- আমি তোকে কতক্ষণ ধরে
একটা কথা বলছি! পাত্তাই দিলি না!
- তখন থেকে ঘ্যানঘ্যান করে যাচ্ছিস
কেন বল তো! হয়েছেটা কি?
- চল না সৌম্য ঠাকুর দেখতে যাই!
- উফফফ! এই নিয়ে বার কুড়ি কথাটা বললি তুই।
- আর তুই বার কুড়িই পাত্তা দিলি না।
- আচ্ছা
পিউ ক'টা বাজে দেখ তো ঘড়িতে?
- মোটে
পৌনে একটা।
- মোটে?
- হুঁ
পুজোর শহরে তাও সপ্তমীর রাতে এটা কিছুই না! চল না সৌম্য...চল না!
- তুই
ফোনটা রাখ। রেখে ঘুমো। আমারও ঘুম পাচ্ছে।
- এমনি
করছিস তো?
- আচ্ছা। ঘুমোবি
না তো?
- না।
- ঠিক
আছে।তাহলে দরজাটা খোল।
- মানে?
- মানে
মেন দরজাটা খুলে নিচে নেমে আয়। আমি তোদের ফ্ল্যাটের তলায়
দাঁড়িয়ে আছি বাইক নিয়ে। ঠাকুর দেখতে যাব।
- মানে!! অ্যাই
সৌম্য! আমি তো
ইয়ার্কি মারছিলাম।
- বাট আই
অ্যাম সিরিয়াস। জলদি আয়। মশা কামড়াচ্ছে। পাঁচ মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে আছি।
- মানে
তুই এতক্ষণ ফোনে নাটক করছিলি? গালাগালি দিয়ে ভূত ভাগিয়ে
দেব তোমার বুঝেছো তো?
- আচ্ছা
আচ্ছা গালাগালি পরে দিবি। আপাতত হে আমার ভবিষ্যত প্রজন্মের ধারিণী, হে আমার হবু অর্ধাঙ্গিনী দয়া করিয়া গাত্রোত্থান করিয়া আপনার বাটীর
বাহিরে পদার্পণ করিয়া আমাকে বাধিত করুন।আমি অপেক্ষারত।
- শয়তানের
গাছ একটা! আসছি আমি!
- একটা
চাদর নিয়ে আসিস পিউ। হালকা হিম পরছে।
- উমমম একটাই
চাদর আনব কিন্তু। তুই আমি..
- তুই
আসবি শয়তানি???? মশা কামড়াচ্ছে তো!!!!
- উফফ
আসছি আসছি দাঁড়া.....
No comments:
Post a Comment