"Hima das, the indian is searching, she can see the line, she can see history, India has never won any medal in the track event, but that's it done here, brilliant 51.47,history made in Tampere, Hima Das has done it"
রূপকথার জন্ম, মিলখা, পি টি উষাদের উপত্যকায় নতুন এক তারা, হিমা দাস। অসমের ধানক্ষেত থেকে উঠে এসে একছুটে সোনা দেশের হাতে, ভারতবর্ষ প্রথম সোনা পেল ট্র্যাক ইভেন্টে। ইতিহাস তৈরী হতে সময় লাগল ৫১.৪৬ সেকেন্ড। যে দেশ নির্ভয়া , আসিফাদের, সেই দেশে নতুন স্বপ্ন এল হিমাকে ভর করে।
সত্যি মেয়েদের দিকেই তাকিয়ে আমরা। ধিং থেকে ট্যাম্পের, হিমার উঠে আসার লড়াই টা কোনো অংশে সোনা জেতার লড়াইয়ের চেয়ে কম ছিল না। অসমের নঁওগা জেলার ধিং গ্রামে এক কৃষক পরিবারে জন্ম অখ্যাত হিমার। উঠে আসার লড়াইটাও খানিক টা গল্পের মত। ছেলেদের সাথে সমান তালে পাল্লা দিয়ে ফুটবল খেলত মেয়েটা, ধান ক্ষেতের পাশের মাঠটাতে, গ্রামীণ প্রশিক্ষক দেখে বলেছিলেন "তুই ছোট"। ব্যাস সেই শুরু। প্রতিভা তো চলমান ও দৃশ্যমান তাই আন্তঃ জেলা প্রতিযোগিতায় নজরে এল নিপন নামে এক ক্রীড়া প্রশিক্ষক এর। তার কথা মত একপ্রকার পরিবারের অমতেই ১৪০ কিমি পথ পাড়ি দিয়ে গুয়াহাটি পৌঁছে গেল হিমা, ছয় ভাইবোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট মেয়েটা স্বপ্নের ডানায় ভর করল। প্রশিক্ষক নিপন একনাগাড়ে বলেই যাচ্ছেন মেয়েটার লড়াই এর কথা, জেদ এর কথা, ২ বছর আগেও পায়ে স্পাইক(দৌড় এর উপযোগী জুতো) ছিল না হিমার আর আজ সে এক নতুন ভোরের সূচনা করল।
নিপনের অদম্য উৎসাহ ও হিমার ক্ষমতা, যা নিপনের কথায় ভগবান প্রদত্ত, আজ এক নতুন ইতিহাসের সাক্ষী করল গোটা দেশ কে। যে দেশে অনেক প্রতিকূলতায় অনেক প্রতিভা হারিয়ে যায় সেই দেশে হিমা দের লড়াই টা হিমালয়ের মত দৃঢ়। বাবা রঞ্জিত দাস ও মা জোমালির আজ একটাই স্বপ্ন, হিমা। আর হবে নাই বা কেন যে রাজ্যে নূন্যতম পরিকাঠামো টুকু নেই অথলেটিক্স এর জন্য , সেই রাজ্যে তাদের মেয়ে সোনা ফলালো। ১৮ মাস আগে প্রতিযোগিতায় নামা মেয়েটার হাতে একমুঠো গর্ব। শেষ ৮০ মিটার এর দৌড় টা যেন পেছনে ফেলে দিল সমস্ত প্রতিকূলতাকে।
নিপন কিন্তু বলে চলে -
আমি কিন্তু ভয় পাইনি ও যখন ফাইনাল ল্যাপ এ প্রথম ৩ জনের মধ্যে ছিল না। আমি জানতাম ও পারবে, জানেন মেয়েটার ক্ষমতা ভগবান প্রদত্ত, এই বয়েসে এরম প্রতিভা আমি দেখিনি, ও হাওয়ার মত ছোটে
আর অষ্টাদশী বলল -
আমি উপভোগ করছি
No comments:
Post a Comment