৩রা আগস্ট, ১৯৮৪ এক
নতুন সূর্যের জন্ম দিয়েছিলেন কে বি ছেত্রী এবং সুশীলা ছেত্রী (ঘটনাসুত্রে যিনি
আবার নেপালের জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের প্লেয়ার)
'সুনীল ছেত্রী – আমার ক্যাপ্টেন, আমার দেশের ক্যাপ্টেন'
যার কোন লোকবল লাগে না, ভাষণ দিতে
হয়না, রাজনীতি করতে হয়না। শুধু একবার ডাকলেই হাজার হাজার ভারতবাসী এককথায় মাঠ
ভরিয়ে দেয়। একাবার ডাকলেই আট থেকে আশি বসে পরে টিভির সামনে। IPL এর জুয়াবাজীর
জন্যে নয়।
ফুটবলের টানে, ক্যাপ্টেনের ডাকে।
শুরুটা হয়েছিল ২০০২-০৩ এ মোহনবাগানে।
তারপর জেসিটি, ইস্টবেঙ্গল, ডেম্পো, মুম্বাই সিটি এফসি হয়ে ব্যাঙ্গালর এফসি-তে। সব
দলেই এই তরুন তুর্কি করেছে বাজিমাত। তার জেদ, তার হতাশা, তার আস্ফালন, তাকে পৌঁছে
দিয়েছে বিশ্বের দরবারে। দুই কিংবদন্তী রোনাল্ডো(৮১) এবং মেসির(৬৪) এর পরেই আমাদের
ক্যাপ্টেনের স্থান ৬১ গোলে।
একটু অবাক লাগছে তাই না? একটু হাসি
পাচ্ছে হয়তো কার সাথে কার তুলনা হচ্ছে?
কিন্তু বিশ্বাস করুন যুদ্ধটা ঠিক
ওদের সাথেই। যুদ্ধটা ওই ভারতীয় ফুটবল শুনলেই নাক সিটকানো ছেলেটার সাথে। তাদের সাথে
যারা ইপিএল বা লা লিগার পর ভারতের ফুটবল
নিয়ে কথা বলতে লজ্জা পায়। যুদ্ধটা তাদের সাথে আর এই যুদ্ধে আমাদের ক্যাপ্টেন সুনীল
ছেত্রী। যে বিশ্বাস করতে শিখিয়েছে – হ্যাঁ আমরা পারি। আমরাই পারি।
যেই ছেলেটা গোল মিস করার পর সজোরে মাঠে ঘুষি চালাতে পারে, যেই ছেলেটা গোল করেই মাঠের দর্শকদের প্রতিদিন উৎসর্গ
করতে পারে, যেই ছেলেটা প্রতিদিন ভারতকে সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে দেওয়ার স্বপ্ন দেখতে
পারে তার জন্যে ভারতের হয়ে একটু গলা ফাটাতে পারবো না আমরা!
এইভাবেই তো একদিন ক্রিকেটের স্বপ্ন
দেখা শুরু হয়েছিল আর আজ কোহলি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পৃথিবী জুড়ে। তবে ফুটবল কেন নয়?
হতেই হবে। দশকোটির ভারতবর্ষ
একসাথে চেঁচিয়ে উঠলে পরিকাঠামো বদলে যেতে বাধ্য। দশকোটির ভারতবর্ষ একসাথে চেঁচিয়ে
উঠলে জেজে, সান্দেশ, গুরপ্রীতরা জীবনের
সবকিছু দিতে বাধ্য।
তারবদলে ক্যাপ্টেন শুধু চেয়েছে আমাদের
সাপোর্ট। ইপিএল, লা লিগা বা বুন্দেশলিগা দেখে এটুকুন সময় বার করতে পারবো না আমরা?
নিশ্চয়ই পারবো। পারতেই হবে। সুনীল
ছেত্রী জাহাজের হাল ধরেছে, সামনে থেকে প্রতিনিধিত্ব করছে, আমাদের শুধু ভরসা করতে হবে
তাদের।
৯৭ এ আছি আপাতত। আর সামনে ৯৬ জন…
চলুন জাহাজটায় উঠেই পড়ি।
বিশ্বকাপে ‘ইন্ডিয়া-ইন্ডিয়া’ বলে চিৎকার
করার ইচ্ছেটা কিছুতেই শালা ছাড়তে পারছিনা আর…
No comments:
Post a Comment