ব্রাজিল-১ (কৌটিনহো)
সুইজারল্যান্ড-১ (জুবের)
আজ বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি ছিল গ্রূপ-'ই' থেকে পাঁচবারের বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিল এবং ইউরোপীয়ান ফুটবলের অন্যতম শক্তি সুইজারল্যান্ড। খেলা শুরুর প্রথম থেকেই ব্রাজিলের আক্রমণভাগের খেলোয়ারদের মধ্যে বোঝাপড়া দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠে। পাউলিনহো-কৌটিনহো-উইলিয়ান-নেইমার-জেসাসদের নিয়ে গড়া আক্রমণভাগের মুহুর্মুহু আক্রমণ সত্ত্বেও রক্ষণ সামলে পাল্টা প্রত্যাঘাতের রাস্তায় হাঁটা শুরু করে বিশ্বকাপের মঞ্চে ব্রাজিলের বরাবরের শক্ত গাঁট সুইসরা। এসময় অভিজ্ঞ থিয়াগো সিলভার নেতৃত্বে ব্রাজিল ডিফেন্স ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠলে মাত্র ২০ মিনিটের মাথায় কাউন্টার নির্ভর ফুটবল থেকে ব্রাজিল ক্যাপ্টেন মার্সেলোর ক্রস সুইস ডিফেন্ডার হেড-এ বের করে দিলে বল সোজা চলে যায় বক্সের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা কৌটিনহোর কাছে। দূরপাল্লার জোরালো শটে অসাধারণ গোল করে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন কৌটিনহো।
কৌটিনহোর গোলটিকে এক কথায় 'ইন্ডিভিজুয়াল ব্রিলিয়ান্স'ও বলা যায়। গোল পাবার পর থেকেই একটু একটু করে খেলা থেকে হারিয়ে যেতে শুরু করেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলাররা। এক্ষেত্রে অবশ্য কৃতিত্ব প্রাপ্য সুইজারল্যান্ডের। তাদের দলগত সংহতি, অনুশাসন এবং শেপ ব্রাজিল খেলোয়াড়দের ছন্নছাড়া করে দেয়। ব্রাজিল দলের মূল ভরসা নেইমারকে ম্যান মার্কিংয়ে রেখে কড়া ট্যাকেলেও যেতে পিছপা হয়নি বেহরামি-লিস্টেসটেইনাররা। আক্রমণের সময় ব্রাজিলের প্রায় সমস্ত খেলোয়ার উপরে উঠে এলে কাউন্টার নির্ভর ফুটবলের ওপর ভিত্তি করে শাকিরী-জাকা-সেফেরোভিচরা ব্রাজিল ডিফেন্স কাঁপুনি ধরিয়ে দিতে সমর্থ হয়। এরই ফলস্বরূপ দ্বিতীয়ার্ধের একদম শুরুতে ৫০ মিনিটের মাথায় হেডে বল জালে জড়িয়ে গোলশোধ করেন স্টিভেন জুবের।
অবশেষে ১-১ গোলে অমীমাংসিতভাবে ম্যাচ শেষে করে দুই দলকেই এক পয়েন্ট সংগ্রহ করে সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
No comments:
Post a Comment