টিম রিভিউ: ফুটবলমহলে
"বিয়ালো চেরওয়ানি(দ্য হোয়াইট অ্যান্ড রেডস)" এবং "ওর্লি(দ্য
ঈগলস)" নামে পরিচিত পোল্যান্ড এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপের অন্যতম ডার্ক হর্স।
রাশিয়া বিশ্বকাপের যোগ্যতাঅর্জন পর্বে রীতিমতো দাপট দেখিয়ে গ্রুপে প্রথম স্থান
অর্জন করার সাথেই সরাসরি বিশ্বকাপের ছাড়পত্র জোগাড় করে নিয়েছে।
বিশ্বকাপে পোল্যান্ড:
১৯৩৮ সালে পোল্যান্ড প্রথমবারের জন্য বিশ্বকাপের
ছাড়পত্র জোগাড়ে সমর্থ হয়। এরপর, ১৯৭৪,১৯৭৮,১৯৮২,১৯৮৬,২০০২,২০০৬ সালে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে পোল্যান্ডের পক্ষে সর্বোত্তম
ফলাফল ছিল ১৯৭৪ এবং ১৯৮২ সালে বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান অর্জন। ২০১৮ সালে রুশ
বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করার ছাড়পত্র অর্জন করার সাথেসাথেই অষ্টমবার বিশ্বকাপে
অংশগ্রহণ করার কৃতিত্ব অর্জন করে ফেললো।
এবার একঝলকে দেখে নেওয়া যাক পোল্যান্ডের জাতীয় ফুটবল দলের
যাবতীয় খুঁটিনাটি ---
কোচ: পোল্যান্ডের সিনিয়র
জাতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন সহকারী প্রশিক্ষক এবং ভিজওয়া ক্রাকু,গুর্নিক জাব্জে,কে জি এইচ এম জাগলেবি
লুবিনের মত পোলিশ ক্লাবকে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রাক্তন পোলিশ ফুটবলার
অ্যাডাম নাওয়ালকা এবারের পোল্যান্ডের জাতীয় ফুটবল দলের মূল প্রশিক্ষণের দায়িত্বে
রয়েছেন।
গোলরক্ষক : "সেরি
আ"র বিখ্যাত দল জুভেন্টাসের দ্বিতীয় গোলরক্ষক ওইজেক সেন্সনি সম্ভবত রুশ
বিশ্বকাপে প্রথম পছন্দ হিসেবেই পোল্যান্ডের তেকাঠির নীচে থাকবেন। এছাড়াও,অতিরিক্ত হিসেবে লুকাস ফ্যাবিয়ানস্কি,বার্টোস
বিয়ালকোস্কি,লুকাস স্কোরুপস্কির মধ্যে বেছে নেওয়া হবে।
রক্ষণ :পোলিশ রক্ষণে
অভিজ্ঞ মুখের সংখ্যাই বেশি।যেমন,কামিল
গিলিক(এ এস মোনাকো এফ সি),লুকাস পিসজেক(বরুশিয়া ডর্টমুন্ড),আর্তুর জেডরেইজেক(লেগিয়া ওয়ারশ),মাইকেল
পাজদান(লেগিয়া ওয়ারশ),থিয়াগো সিওনেক(স্প্যাল)। আবার,বেশকিছু নতুন মুখও যুক্ত করা হয়েছে।যেমন,জান
বেডনারেক(সাউদাম্পটন),বার্টোস বেরেজিনস্কি(সাম্পোদরিয়া),মার্সিন কামিনস্কি(ভি এফ বি স্টুটগার্ট),টমাস
কেজিওরা(ডায়নামো কিয়েভ) ইত্যাদি। সম্ভবত এদের মধ্যে থেকেই চুড়ান্ত রক্ষণ বেছে
নেওয়া হবে।
মাঝমাঠ : পোলিশ মাঝমাঠ
অভিজ্ঞ ও তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে। পোড়খাওয়া খেলোয়াড়দের
মধ্যে যেমন জাকুব ব্লাসিকোস্কি(ভি এফ এল উল্ফসবার্গ),মাসি রিবুস(লোকোমোটিভ মস্কো),গ্রেগর
ক্রিখোয়াক(ওয়েস্ট ব্রমউইচ অ্যালবিয়ন),খ্রিস্টফ
মাচিনস্কি(লেগিয়া ওয়ারশ) দের রাখা হয়েছে,তেমনি নতুন মুখদের
মধ্যে রয়েছেন রাফাল কুরজাওয়া,কামিল গ্রোসিস্কি,কারোল লিনেট্টি,সাইমন জুরকোস্কি ইত্যাদি নাম।
আক্রমণভাগ : পোলিশ জাতীয়
দলের সবথেকে শক্তিশালী অংশ হল এই দলের আক্রমণভাগ।টানা ৭ বার পোলিশ বর্ষসেরা
ফুটবলারের খেতাব অর্জনকারী তথা ৩ বার বুন্দেশলিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা রবার্ট
লেওয়ানডস্কি,ক্লাব ফুটবলে
নাপোলির স্ট্রাইকার আর্কাদুস মিলিক ছাড়াও ডেভিড কোওনাকি(সাম্পোদরিয়া),লুকাস টেওডরচেক(আন্ডারলেখট),কামিল উইলচেক(ব্রনবি),ক্রিস্টভ পিয়াটেক(ক্রাকোভিয়া) এর মত প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের নেওয়া হয়েছে।
এদের মধ্যে থেকেই সম্ভবত পরবর্তীতে চুড়ান্ত দল গঠন করা হবে।
শক্তি:রবার্ট
লেওয়ানডস্কির মত খেলোয়াড়ের দলে থাকায় যে পোল্যান্ডের শক্তিবৃদ্ধি হবে তা বলাই
বাহুল্য।তাছাড়াও,দলীয় সংহতি
পোলিশ জাতীয় দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক।
দূর্বলতা:সব বিভাগে
মোটামোটি ভারসাম্য থাকা সত্ত্বেও এই দলটি বেশিমাত্রায় আক্রমণভাগের ওপর নির্ভরশীল।
লেওয়ানডস্কির মত স্ট্রাইকার দলে থাকায় পোল্যান্ডকে নিয়ে প্রত্যাশার পারদ অনেকটাই
বেশি,যা টিমের পক্ষে সুখকর নয়। তাছাড়াও,অনভিজ্ঞতাও আরেকটি বড় কাঁটা পোলিশ জাতীয় দলের কাছে।
সম্ভবনা: প্রি-কোয়ার্টার
ফাইনাল।
No comments:
Post a Comment