সম্প্রতি
বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবনের অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের ও অধ্যাপকদের হিন্দি চটুল
গানের সাথে সাথে নাচের যে ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে তাতে বিশ্বভারতীর ছাত্রী হিসেবে
নিঃসন্দেহে লজ্জিত হয়েছি। একই সঙ্গে ক্ষুব্ধ হয়েছি মিডিয়ার ভূমিকায়। বিশ্বভারতীর
মতো ঐতিহ্যশালী প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে এমন কোনো ঘটনা ঘটলে এবং বাইরে তা প্রকাশ
পেলে তা কতখানি সম্মানহানিকর তা অবশ্যই কর্তৃপক্ষের মনে রাখা উচিত ছিল। কিন্তু
সঙ্গীত ভবনের ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে যতটুকু শুনেছি.. ঘটনাটিকে যেভাবে শিক্ষক
দিবসের অনুষ্ঠানের অঙ্গ বলে প্রচার করা হচ্ছে ব্যাপারটা আদৌ সেরকম নয়। শিক্ষক
দিবসের অনুষ্ঠান চলছিল প্রায় সকাল ১০ টা থেকে এবং এই ঘটনাটি ঘটেছে ভবনের ভেতরে
কেবল ছাত্রছাত্রী এবং অধ্যাপকদের মধ্যে। সম্পূর্ণ আড্ডা ও মজার ছলে। মিডিয়া যেখানে
সম্পূর্ণভাবে অনুপস্থিত ছিল এবং প্রথম থেকে যে অনুষ্ঠান হয়েছে তার বিন্দুমাত্র
দেখানো হয়নি। ফলে মনে হয়েছে গোটা অনুষ্ঠানে জুড়েই এমন ঘটনা ঘটেছে।
তবে
আমার মনে হয় এমন ধরণের ঘটনা যদি সত্যিই এতটাই নিন্দনীয় হয়ে থাকে.. তাহলে তার ভার
কেবল বিশ্বভারতীর নয়। বিশ্বভারতী যতই ঐতিহ্যশালী প্রতিষ্ঠান হয়ে থাক না কেন,
এখনকার ছাত্রছাত্রীরা শত হোক বর্তমান যুগের ছেলেমেয়ে। তারা ছোট থেকে সেই সমাজেই বড়
হয়েছে যেখানে তারা প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে অপসংস্কৃতিকেই সংস্কৃতি হিসেবে গৃহীত
হয়ে আসতে দেখেছে। বিশ্বভারতীর ছেলেমেয়েরা নিজেদের সংস্কৃতি, রুচিবোধকে বহুলাংশে
অন্যান্যদের তুলনায় উন্নত রেখেছে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে তবুও যে এরকম
অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যায়, তবে তার দায়িত্ব কোনোভাবেই বর্তমান সমাজেব্যবস্থা এড়াতে
পারে না।
No comments:
Post a Comment