ব্লগ-টগ

প্রকাশ্যে আত্মপ্রকাশের ঘরোয়া সূত্র

Post Page Advertisement [Top]

To Place your advertisement here call - +917980316633/+918145704098

- অয়নিতা সাহা 


পুজোর মধ্যে প্রতিদিন এই বৃষ্টিটা পুজোর পুরো মুডটাই মাটি করে দিল। কিচ্ছু ভালো লাগছে না নীলু ওরফে নীলাঞ্জনার। ওদিকে সৌরভের বাড়িতেও হাজারটা ঝামেলা সামলাতে সামলাতে সে বেচারাও আর নীলুর সাথে পুজো দেখতে আসতে পারল না। বৃষ্টিটা ওদের একসাথে থাকার দ্বিতীয় পুজোটা কাদা-জল ঢেলে এক্কেবারে যাচ্ছেতাই করে দিল। নীলুর খুব রাগ হচ্ছিল, বিরক্তি লাগছিল সব কিছুর ওপর। পুজোর এই ক'টা দিন ও আর ব্যালকনিতেও বেরোয়নি রাগ করে। আজ কদিন পর বিকেলে ব্যালকনিতে এসে দাঁড়াল বাবার সাথে। আনমনা হয়ে সৌরভের কথা ওদের সম্পর্কের কথা ভাবতে ভাবতে বাবার কথাগুলোর বেশিরভাগই মিস হয়ে যাচ্ছিল ওর। আসলে এই পুজোটা একসাথে কাটানোটা খুব দরকার ছিল ওদের। ওদের এই প্রায় তিন বছর ছুঁইছুঁই সম্পর্কটার ওপর দিয়ে বহু ঝড়-ঝাপটা গেছে। তাও কোনোক্রমে প্রায় কোমাতে চলে গিয়েও টিকে আছে সম্পর্কটা। পুজোতে দেখা করে, ঠাকুর দেখে, একসাথে কিছুটা সময় কাটিয়ে কথা বলে সম্পর্কটাকে আর একবার, শেষবার একটা সুযোগ দিতে চেয়েছিল ওরা। সেটা বোধহয় আর হয়ে উঠল না। 

এইসব সাত-পাঁচ, সৌরভের ভাষায় হ্যান-ত্যান-সাত-সতেরো ভাবতে ভাবতে, নীলুর চোখ পড়ল ব্যালকনির কোণায় রাখা ফুলের টবতাতে। কাগজ ফুলের গাছটা মরেই গেছিল প্রায়। বাবার অফিসে এখন কাজের প্রচুর চাপ, সামনের বছর আবার রিটায়ারমেন্ট। হাজার একশটা টেনশন বাবার মাথায়। সবকিছু সামাল দিতে গিয়ে বাবার সাধের গাছটার যত্ন পুরোপুরিই বন্ধ। বাবা কয়েকবার নীলুকে বললেও ওর মনে থাকে না গাছে জল দিতে। অযত্নে অবহেলায় তাই এই দশা হয়েছিল ওটার। আজ তো ওটার চেহারা দেখে পুরো অবাক নীলু। এই কদিনের বৃষ্টিতে গাছটা বেঁচে উঠেছে, ছোট্ট ছোট্ট বেশ কয়েকটা পাতা বেড়িয়েছে। নীলু বাবাকে ডেকে দেখাল। বাবার মুখেও হাসির রেখা দেখা দিয়েছে। ঠিক এই সময়ই ঘরে নীলুর ফোনটা বেজে উঠল। রিংটোনেই বুঝেছে সৌরভের ফোন। দৌড়ে ঘরে চলে গেল ফোনটা ধরতে।



No comments:

Post a Comment

Bottom Ad [Post Page]

To Place your advertisement here call - +917980316633/+918145704098