নির্দেশ
একটা স্বপ্ন, এক উন্মাদ ভোরের মত,
একটা শহর বিকেলের
লাল আভা দিয়ে সাজানো
ছিল,
একটা রাত হয়ত স্মৃতির আবেগ।
কিন্তু বাতাসে তো
বারুদের গন্ধ,
৫ বছরের রক্তাক্ত লাশ
কিংবা আরও কম।
এখানে বন্দুক কথা বলে,
নল ঠেঁকিয়ে আদায় করে
পাওনা।
মানবতার শরীর নিংড়ে বের
হয় শয়তানের শোভাযাত্রা,
যুদ্ধবিমান ঘোরে আকাশ
চিঁড়ে,
ভাগ্যিস নিরপরাধ শিশু,
চিৎকারের ডাক ভেদ করেনি
কাঁচের দেওয়াল,
শুধু শোনা গিয়েছে
নির্দেশ।
শহর
শহর তোমায় চেনে
অনেকদিন।
১০ টা ৫টার অফিস,
বৃষ্টির কাদাজল পেরিয়েও
তোমায় চেনে শহর,
লোকাল ট্রেনের ভিড়ে
ঘমার্ক্ততা
কিংবা রোজকার ফাস্ট্রেশন
মিটিয়েও তোমায় শহর চেনে।
পার্কস্ট্রিট থেকে
বন্দর, শহর তোমায় চেনে প্রতিমুহূর্তে।
অথচ স্মৃতির সরনী বেয়ে
নামতে গিয়েও তোমার দেখা পায়নি।
বিলাসবহুল পাঁচতারা
থেকে ফুটপাত
অজস্রবার খুঁজে পায়নি
একবারও।
অভ্যাস,জল হয়ে বয়ে গেছে
বয়ে গেছে বহুদূর,
যেখানে নৌকা যায়না।
তাই শহর ফেরেনি আর
বিকেলের স্টিমার ঘাটে।
তুমি জানতে চাওনি
একবারও,
তাই একহাটু জলে ডুবে
থাকা নতজানু শহরকে দেখতে পাওনি কোনোদিন।
যদি জানতে চাইতে
তোমায় বলতাম শহরের কথা।
শহর সুখ চেনে তবে খোঁজ
পায়নি বহুদিন।
শহরের একাকীত্ব ভীষন
অন্যরকম।
তার একপ্রান্তে আবেগ,
দুটো স্মৃতির মোড় পার
করে
একটা মনখারাপের বাইলেন।
সেই বাইলেনের ৭ নম্বর
ঘরটা ঘিরে
জমাটবদ্ধ অভিমান।
খোঁজ লাগালে জানতে
পারবে না,
অনুভূতিকে পাঠিয়ো
কোনোদিন, যদি ভাঙতে পারো পাথর,
সদিচ্ছায় পাঠাব সংবাদ।
No comments:
Post a Comment