ঈশিতা মারিকের কয়েকটি লেখা
একরাশ ভালোবাসার সাথে কয়েকশত নয়নতারা ফুল তোকে দিতে পারি, আরও চাইলে আমার ছাদের ওপরের ওই যে আকাশটা,
তার সবকটা তাঁরার আলো গুলোও তোকে দিতে পারি,রাত জাগা ঘুমের মাঝে কিংবা 25টা কাজের মাঝেও ভর দুপুরে আমি তোকে রিপ্লাই করি বেশ করি,তোকে ভালবাসার জন্য আমার কোন কারণ খুজঁতেও ইচ্ছে করেনা।ভালটাবাসি কেন জানিনা।
বিশ্বাস কর তোর প্রেম দীর্ঘমেয়াদি কিনা আমার জানা নেই তবে আমার ভালবাসার দরুন তোর থেকে অধিকার চাই না। ভীষনরকম দম বন্ধ হওয়া দক্ষিনের জানলাটা এবার খুলে দেব আর অপেক্ষায় থাকবনা।
______________________________
কে বলেছে সম্পর্ক শুধু মানুষে মানুষে হয়?
রোজ বেরোবার পথে,
আশা যাওয়ার মাঝে
মোড়ের মাথায় যে বট গাছটা,
ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে,
আর মনে মনে বলে, 'সাক্ষী আছি তোর অসাবধানে লেখা ফেলে দেওয়া চিঠিগুলোর'।
কতবার বাবার ভয়ে কুঁচকানো চিরকুট গুল দূরে চৌরাস্তায় ফেলে এসেছি।
সে চিরকুটে হতবাক হয়ে লেখা আছে,আমার তোকে না বলা অবাস্তব চাওয়াপাওয়ার কথা।
তবে পাঁচশতবার তার সাক্ষী রয়েছে বটগাছটা
বারবার আমার চোখের দিকে তাকায় আর মুচকি হেঁসে বলে 'তোর হারিয়ে যাওয়া খামখেয়ালি অলিক স্বপ্নের ভাবগুল সব জমা আছে আমার বুকে'।
______________________________
#আনকাট Luxury
আচ্ছা সেই স্মৃতিগুলোকে মনে আছে? আরে ঐ যে তখন জানলার ধারে বসে নীল আকাশের দিকে তাকালেই এক একজন ঠাকুর আপনার যাবতীয় প্রশ্নাবলীর উত্তর দিতেন, কি ! মনে পরছেনাতো??
আচ্ছা বেশ তাহলে সেই ছোটবেলায় মেঘগুলোকে কখনও বুড়োদাদুর দাড়ি বলে মনে হয়নি ?!? কিংবা জমে থাকা বুড়ীর চুল বা সান্টাক্লসের দাড়ি !! আমার তো আরও সব হিজিবিজি কত কি মনে হয়েছে।
এইসব চকোলেটের রাঙতায় মোড়া স্মৃতিগুলোকে মনে করলেই ঝোলা থেকে আরও অনেক কিছু বেরোয় এই যেমন; তখন হলুদ,সবুজ, গোলাপী, রঙের মৌড়ি লজেন্স ,সাদা চিনির ডেলার লম্বা মিথ্যে মিথ্যে সিগারেট, লাল, হলুদ, সবুজ প্লাসটিকে মোড়া জ্যাম জেলি,একটাকার সবুজ প্লাস্টিক বল আর একটা নটরাজ পেন্সিল,একটা রবার এই ছিল আমার নিত্য দিনের আমোদ।
তখন বলতে মনে পরল তখন হয়ত ক্লাস ওয়ান - এও পরিনা তাই আবছা আবছা মনে আছে, রোজ সন্ধ্যে পড়ার শেষে বাপি রোজ একটা করে সবুজ প্লাস্টিক-এর বল দিত আর অগত্যা রোজ সেটা উপরেরে বারান্দা থেকে নীচের শ্যাওলামাখা উঠোনে না পরা অব্দি খেলা চলতে থাকত,তখন বাড়িতে কথা বলার আর খেলার সাথী বলতে জিমি,তিতু,মিঠু, টিটু আর দু-খানা চন্দনা একটা ময়না ছিল, বাপির কাছে জিমি খুব আদরের ছিল জিমিকে স্নান করিয়ে, খাইয়ে তবেই বাপি স্নান খাওয়া করত ,জিমিকে আজও মিস করি ।
সেই সময়টা আমার জীবনের সোনালি সময় ছিল কিনা জানিনা তবে এটা খুব জানি, স্কুল ফেরত লাল তুলো আর দেরি করে বাড়ি ফেরা, সে ছিল বিশ্ব ঘোরার আনন্দ।আর পরীক্ষার পর বাপির দেওয়া James -এর প্যাকেট , একটা Dairy milk এগুলো ছিল আনন্দের বোনাস,রবিবারের মাংস হলে তাড়াতাড়ি খিদে পেয়ে যাওয়া ,একটু বেশী করে ভাত খাওয়া, শেষ পাতে মাংসের তেল লেগে থাকা আঙুল দিয়ে কাঁচা স্যালাড খাওয়া তারপর সারা দুপুর ফলের বদলে জলজিরা চেটেপুটে খাওয়া,সে ছিল এক অনবদ্য স্বাদ।বিকেল বেলায় বাড়ির রকে কুমির ডাঙা খেলা , সন্ধ্যে বেলায় দুঃখ মনে পড়তে বসা, গরমের ছুটিতে বাড়িতে বসে Home work করা,মায়ের শাড়ি,গামছা, ওড়না নিয়ে সাজ সাজ খেলা।এরপর তো ভাই আসার পরে দুষ্টুমি বলতে ,ভাইয়ের অন্ন প্রাশনের আগে মাকে লুকিয়ে ভাইকে ভাত,মাছ খাওয়ান,তারপর সারা দুপুর বাড়ির এই ছাদ, ঐ ছাদ, পাঁচিল ভাঙ্গা ছাদ, চিলে কোঠার ছাদে একা একা প্রদক্ষিণ করতাম । এসবই ছিল সে সময়ের লাক্সারি আর চাওয়াগুলোও ঐটুকুতেই সীমাবদ্ধ ছিল, লোডশেরিং এর অন্ধকারেতে কুমির ডাঙা খেলাই ছিল সেই জীবনের RGB.....।
কিন্তু আজ তো মোবাইল,ল্যাপটপের ডিজিটাল স্ক্রিনে জীবন আটকে তবুও জীবনটা সেই ঘসা কাঁচে চোখ রাখা সাদা কালোতেই সীমাবদ্ধ।
______________________________
একরাশ ভালোবাসার সাথে কয়েকশত
নয়নতারা ফুল তোকে দিতে পারি, আরও চাইলে আমার ছাদের ওপরের ওই যে আকাশটা,
তার সবকটা তাঁরার আলো গুলোও তোকে দিতে পারি,রাত জাগা ঘুমের মাঝে কিংবা ২৫টা কাজের মাঝেও ভর দুপুরে আমি তোকে রিপ্লাই করি বেশ করি,তোকে ভালবাসার জন্য আমার কোন কারণ খুজঁতেও ইচ্ছে করেনা।ভালটাবাসি কেন জানিনা।
বিশ্বাস কর তোর প্রেম দীর্ঘমেয়াদি কিনা আমার জানা নেই তবে আমার ভালবাসার দরুন তোর থেকে অধিকার চাই না। ভীষন রকম দম বন্ধ হওয়া দক্ষিনের জানলাটা এবার খুলে দেব আর অপেক্ষায় থাকবনা।
তার সবকটা তাঁরার আলো গুলোও তোকে দিতে পারি,রাত জাগা ঘুমের মাঝে কিংবা ২৫টা কাজের মাঝেও ভর দুপুরে আমি তোকে রিপ্লাই করি বেশ করি,তোকে ভালবাসার জন্য আমার কোন কারণ খুজঁতেও ইচ্ছে করেনা।ভালটাবাসি কেন জানিনা।
বিশ্বাস কর তোর প্রেম দীর্ঘমেয়াদি কিনা আমার জানা নেই তবে আমার ভালবাসার দরুন তোর থেকে অধিকার চাই না। ভীষন রকম দম বন্ধ হওয়া দক্ষিনের জানলাটা এবার খুলে দেব আর অপেক্ষায় থাকবনা।