#দৃশ্য: ১
তোমার সারা মুখে ব্যস্ততা।
শাড়ির আড়ালে তখন দ্বিতীয়ার
চাঁদের মত উঁকি দিচ্ছে নাভী।
তুমি রান্না করছো॥
তোমার ঠোঁটের উপরে বিন্দু বিন্দু ঘাম।
কপালে নেমে আসছে অবাধ্য চুল।
তুমি তখন সেই আবাধ্য চুলকে বাধ্য করে
গুছিয়ে রাখছো কানের পাশে।
তুমি রান্না করছো॥
চাঁদের পাশে পেঁজা তুলোর মতো জমেছে মেঘ,
যেমন নাভীর পাশে ঘামের টুকরো।
তুমি আঁচল ঘুরিয়ে গুঁজে রাখছো কোমরে।
তুমি রান্না করছো॥
তোমার কপালে হলুদের দাগ,
হাতের চেটোতে মশলার আলপনা।
তুমি রান্না করছো॥
আমি তোমাকে দেখছি,
তোমাকে লিখছি।
তুমি তো নিজেই একটা কবিতা।
তোমাকে কী লিখবো আমি?
তুমি তো সশরীরে কবিতা মানবী।
#দৃশ্য: ২
খাবার টেবিলে খাবার সাজাতে সাজাতে
তুমি তখন ডাকছো,"এই খেতে এসো।"
আমি "হুম" বলে
তখন নতুন শব্দ খুঁজছি
অক্ষরের অরণ্যে।
যত খুঁজছি ততই হাঁরিয়ে ফেলছি।
তুমি আবার ডাকছো,"কোথায়...এসো।"
আমি,"হুঁ আসছি" বলেও
বসে আছি শব্দের সন্মোহনে।
নতুন শব্দ তখন নিয়ে যাচ্ছে আমায় আরো দূরে,
ভাবছি এই বুঝি পেয়ে গেলুম...অথচ নাঃ
তোমার গলার স্বরে কিছুটা বিরক্তি,
"এসো বলছি।"
আমি তখন প্রায় ধরে ফেলেছি শব্দটাকে।
আমি নিরুত্তর।
কিন্তু ফসকে যায় শব্দটি।
হারিয়ে ফেলি অগ্রন্থিত ভাবনার অন্ধকারে।
অবশেষে আমি যখন
ব্যর্থ হয়ে খাবার টেবিলে আসি,
মহময়ী শব্দের আঘাতে বিধ্বস্ত,ক্লান্ত হয়ে,
দেখি তুমি ঘুমিয়ে পড়েছো
হাতের উপর মুখ রেখে।
সেই মুহূর্তে আমি খুঁজে পাই
সেই পালিয়ে যাওয়া শব্দটিকে।
তোমার গালে আলতো চুমু দিয়ে
আবিষ্কারের আনন্দে
বলে উঠি "পেয়ে গেছি।"
তুমি সব রাগ ভুলে জড়িয়ে ধরো আমায়।
আমি তোমার আলিঙ্গনে একটা নিষ্পাপ
কবিতা রেখে দিই...
No comments:
Post a Comment