আজ অনেক দিন পর আকাশটা
সোনা রোদে ঝকঝক করছে,
বারন্দায় পাতাবাহারের সবুজ পাতা গুলো
রোদের আঙিনায় মেলে দিয়েছে তার বাহার,
সবুজ পাখীটা গাছের ডালে বসে
সবুজ ডানা ঝাপটাচ্ছে।
নীল ডুরে শাড়ী পড়া মেয়ে
হাঁটতে হাঁটতে
এগিয়ে যাচ্ছে অনেক দূর---,
তার নীল শাড়ীর আঁচল বাতাসে উড়ছে--
সে এগিয়ে যাচ্ছে
সামনের পথের দিকে।
আমি আমার পূবের জানলায়
চোখ মেলে তাকিয়ে আছি,
শ্রাবণের আকাশে হালকা রোদের
ছোঁয়ায়
অল্প ভাসা মেঘের ভেলা।
নীল রঙের শাড়ীর আঁচলটা
আবার সামনে এগিয়ে
আসছে---,
রোদের দিকে তাকিয়ে যেন ভ্রুকুটি করছে--
এমন শ্রবণ দিনে রোদ কেন?
চোখে নিঃশব্দ প্রশ্ন--;
হঠাৎ কালো মেঘে আকাশ ছেয়ে গেল,
কিছুক্ষণ এলোমেলো হাওয়া---
শাড়ীর আঁচল সামলাতে ব্যস্ত মেয়ের
চোখে বিহ্বল দৃষ্টি---,,
ঝমঝম করে বৃষ্টি নামল-
দৌড়ে গিয়ে মেয়েটি দাঁড়াল
একটি ঘেরা চাতালের তলায়,
মেয়েটি এদিক ওদিক
চেয়ে
কাকে যেন খুজছিল---;
ওঃ ওই তো সামনের বাড়ী থেকে ছাতা হাতে
দ্রুত পায়ে এগিয়ে আসছে এক যুবক,
মেয়েটির মুখে হাসি
ফুটে উঠল--;
এক মিষ্টি উন্মাদনায় দুজনে
বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে এগিয়ে চলল---।
কলিং বেলের তীক্ষ্ণ
শব্দে ঘোর কাটল
ঘরের মানুষ ঘরে এলো--,
উফ্ একদম ভিজে গেছি--,
একটু গরম চা হবে?
একি জানলাটা বন্ধ করনি?
সব ভিজে গেল
যে--,
যাক্ না ভিজে--;
আচ্ছা ওরা আর কতদূর
যেতে পারবে ভিজে ভিজে?
কি--?
কাদের কথা বলছ?
না না কিছুনা--,
চায়ের জলটা ফুটে গেল বোধহয়--।।
No comments:
Post a Comment