মেয়েটা দু'চোখে অজস্র আহত বিরক্তি নিয়ে রোজ দেখে
তার
মার ঘরে "খদ্দের" নামে কত গুলি লোক আসে।
সে ভাবে কেন ওই লোক গুলির মা-বাবা ওই লোক গুলির
নাম "খদ্দের" রাখে??
কেন মা "খদ্দের" নামক পুরুষ এলেই মিছে
ঘুম পাড়িয়ে তাকে অন্য ঘরে ডুবিয়ে রাখে?
সে জানে খদ্দের আসে দোকানদারের কাছে।
তবে কী তার মা দোকানী?
তাদের তো দোকান নেই।
তবে মা কী বেচে?
মা খদ্দেরের সঙ্গে কী সব কথা বলে।
কেন মা মাঝে মাঝে শিউরে ওঠে, চিৎকার করে?
সে চায় মার যন্ত্রনা মেটাতে,আদর করতে।
কেন মা স্বেচ্ছায় যন্ত্রনা নেয়,কেন তার আদর
অন্যেরা লোটে?
কখনো সে ভাবে সত্যিই মা দোকানী
মার এমন কিছু "জমানো" আছে যা মা রাতের
অন্ধকারে, আমার স্তব্ধ গাল ভেজা কান্নার আড়ালে বেচে।
কান্নায় তলিয়ে কখন যে সে নুইয়ে পড়ে ,
সকালে ভেসে দেখে তার(দোকানী) মা তার বুকের কাছেই
আছে ....
প্রতি রাতে তার শৈশব মরে,
রোজ সকালে তার বয়স বাড়ে!!
সময়ের উত্তাপে অঙ্কুরিত হয় বহ্নিবীজ
শরীরের আনাচে-কানাচে !!
কৈশরেরই সে যৌবন সাঁতরেছে।
দেখেছে আগুনে আগুন পুড়তে।
সামাজিক ভদ্রতা তাই তাকে সংকীর্ণতায়
রূদ্ধ করে রাখে।
মার সাজানো আগুনেই "খদ্দের" সাঁতরায়
এখন তার দেহে।
এখন আর তার বুঝতে অসুবিধা হয় না,
মা যা বেচতো, মার টাঙানো ছবির নিচে
সে তা'ই বেচে.....!!!
No comments:
Post a Comment