ঝড়টা আসবে সবাই বুঝতে পারছিল। সাবধানও করেছিল
অনেকে । কিন্তু নিখিল বাবুর মন মানছিল না। বারবার মনে হচ্ছিল পরিবর্তন কি এত সহজে
আসে ! তিরিশ বছরের বেশি হয়ে গেছে , সবাই অভ্যস্ত হয়ে গেছে । ছোট খাটো সমস্যা
থাকতেই পারে, কিন্তু তাই বলে একেবারে
ক্ষমতাচ্যুত ! এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। আর তাছাড়া সবার এতে রাজী হয়ে যাওয়া কি ছেলেখেলা নাকি ! স্ত্রী রাখী দেবী
কয়েকবার সতর্ক করার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু নিখিল বাবু গুরুত্ব দেননি। এটা
একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার।
দেখতে দেখতে দিনটা চলে এলো। সকাল থেকেই নিখিল
বাবুর মনে চাপা উত্তেজনা । আগে থেকেই তিনি সন্ধেবেলা সবাইকে আসতে বলেছেন। যা হবে
তখন ই দেখা যাবে।
ঠিক সাড়ে সাত টার সময় সবাই জড়ো হতে লাগলো। বসার
ঘরটায় তখন বেশ ভীড়। সবাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসেছে। হালকা আলোচনাও চলছে কি হবে এবারে ! অবশেষে দরজা দিয়ে মেঘা ঢুকলো । ওর চোখ মুখের
চেহারা দেখেই সবাই বুঝে গেছে সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ। সবার দিকে এক ঝলক দেখে নিয়ে মেঘা
বলতে শুরু করল।
"তোমরা সবাই জানো আজ বাবা চাকরি থেকে অবসর নিলো। আজ থেকে বাবার যাবতীয় দায়িত্ব আমার। বাড়ির কাজের মাসীর মাসোহারা থেকে ড্রাইভার এর টাকা , বাড়ির গৃহস্থলীর জিনিস থেকে ঠাকুমার ওষুধ সব কিছুই আমি করবো । আর বাবা এখন থেকে এই সব চিন্তা থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন ভাবে বাকি জীবনটা কাটাবে । "
ঘরে উপস্থিত পিসি,কাকা,ঠাকুমা,মামা, এমনকি কাজের মাসি পর্যন্ত উল্লাসে এই প্রস্তাব সমর্থন করলো। অবসর জীবনের শুরুতেই ক্ষমতার ভরকেন্দ্রচ্যুত হওয়ায় নিখিল বাবু একটু ক্ষুন্ন ভাব দেখালেন । কিন্তু মনে মনে কিন্তু ভীষণ খুশি হলেন। কিছু পরিবর্তন সুখের হয়। নিজেকে গর্বিত করে। বাবা হিসেবে !
"তোমরা সবাই জানো আজ বাবা চাকরি থেকে অবসর নিলো। আজ থেকে বাবার যাবতীয় দায়িত্ব আমার। বাড়ির কাজের মাসীর মাসোহারা থেকে ড্রাইভার এর টাকা , বাড়ির গৃহস্থলীর জিনিস থেকে ঠাকুমার ওষুধ সব কিছুই আমি করবো । আর বাবা এখন থেকে এই সব চিন্তা থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন ভাবে বাকি জীবনটা কাটাবে । "
ঘরে উপস্থিত পিসি,কাকা,ঠাকুমা,মামা, এমনকি কাজের মাসি পর্যন্ত উল্লাসে এই প্রস্তাব সমর্থন করলো। অবসর জীবনের শুরুতেই ক্ষমতার ভরকেন্দ্রচ্যুত হওয়ায় নিখিল বাবু একটু ক্ষুন্ন ভাব দেখালেন । কিন্তু মনে মনে কিন্তু ভীষণ খুশি হলেন। কিছু পরিবর্তন সুখের হয়। নিজেকে গর্বিত করে। বাবা হিসেবে !
No comments:
Post a Comment