ব্লগ-টগ

প্রকাশ্যে আত্মপ্রকাশের ঘরোয়া সূত্র

Post Page Advertisement [Top]

To Place your advertisement here call - +917980316633/+918145704098



টিম রিভিউ : "পিরামিডের দেশ" বলে সারাবিশ্বে পরিচিতি লাভ করা মিশর এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম চমক হতে চলেছে বলে ফুটবল বিশেষজ্ঞদের ধারণা। এই বিশ্বকাপের জন্য ছাড়পত্র পেতে তারা যা করেছে,তাকে "ছোটখাটো চমক" বলা যেতেই পারে,বিশেষত কঙ্গোর বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের যোগ্যতানির্ণায়ক পর্বের ম্যাচে ৯৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে পাওয়া গোলের মাধ্যমে ২৮ বছরের দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়া।

বিশ্বকাপে মিশর: বিশ্ব ফুটবলে "দ্য ফ্যারাওস" নামে পরিচিত ও সাতটি "আফ্রিকান কাপ ওফ নেশন্স" জয়ী মিশরের কাছে এটি তৃতীয় বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা হতে চলেছে,যাতে তারা অংশগ্রহণ করবে ১৯৩৪ এবং ১৯৯০ এর পরে।

                   এবার একঝলকে দেখে নেওয়া যাক এবারের মিশরের জাতীয় ফুটবল দলের খুটিনাটি---

কোচ: এবারের মিশরের জাতীয় দলের প্রশিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন  ইন্টার মিলান,ভ্যালেন্সিয়া,রিয়াল বেটিসের মত ক্লাবকে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রাক্তন আর্জেন্টিনিয় ফুটবলার হেক্টর রাউল কিউপার।

গোলরক্ষক : বর্ষীয়ান গোলরক্ষক এসাম এল হাদারি সম্ভবত রাশিয়া বিশ্বকাপে তেকাঠির নিচে থাকবেন,কারণ যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বের ম্যাচগুলিতে তার অসামান্য প্রদর্শন। অতিরিক্ত হিসেবে হয়ত শেরিফ এক্রামি,আহমেদ এল শেনাওয়ে এর মধ্যে বেছে নাওয়া হবে।

রক্ষণ: রক্ষণের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই ক্লাব ফুটবলে মিশরের লিগে,নয়ত সৌদি আরবের লিগে খেলেন। যেমন, অনুর্ধব ২০ খেলোয়ার রেমি রাবিয়া,বর্ষীয়ান  আহমেদ ফাথি,মহম্মদ আব্দেল শাফি,আহমেদ এল মোহামাদি ইত্যাদি।আবার, আহমেদ হেগাজি, আলি গবর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলেন।

মাঝমাঠ : মিশরের মাঝমাঠে বেশ কিছু অভিজ্ঞ মুখ রয়েছে,যার মধ্যে মহম্মদ এল নেনি বিশ্ব ফুটবল মহলে অন্যতম পরিচিত নাম। তাছাড়াও, স্যাম মোর্সে, ট্রেজেগুয়েট,রামাদান  সোভি, শিকাবালা,তারেক হামেদ প্রভৃতি খেলোয়াড়রাও কেউ সৌদি আরব বা ইংল্যান্ডের ২য় ডিভিশন বা কেউ তুরস্কের লিগে খেলে স্বল্প পরিচিতি অর্জন করেছেন।

আক্রমণভাগ : আক্রমণভাগের মধ্যে সবথেকে উল্লেখনীয় নাম হলো মহম্মদ সালা,যিনি নিজে এখন ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলে "গোল্ডেন বুট" এর দৌড়ে আছেন এবং মিশরকে রাশিয়া বিশ্বকাপে পৌছানোর পর থেকে নিজের দেশে "জাতীয় বীর"এর ন্যয় মর্যাদা পাচ্ছেন। 

শক্তি: দু-একজন বাদে তেমন কোনো বড় নাম দলে না থাকায় প্রত্যাশার চাপ কম।তাছাড়াও দলের বেশকিছু খেলোয়াড় ইউরোপে খেলায় বিশ্বকাপের মত প্রতিযোগিতায় তা কাজে লাগতে পারে।

দূর্বলতা: অধিকাংশ খেলোয়াড়ের কাছে এটাই প্রথম কোনো বড় প্রতিযোগিতা হওয়ায় অনভিজ্ঞতা একটা ফ্যাক্টর হতে চলেছে মিশরের জাতীয় দলের কাছে। মহম্মদ সালা দলের মধ্যে সবথেকে বড়ো নাম হওয়ায়,তার ওপর প্রত্যাশার চাপ একটু বেশিই।
https://ssl.gstatic.com/ui/v1/icons/mail/images/cleardot.gif

No comments:

Post a Comment

Bottom Ad [Post Page]

To Place your advertisement here call - +917980316633/+918145704098