশের৷
জানি আমি শূণ্যতায় করি বাস
যার সংজ্ঞা নেহাত জিরো-
তবু অপেক্ষায় সেই তরুণীর
আরও গভীরে আত্মপ্রবেশের৷
দেখা
শেষবার হঠাৎ দেখা
ইতিমধ্যেই কফিনে দেহবন্দী
দুফোটা নোনাজল পড়ল গড়িয়ে৷
জানি এই চলে যাওয়া সীমাহীন দূরত্বে
প্রতিটি আলোকবর্ষ ভেদে
নতুন চিঠির খাম
পুরোনো কর্ডলেস টেলিফোন
আরব রজনীর ডায়েরি আলাদিনের প্রদীপ
সবই যাবে ভেসে
ডায়েরির তারিখটা ঠিক পড়ছেনা মনে
হয়তো একটু হলেও
উল্টে পারতাম দেখতে
কত কিউসেক জল মোহনায় মিশেছে৷
নিয়ন
দীর্ঘ এই মন হঠাৎ কবিতায় ঘর খোঁজে;
গাছের পাতায় ক্লোরোফিলে মুগ্ধতায় ওঠে মেতে;
শুনশান
রাস্তার
গভীরে একাকী ঈশ্বরের আস্তানায়
লিখে আসে
নাম!
সমুদ্র-
বিভাজন যখনই ঠোঁটে আঁকে তিল;
রাত আসে নেমে
গোপনে...
কবিতাময়
উঠোনে
রৌদ্র নিঃস্বার্থে স্নান সেরে
অমলকান্তির আশায়
নিঃশ্বাস করে বহন...
ঈশারায় পথ নিই বেছে কাঁটালো আকাশের তৃণভূমির মাঝে!
আমিও
তো রোদ্দুর হতে চাই-
আপেক্ষিক দহণে
তরঙ্গে
ভেসে উঠতে চাই!
নিছক আলোজয়ী ক্যানভাসের
ক্যাম্পাসে৷৷