লেখা- ঋদ্ধিমান
স্কেচ - ঋদ্ধিমান
ঘড়ির কাটায় রাত বাড়ছে।
রাত জাগছে বাঙালী।
একটু আগেই ব্রাজিলের জয়ে বৌকথা কও এর মতন পেলব হলুদ উল্লাস পাড়ায় পাড়ায়,ফেসবুকের
পেজে পেজে।
ক্যাপ্টেন হ্যাডক বোতল বোতল মদ শেষ করে ফেলেছেন আর গর্জনশীল চল্লিশা , টাইফুন,
তারকাটা ,ল্যাদখোর ইত্যাদি নানাবিধ গালাগালি বর্ষন করছেন। কি করছে লুকাকু,হ্যাজার্ড,ফেলিনিরা,
অধৈর্য্যে পায়চারি করছে টিনটিন। কুট্টুসের তাই মনখারাপ। জাপানি সেনা দুটো গোল দিয়ে
দিয়েছে। তবে কি পরের স্টেশন কি ব্রাসেলস?
টিনটিনের কাছে জনৈক বাঙালীর মেসেজ এল। তারপর
পাতলুন ছেড়ে কাচানো ধুতি- পাঞ্জাবি পরে টিভির সামনে বসল টিনটিন। হ্যাডক অবাক। ক্যালকুলাসও
ছাতা মাথার জানালো কলকাতায় বৃষ্টি হতে পারে। আর্জেন্টিনা নেই, জার্মানি নেই,স্পেন নেই,ব্রাজিলের
সাথে টক্কর নেবে কে? অব্রাজিল বাঙালী তাই বেছে নিয়েছিল প্রিয় টিনটিনের দেশকে। টিনটিন
বাঙালী বেশে বসতেই পালটে গেল সবকিছু। এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসাবে কোয়ার্টার ফাইনালে
ব্রাজিলের সামনে দাঁড়ানোর স্বপ্ন পূরণ হল না নিপ্পনদের। দুগোলে পিছিয়ে থাকা দৈত্যরা
রক্তের স্বাদ পেলে সত্তর মিনিটে। লুকাকু না পারুক,হ্যাজার্ড না পারুক ওই পাঁচ নম্বর
জার্সি পড়া ডিফেন্ডার গোল দিয়ে দিল।
এরপরে তো ইতিহাস!সেই সত্তরের জার্মানির মতন অবিশ্বাস্য
কামব্যাকের গল্প। ফেলিনির গোল হিরোসিমা হলে ইনজুরি টাইমে চ্যাডলির গোল নাগাসাকি। রেড
ডেভিলের ট্রাইডেন্টের তিন শূলে মরে গেল জাপানের স্বপ্ন। তবুও কেউ থেকে গেল ব্রাজিলের
সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানোর মতন। ইউরোপের ককপিটে অজস্র বাঙালির উৎসাহের উড়ান এসে জমেছে।
শান্ত থাকুন মিস্টার হ্যাডক। কুট্টুস তুমি স্নোয়ি নও আজ থেকে ,কেবল কুট্টুস! এবার যেদিন
ফেলিনিরা বল নিয়ে দৌঁড়বে নেইমার , কুটিনহোর বিরুদ্ধে টিনটিন তুমি কোনির ক্ষিদ্দার মতন
চিৎকার কোরো “ফাইট লুকাকু ফাইট,ফাইট হ্যাজার্ড ফাইট,ফাইট ফেলিনি ফাইট।
No comments:
Post a Comment