"You are a good fan, so I
will not be a fan of Soumitra!
Your group Eastbangal
I will forget Mohunbagan!
You are Suchitra , I am
your kapilika kapil , my sunny!
Revolution in your dream so
I can not go to vote! "
will not be a fan of Soumitra!
Your group Eastbangal
I will forget Mohunbagan!
You are Suchitra , I am
your kapilika kapil , my sunny!
Revolution in your dream so
I can not go to vote! "
কবিতায় এমন হলেও এই বাঙলায় সহজে এমনটা হয় না। এমনটা
বলতে আমি মহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের কথা বলছিলাম। এ বছর কলকাতা লিগ তাঁবুতে চলে আসার
পর আর তো মোটেই হবে না। কোন কিছুর জন্যই মোহনবাগান ভোলা যাবে না। ইস্ট বেঙ্গল,
মানে লোটারা যতই মাচা বলে গাল দিক, ওরাও জানে দীর্ঘ আট বছর ওই কোলকাতা লিগটাই ছিল
একমাত্র সম্বল, এবার তো তাও গেল।
জানি লাল হলুদ বাহিনী, এইটুকু পড়েই ধুত্তোর বলে
বিস্তর গালি গালাজ করে পাল্টা যুক্তি আর পরিসংখ্যান রেডি করে ফেলেছেন ট্রল করবেন
বলে। আমি বিতণ্ডা চাই না, সবুজ মেরুন রঙটার একটা পরম্পরা কেবল ঘেঁটে-ঘুটে তুলে
ধরতে চাই। সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি, ফুটবল আর সেই ফুটবলে বাঙালির স্পষ্ট এক
দ্বিজাতিয় তত্ব আছে। ইলিশ-চিংড়ি, দুটোই হামলে পড়ে খেলেও, ওই নব্বই মিনিটের জন্য
লাল-হলুদের কাছে চিংড়ি জলের পোকা,ঘৃণ্য। তেমনই মেরিনার্সদের কাছে ওই ব্যাটারা মানে
ইস্টবেঙ্গলের মশাল বাহিনী মানেই অজাত-কুজাত টাইপ। পথে, ঘাটে, সোশ্যাল মিডিয়াতে
ট্রল আর খিল্লির ফোয়ারা ছোটায়, একে অপরকে নিয়ে। কে কবার শিল্ড জিতেছে, কার কাছে
কটা জাতীয় লিগ আছে, সেয়ানে সেয়ানে টক্করে কে কাকে কতবার হারিয়েছে, সে সব অঙ্কের
হিসাব সবার জানা, চর্বিত চর্বণ করে কি লাভ। আট বছর ধরে যে খুঁতখুঁতানি ছিল, এবার
যে সেটা মিটল আর সেই সাফল্যের সেলিব্রেসনে একটু বনেদিয়ানা আনা যাক।
১৮৮৯ তে উত্তর কলকাতার তিনটে পরিবার- সেন বসু আর
মিত্র পরিবার প্রতিষ্ঠা করেছিল এই মোহনবাগান ক্লাব। তার ঠিক ২২ বছর বাদে ইস্ট
ইয়র্কশায়ার রেজিমেন্টকে হারিয়ে IFA শিল্ড যেদিন জিতে নিয়েছিল ক্লাবটি সেদিন থেকেই শুরু
হয়েছিল সোনায় লেখা ইতিহাসের।এই জয় কিন্তু কেবল এগারো জন ফুটবল খেলোয়াড়ের জয় ছিল
না। সেই সময় দেশ ধুঁকছে মহামারী, বন্যা, দুর্ভিক্ষে আর সঙ্গে ইংরেজ শাসনে নাজেহাল
এক জাতি। সেই প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে এই জয় দরকারি ছিল। সেই সময়কার অন্যতম সাহিত্য
পত্রিকা তখন – মানসী। তাতে লেখেন রবি ঠাকুর, করুনানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়, রাখালদাস
বন্দ্যোপাধ্যায় যতীন্দ্রমোহন বাগচী এমন জনপ্রিয় কবি সাহিত্যিকেরা। সেই পত্রিকাতেই
করুনানিধান লিখলেন সেই সাফল্যের জয়গান-
“জেগেছে
আজ দেশের ছেলে পথে লোকের ভিড়
অন্তঃপুরে
ফুটল হাসি বঙ্গবাসীর।
গোল
দিয়েছে গোরার গলে বাঙালির আজ জিত,
আকাশ
ছেয়ে উঠছে উধাও উন্মাদনার গীত।
আজকের
এই বিজয় বানী ভুলবে নাকো দেশ,
সাবাশ
সাবাশ মোহনবাগান! খেলেছ ভাই বেশ।”
এরপর থেকে আজ পর্যন্ত অনেক মুহূর্ত
আর আবেগ রয়ে গেছে এই ক্লাবটিকে ঘিরে। ১৯১৫ সালের ১৫ মে মোহনবাগান প্রথম কলকাতা ফুটবল লিগের ফার্স্ট ডিভিশনে খেলে
ক্যালকাটা ক্লাবের বিরুদ্ধে।এই লিগ ছিল ভারতের প্রথম ফুটবল লিগ। ১৯৩৭ সালে
মোহনবাগান ইংল্যান্ডের ইংলিশটন করিন্থিয়ানসের বিরুদ্ধে প্রথম
আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে।১৯৩৯ সালে মোহনবাগান দীর্ঘ ২৫ বছর অপেক্ষার পর প্রথম
ভারতীয় ক্লাব হিসাবে কলকাতা ফুটবল লিগের চ্যাম্পিয়ন হয়।
মোহনবাগান প্রথম ভারতীয় দল যারা আহত
খেলোয়াড়দের চিকিৎসার সাহায্যের জন্য বিমা প্রকল্প চালু। ১৯৪৭ সালে মোহনবাগান
আবার আইএফএ শিল্ড জয় করে আর স্বাধীনতার
পর প্রথম আইএফএ শিল্ড-জয়ী ভারতীয় দল হয়ে যায় মোহনবাগান। সেই বছরেই মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে কলকাতা ফুটবল
লিগও জয় করে। ১৯৫২ সালে মোহনবাগান আবার আইএফএ শিল্ড জেতে। ১৯৫৪ তে মোহনবাগানই
প্রথম দল হিসাবে পরপর আইএফএ শিল্ড ও ফার্স্ট ডিভিশন কলকাতা ফুটবল লিগ জয় করে
কলকাতার দ্বিমুকুট পায়। ১৯৭৭ সালে মোহনবাগান আইএফএ শিল্ড, ডুরান্ড কাপ ও রোভার্স কাপ জয়
করে ত্রিমুকুট পায়। ১৯৭৭ সালে মোহনবাগান বিখ্যাত নর্থ
আমেরিকান সকার লিগ দল নিউ ইয়র্ক
কসমসের বিরুদ্ধে একটি মৈত্রী ফুটবল ম্যাচ খেলে। এই ম্যাচে পেলে নিউ ইয়র্ক কসমসের হয়ে খেলেছিলেন।ইডেন
গার্ডেন স্টেডিয়ামে আয়োজিত এই ম্যাচে ৮০,০০০ দর্শক
এসেছিলেন।খেলা অমীমাংসিত থাকলেও মোহনবাগানের খেলা সকলের প্রশংসা কুড়ায়।১৯৭৮ সালে
মোহনবাগান আবার এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠে। কিন্তু এবার তাদের ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের
সঙ্গে ট্রফি ভাগ করে নিতে হয়।১৯৮০ সালে আবার মোহনবাগান ফেডারেশন কাপের ফাইনালে
ওঠে। ১৯৮১ সালের ফেডারেশন কাপে তারা ফাইলানে মহামেডান
স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়ে এই কাপ জেতে।এক বছর পর মফতলাল
হিলসকে পরাজিত করে মোহনবাগান আবার ফেডারেশন কাপ জেতে।১৯৮৬ সালে ইস্টবেঙ্গলকে আর
১৯৮৭ সালে সালগাঁওকর
স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়ে মোহনবাগান পরপর দুই বছর ফেডারেশন কাপ জেতে।১৯৯২
থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত পরপর তিন বছর ইস্টবেঙ্গল, মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা ও
সালগাঁওকর স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়ে মোহনবাগান তিনবার ফেডারেশন কাপ জেতে। ১৯৯৮
সালে মোহনবাগান প্রথম একসঙ্গে আইএফএ শিল্ড, ফেডারেশন কাপ ও
জাতীয় ফুটবল লিগ জয় করে। ২০০৭ সালে মোহনবাগান ইন্ডিয়ান
সুপার কাপ জিতেছিল গোলে ডেম্পো
স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়ে। ২০০৮ সালের ২৭ মে যুবভারতী
ক্রীড়াঙ্গনে এফসি বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পায় মোহনবাগান আর এফসি
বায়ার্ন মিউনিখের অফিসিয়াল টেস্টিমোনিয়ালে ছিলেন অলিভার কান, জে রোবার্তো ও মার্ক ফন বোমেলর মতন
তারকা ফুটবলারেরা।
এইসব
তো কিছু সংখ্যা মাত্র। ঘটি-বাঙ্গালের তুচ্ছ কোঁদল ছাপিয়ে মোহনবাগান আসলে এক আবেগের
নাম। কি জিতেছে, কি কি জেতেনি, কতদিন পর জিতেছে সেসব
ফ্লুকসিনোসিলিহিলিফিলিফিকেসন।আজকাল পত্রিকাতে এক প্রতিবেদনে সৌমিত্রকুমার রায় লিখেছেন
এমন এক আবেগের গল্প।
“
সাতের দশকের বিএনআরের কর্মকর্তা পশুপতি ভট্টাচার্য না থাকলে ভারতের সর্বকালের
অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার সুব্রত ভট্টাচার্যের ‘১৬ নম্বর’
বিখ্যাত হত না!
মোহনবাগানের ‘বিখ্যাত’ ১৬ নম্বর জার্সি। জাতীয় দলেও ১৬। শুধু কী জার্সি। প্রাক্তন ফুটবলারের গল্ফগ্রিনের পুরনো ফ্ল্যাট নম্বর, টেলিফোন নম্বর থেকে গাড়ির নম্বর—১৬ থাকা চাই। ১৬ বছর পর মোহনবাগান ‘রত্ন’ পাচ্ছেন সুব্রত। সরকারি ঘোষণার পরের দিন সকালে ভবানীপুর তাঁবুতে বসে ‘১৬ নম্বর রহস্য’ ফাঁস করলেন স্বয়ং জার্সির মালিক। সালটা ’৭১। বিএনআরে সই করার পর সাধারণত ২ বা ৩ নম্বর জার্সি পরে অরুণ ঘোষের সঙ্গী হয়ে রক্ষণে খেলতেন। তার বছর দুই পরে সই করেন বলাই চক্রবর্তী। তিনি আসার পর কোচ তুলসীদাস বলরামের কোচিংয়ে প্রথম একাদশে জায়গা হত না সুব্রতর। কিন্তু কলকাতা লিগে পোর্ট ট্রাস্টের কাছে ম্যাচ হারায় ভীষণ রাগারাগি করেন কর্তা পশুপতি ভট্টাচার্য। বলেন, পরের ম্যাচে যেন বাবলুকে প্রথম একাদশে রাখা হয়। যথারীতি পরের ম্যাচে বলরামের প্রথম দলে ছিলেন না সুব্রত। ম্যাচ শুরুর আগে পশুপতি টিম লিস্ট দেখে রেগে লাল। তারপর কী হল? শুনুন সুব্রতর মুখে— ‘পশুপতিদা যখন এসেছেন, ততক্ষণে টিম লিস্ট জমা পড়ে গেছে। জার্সি নম্বর চেঞ্জ করা যাবে না। তখন বলাইদার ১৬ নম্বর জার্সিটা পরেই মাঠে নেমে পড়ি।’ একটু থেমে জুড়লেন, ‘সেই ম্যাচে আমার গোলে দল জেতে। ওই ম্যাচের পর থেকে বিএনআরে প্রথম একাদশে আমার জায়গা পাকা। মা বলেছিলেন, ১৬ নম্বর জার্সিটা তোর কাছে লাকি। যত দিন খেলবি, এটা পরেই খেলিস"।
মোহনবাগানের ‘বিখ্যাত’ ১৬ নম্বর জার্সি। জাতীয় দলেও ১৬। শুধু কী জার্সি। প্রাক্তন ফুটবলারের গল্ফগ্রিনের পুরনো ফ্ল্যাট নম্বর, টেলিফোন নম্বর থেকে গাড়ির নম্বর—১৬ থাকা চাই। ১৬ বছর পর মোহনবাগান ‘রত্ন’ পাচ্ছেন সুব্রত। সরকারি ঘোষণার পরের দিন সকালে ভবানীপুর তাঁবুতে বসে ‘১৬ নম্বর রহস্য’ ফাঁস করলেন স্বয়ং জার্সির মালিক। সালটা ’৭১। বিএনআরে সই করার পর সাধারণত ২ বা ৩ নম্বর জার্সি পরে অরুণ ঘোষের সঙ্গী হয়ে রক্ষণে খেলতেন। তার বছর দুই পরে সই করেন বলাই চক্রবর্তী। তিনি আসার পর কোচ তুলসীদাস বলরামের কোচিংয়ে প্রথম একাদশে জায়গা হত না সুব্রতর। কিন্তু কলকাতা লিগে পোর্ট ট্রাস্টের কাছে ম্যাচ হারায় ভীষণ রাগারাগি করেন কর্তা পশুপতি ভট্টাচার্য। বলেন, পরের ম্যাচে যেন বাবলুকে প্রথম একাদশে রাখা হয়। যথারীতি পরের ম্যাচে বলরামের প্রথম দলে ছিলেন না সুব্রত। ম্যাচ শুরুর আগে পশুপতি টিম লিস্ট দেখে রেগে লাল। তারপর কী হল? শুনুন সুব্রতর মুখে— ‘পশুপতিদা যখন এসেছেন, ততক্ষণে টিম লিস্ট জমা পড়ে গেছে। জার্সি নম্বর চেঞ্জ করা যাবে না। তখন বলাইদার ১৬ নম্বর জার্সিটা পরেই মাঠে নেমে পড়ি।’ একটু থেমে জুড়লেন, ‘সেই ম্যাচে আমার গোলে দল জেতে। ওই ম্যাচের পর থেকে বিএনআরে প্রথম একাদশে আমার জায়গা পাকা। মা বলেছিলেন, ১৬ নম্বর জার্সিটা তোর কাছে লাকি। যত দিন খেলবি, এটা পরেই খেলিস"।
বাগানে অনেক রথী–মহারথী খেলেছেন। কিন্তু বাগান
সমর্থকদের মনের মণিকোঠায় আদরের বাবলুর স্থানটা অন্য জায়গায় (ঠিক যেন ‘রত্নের’ মতোই)। তাঁর ব্যক্তিত্বই যেন মানুষকে
আরও কাছে টেনে আনে। স্পষ্টবক্তা। মুখের ওপর সাদাকে সাদা,
কালোকে কালো বলার ক্ষমতা রাখেন। প্রিয় ক্লাবের ভালর জন্য অনেক সময়ই ‘বিদ্রোহী’ হয়ে উঠে বিতর্কে জড়িয়েছেন। আজ সমস্ত কিছু
ভুলে গিয়ে ‘রত্ন’ পাওয়ার আনন্দে মশগুল।
সকাল থেকে অভিনন্দনের জোয়ার আছড়ে পড়ছে মোবাইলটিতে। আর বাবলু এদিন খোশমেজাজে।
প্র্যাকটিসের পর ভবানীপুর তাঁবুতে বসে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে গুনগুন করে গেয়ে
উঠছিলেন মান্না দে–র গান, কখনও আবার
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের কবিতা। এরই মাঝে কেক কেটে কোচকে ‘সারপ্রাইজ’
দিয়ে গেলেন ভবানীপুরের ফুটবলাররা। সময়–সুযোগ
পেলেই কবিতা লেখেন সুব্রত। ঘনিষ্ঠ মহল বা যাঁরা গল্ফগ্রিনের বাড়িতে গেছেন তাঁরা
জানেন, সুব্রতর ডায়েরি লেখার অভ্যাস রয়েছে। তাতে রোজকার সুখ–দুঃখ, হাসি–কান্নার নানান
কাহিনী লেখা রয়েছে। ছেলে সাহেব ভট্টচার্যের পরামর্শে বাড়ির এক তলার ড্রয়িং রুমে
বিশাল একটি ট্রফি ক্যাবিনেট বানিয়েছেন। দেখার মতো। সেখানে রাখা রয়েছে কেরিয়ারের সব
ট্রফি, শংসাপত্র। দেওয়ালে বিখ্যাত ব্যক্তি থেকে প্রাক্তন
তারকা বিদেশি ফুটবলারদের পাশে দাঁড়িয়ে তোলা ছবি টাঙানো। আরেক দিকের দেওয়ালে রয়েছে
রাষ্ট্রপতির হাত থেকে ‘অর্জুন পুরস্কার’ নেওয়ার ছবি। সেখানে ‘বাগান রত্ন’ কি থাকবে সবার ওপরে? হাসছেন বাবলু। ‘অবশ্যই। অর্জুনের থেকেও আমার কাছে বড় মোহনবাগান রত্ন। দীর্ঘ ১৭ বছর যে ক্লাবের হয়ে জানপ্রাণ
লড়িয়ে দিয়েছি, সেই ক্লাবের কাছ থেকে স্বীকৃতি
পাওয়ার অনুভূতিই আলাদা।’ এরকম খুশির দিনে সুব্রতর বারবার মনে
পড়ছে প্রাক্তন সতীর্থ মহম্মদ হাবিবের কথা। ‘রত্ন’ সম্মানটা উৎসর্গ করছেন হাবিবকেই। ‘হাবিবদা না থাকলে
সুব্রত ভট্টাচার্য, সুব্রত ভট্টাচার্য হত না। দারুণ গাইড
করতেন। সতীর্থ নয়, ছিলেন একজন অভিভাবক।’ পুরনো দিনের গল্প প্রসঙ্গে উঠে তাঁর জীবনের সেরা স্মৃতি? বলেন, ’৬৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বরের পর থেকে মোহনবাগান
আর ইস্টবেঙ্গলকে হারাতে পারেনি। তারপর ’৭৫–এর ৬ জানুয়ারি হারালাম ওদের। দীর্ঘ ৬ বছর পর দিল্লিতে ডুরান্ড ফাইনালের বড়
ম্যাচে প্রথম খেলেছিলাম। ওই ম্যাচ জেতার স্মৃতি সারা জীবন মনে রাখব।”
নস্টালজিয়ার
ঘোর কাটিয়ে, যে কোলকাতা লিগ জয় নিয়ে মাতোয়ারা হওয়ার ছিল, সেই চ্যাপ্টারেই ফেরত
যাই। এবাবের লিগে এখনও পর্যন্ত সবুজ-মেরুনের পালতোলা নৌকা একবারের জন্যও টলমল
হয়নি। ১১টা ম্যাচের একটা এখনও বাকি। সেটা জিতে গেলে, অপরাজিত থেকে লিগ জয়ের
আনন্দটায় ষোলোকলা পূর্ণ হবে। কোন একজন কর্মকর্তার অবিবেচক মন্তব্যে আর কিছু
ফ্যানের অত্যুতসাহী অশ্লীল উন্মাদনাটাই কিন্তু সমগ্র মোহনবাগান নয়।শিল্টন, অবিনাশ,
ডিকাদের লড়াই আর উত্তরের দার্জিলিং থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকা মোহনবাগান
প্রেমী মানুষের ভালবাসাটাই আসল মহনবাগান।আপাতত সেই বাগানে অনেকদিন না ফোটা একটা
ফুলের গুলশন আর মৌতাত ছড়িয়ে আছে। তবে সামনে আই লিগ। লড়াই এখনও বাকি।
রবি
ঠাকুর মেনে নিয়ে ছিলেন তাই লিখেছিলেন-
“আহা এতকাল কেউ বুঝিতে পারিনি
এই ছেলেরা সেরা
সবার সেরা
মোহনবাগান শানিতপরান
ব্রিটিশ মহিমা ভাঙে খানখান
মুক্তি বাহিনী রচিল কাহিনী
স্বপ্নে ঘেরা
আহা কি মধুর শীল্ড হাতে এই
তাঁবুতে ফেরা
Sibadasera . "
It is wrong to say that everyone has accepted the name of Robi Thakur, and some people are ashamed to accept it, lest they forget to win the title. Let's go, just wish to continue with the success and tradition of success. So the last one
"Everyone thrives on the green maroon song
I can not stop my Mohabbagan in the blood
We have a disadvantaged family
Green peacock color in blood, I do not know how to return to life
We are proud of India, we are proud "
No comments:
Post a Comment