- আজ এতদিন বাদে হঠাৎ মনে পড়ল?
- হুঁ।
- কেন?
- বোঝোনি? তখন অভিমান হয়েছিল।
- আমি তো চেষ্টা করেছিলাম সবটুকু ধুয়ে মুছে ফেলার।
একবার নয়, বহুবার।
- বিশ্বাস হয়নি।
- হাহ।
- আরও কয়েকবার ফিরে এলেনা কেন?
- ভেবেছিলাম আমার তবে প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়েছে।
- সারাজীবন ছেলেমানুষই থেকে গেলে।
- তুমিও তো মন্দলাগা গুলোকে দূরে ঠেলে একবার হাতটা
বাড়িয়ে দিতে পারতে। পারতে না?
- হ্যাঁ। পারতাম হয়ত।
- তখন যদি সব ভুলে পরস্পরকে জাপটে ধরে একটা গোটা বিকেল
ধরে অঝোরে কাঁদতে পারতাম আমরা, যদি সীমানাহীন আকাশের গভীরতার মতোন ভালোবাসার দিকে দু'চোখ
তুলে তাকাতে পারতাম আমরা, যদি ছোটখাট ভুল ত্রুটি, স্বার্থপরতাকে তুচ্ছ ভেবে নিজের করে
নিতে পারতাম আমাদের অসম্পূর্ণগুলোকে, তাহলে হয়ত আজ আমাদের জীবনের দৃশ্যপট অন্যরকম হতেই
পারতো। তাই না?
- হয়ত। আচ্ছা, দেরি হয়ে গ্যাছে খুব? যা যা বলছ তা কি
এখন সম্ভব নয়? আঁকড়ে ধরা যায়না আবার আমাদের নিটোল বন্ধুতার গল্পগুলোকে?
- মনে আছে , তোমাকে সূর্যমূখী বলে ডাকতাম। আজও যখন
আলোর ছটা গায়ে এসে পরে, মনে হয় তুমি আলতোভাবে ছুঁয়ে যাচ্ছ ঢেকে রাখা অনেক ক্ষত। আজও
নিষ্পাপ শিশুর হাসির সারল্যতায় তোমাকেই খুঁজি, অজান্তেই। আজও শাসন করে তোমাকে বলতে
ইচ্ছে হয়, ' রাস্তাঘাটে ঠিক করে হাঁটতে শেখো '। আজও রাতবিরেতে ভীষণ একা লাগলে তোমার
কাছেই যতরকম আজগুবী আবদার করতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু এখন আমাদের মধ্যে জাঁকিয়ে বসা দূরত্ব
সবকিছুই তো আড়াল করে দিয়েছে।
- সত্যি ই কি তাই? পেরেছে কি সবকিছু আড়াল করে দিতে?
ফোনের এপারে ওপারে ছেয়ে গ্যাছে ভীষণরকম নিস্তব্ধতা।
উত্তপ্ত বালির সৈকতে কি তবে আরও একবার আছড়ে পড়বে অস্থির হওয়া ঢেউ নাকি জানলার কাঁচজুড়ে
জায়গা করে নেবে অসময়ের বৃষ্টিপাত, কিছু প্রশ্নের উত্তর না হয় চাওয়া পাওয়াদের গা ঘেঁষে
আজ নাই হাঁটুক তবে।
No comments:
Post a Comment