ক্ষুধিত পাষাণ অক্লেশে জেগে থাকে রাতভর
পিরামিড গাত্রের সমস্ত হায়রোগ্লিফিকে
লেখা আছে মৃত্যুহীন প্রশস্তি গাঁথা
তুমি রমণের চেয়েও বেশি প্রিয়তম রমণী
আসমান জমিন বাঁকা খাত বেয়ে নীলনদী
কতদূর কতদূর মরু ছুঁয়ে বালিয়াড়ি ছুঁয়ে
নীল তৃষ্ণা নিয়ে উন্মুখ চেয়ে আছে জেনো
সে গাথাও লেখা আছে হায়রোগ্লিফিকে
প্রজাপতি স্বয়ং আজ গান্ধর্ব মতে
অঙ্গুরীয় করবেন দান ।
সুদূর টাঙ্গানিয়াকায় লুটিয়ে পড়ে যে প্রেম
বহমান নীল জলে দিয়েছে সে আত্মবিসর্জন
ফ্যারাও শুদ্ধি জানে ... মন্ত্রশুদ্ধি হলে
রাজরক্তে বুনে দেবেন স্থবির বিশ্বাস
...
রাণী তিলোত্তমা ...মহীয়সী ... হে রাজন ।
এক সমুদ্র বালু রাশির ঝড়
এক মুহূর্ত জেগে ওঠো মমির কবর
একশ ক্রোশ নীল নদী সময় পেরিয়ে
তোমার ছেনির আঘাতে ছেনিয়ে ছেনিয়ে
ছিনিয়ে নিও সমগ্র মিশর।
ঐখানে সিংহসাজে মানব দাঁড়িয়ে
রণ রক্ত বিফলতা দু পায়ে মাড়িয়ে
শুধু হীন পরাক্রমে দাবি করে স্থাবর অস্থাবর
আমায় শূন্য করো ঝলসে মারো তপ্ত মরুঝড়
ভূকম্পনে ধ্বসে যাক পিরামিড সভ্য নগর
তোমার ছেনির আঘাতে ছেনিয়ে ছেনিয়ে
ছেনিয়ে ছেনিয়ে ছেনিয়ে ছেনিয়ে
রক্তাক্ত করে দাও সমগ্র মিশর...
No comments:
Post a Comment