ধর্ষণ হলে প্রত্যেকের কলম গর্জে ওঠে। কবিরা কবিতা লেখেন,গল্পকার রা সমালোচনা করেন,বুদ্ধিজীবীরা করেন মোমবাতি মিছিল। যাদবপুরে অনশন হলে পাতায় পাতায় ছেয়ে যায় "হোক কলরব"।
তাহলে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কি দোষ করলো? তাদের দাবী কি সত্যিই খুব অন্যায্য? এখন একজন ডাক্তার ভুল চিকিৎসা করলে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ি, খবর ভাইরাল করি কিন্তু এই আঠেরো উনিশ বছরের ছেলেগুলো যাদের মধ্যে কেউ কেউ হয়তো সত্যিকারের মানুষরূপী ডাক্তার হয়ে উঠতে পারে তাদের আমরা কি মানবিকতা শেখাচ্ছি বলতে পারেন?
এরাই ভবিষ্যতে মানুষকে গরু ছাগল ভেবে কাটবে। কেন কাটবে না বলুন তো? এদেরকেও আমরা সেই শিক্ষাটুকুই তো দিতে পারছি। প্রথম বর্ষ পেরিয়ে গেলেই তাদের স্থান বারান্দায়। কারোর হোস্টেলের ঘরের ছাদ নাকি ভেঙে পড়ছে। এই আমাদের মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র আবাসনের পরিকাঠামো। এরকম জায়গা থেকে ছাত্র রা কি শিখবে?
পয়সা কি করে কামাতে হয় শুধু সেটাই শিখবে। প্রাইভেট নার্সিং হোমের ব্যবসা চালাবে। আমরাই তো হাতেখড়ি করে দিচ্ছি তাদের , তাই না? দুমাস অধ্যক্ষ হয়ে এসেছেন বলে কি দায়িত্ব এড়ানো যায়? তাহলে তো সেই পদ গ্রহণ করাই উচিত নয়। অসুস্থ হয়ে এডমিট হওয়া কি শুধুমাত্র এই প্রতিকূল অবস্থা থেকে নিজের কাঁধ বাঁচানোর অভিনব উপায় মাত্র?জানিনা কাল অনিকেত আর তার সঙ্গীরা আবার ভোরের সূর্য দেখবে কিনা,জানিনা বাচ্চা ছেলেটা আরো কতদিন লড়বে আর আমরা পেজে ট্রল করবো এইসব ছেলেকে বিয়ে করলে মেয়েদের রান্না করতে হবে না, জানিনা আর কতদিন আমরা এইসব বলে নিজেদের দায় ঝেড়ে ফেলবো যে সব পপুলারিটি হওয়ার জন্য নাটক বা কোনো রাজনৈতিক চাল...সত্যিই জানিনা আর কতদিন ঘরে বসে আহা উঁহু করবো।
বিপুল জনসংখ্যার কলকাতার বুকে কি মানুষের ঢল নামতে পারে না? সবাই ওদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে পারেনা?মানবিকতা বোধ মূল্যবোধ সব কি হারিয়ে গেছে কলকাতার বুক থেকে?
তোদের কাউকে চিনিনা,জানিনা। যেটুকু শুনেছি যেটুকু জেনেছি ফেসবুকের পাতায়....তবু তোদের জন্য অনিকেত জোর গলায় বলছি(এছাড়া আর কীই বা করতে পারি),
"হোক কলরব"
#পাশে_আছি_অনিকেত
No comments:
Post a Comment