রেড ডেভিলের দপ্তর - ঋদ্ধিমান
ছোটবেলা থেকে যে দেশটাকে ইউরোপের ককপিট আর ওয়াটারলুর দেশ হিসাবেই জানতাম আজ তারা রেড ডেভিলস। হ্যাঁ, বেলজিয়ামের কথা বলছিলাম। ১৯০৪ সালে প্রথম অফিসিয়াল ম্যাচ খেলে বেলজিয়াম,দলের দায়িত্বে তখন রয়াল বেলজিয়াম ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।
১৯০৬ সালে পরপর তিনটি অসাধারন ম্যাচ জয়ের পর পিয়েরি ওয়ালকার নামের এক কলামিস্ট বেলজিয়াম ফুটবল দলের নাম রাখেন রেড ডেভিলস। শয়তানের হাতে থাকা ট্রাইডেন্ট বেছে নেওয়া হয় লোগো হিসাবে। আর তার সাথে লাল জার্সি। দুইয়ে মিলে রেড ডেভিলস!
১৯৭০ সালে কিছুদিন এই বেলজিয়াম তাদের ট্র্যাডিশানাল লাল জার্সির বদলে যখন সাদা জার্সিতে ম্যাচ খেলেছিল ,কাগজে ওদের লেখা হল হোয়াইট ডেভিলস। ইউরোপিয়ান ফুটবলে দানব না হলেও বেলজিয়াম বরাবরই প্রতিভাবান দল। ইউরোতে রানার্স,অলিম্পিকে সোনা,টানা ছ‘বার কোয়ালিফাইং রাউন্ড খেলে বিশ্বকাপের মূলপর্বে কোলাইফাই করা—রেকর্ডবুক ঘাটলে মনিমুক্তো অনেকই আছে রেড ডেভিলসের লকারে।
এবছর ইউরোপের ক্লাবে দাপিয়ে বেড়ানো লুকাকু,অ্যাজার্ডরা আছে। ইতিমধ্যেই গ্রুপের ম্যাচে তিউনিশিয়াকে পাঁচ গোলও দিয়েছে। সামনে এবার ইংল্যান্ড। লড়াই সম্মানের,গ্রুপে প্রথম হওয়ার। তথ্যের খাতিরে জানিয়ে রাখি বেলজিয়ামের সবচেয়ে বাজে হার কিন্তু ইংল্যান্ডেরই বিরুদ্ধে,১২-২ গোলে। তবে এবার ডেভিলসরা নিছক ডার্ক হর্স না,ফেবারিট। তাই লুকাকুদের সামনে লড়াই হ্যারি কেন দের— জমাটি। রেজাল্ট কি হবে প্রফিসির বোকামো করতে চাই না তবে এ ম্যাচ এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপের অন্যতম জমজমাট ম্যাচ হয়ে উঠতেই পারে।
আবার ভয় হয়,দুদলই যেহেতু কোয়ালিফাই করে গেছে, নিছক পাটিগনিতের গোল পার্থক্যর জন্য ঝুঁকি হীন বোরিং ফুটবল না হয়ে যায়।
No comments:
Post a Comment