নিজেকে অ্যাফ্রোদিতে
হিসেবে ভাবতে গিয়ে রাত বেড়ে যায়। ঘুমিয়ে পড়লে ঘুমন্ত
ছায়ার পাশে এসে দাঁড়ায় পোসাইডন আর কিউপিড। বয়সের সীমা পেড়িয়ে এপিটাফের গালে
একা একা বেড়ে ওঠে পোড়া ধূপের চুমু! অশীতিপর
বন্ধুতা ততক্ষনে ব্যাক-টু-প্যাভিলিয়ান, জন্মদাগের মতো
সেঁটে থাকে এই শহরের তাড়া খাওয়া হরিণীর মতো ছুটন্ত মানুষের দল।বেয়োনেটে ঝুলে ধোঁয়াটে বিকেল।
আমার জমানো পুঁজি
দিয়ে কিনে আনা কৃত্রিম আঁধার এক্সিট নেয় আপাতত। আর পালিয়ে যাওয়া প্রেমিক
কিংবা প্রেমিকার প্রস্থানদৃশ্যে সহ্য ক্ষমতা আরও মোহময়। ফরমালিনমুক্ত প্রেম উড়ে গেছে অনেকদিন। মাধ্যাকর্ষণ জুড়ে পাগলের প্রলাপ। নির্দ্বিধায় একটা
ডাইভার্সিটি ভোর সাজিয়ে রাখি ড্রয়িং রুমে। দূরের বিলবোর্ড ঢেকে থাকে কুয়াশায়। তোমার লিংকের সাথে মেলাতে গিয়ে তাল কেটে যায়
ঢেউয়ের। এভাবে কাগজের
এরোপ্লেন উড়ে যায় একা। মহড়ার পর মহড়া দিয়ে চলি সারা দিন।
স্বপ্নে দেখি মন্ট্রিয়ল
গির্জার দরজা খুলে গেছে।পংক্তির ভাঁজে কেউ লুকিয়ে রাখে
অবিশ্বাস। বিধ্বস্ত জলের
গেলাসে পোড়া গন্ধের দুপুর ঘোলাটে হয়ে এলে বুঝে যাই, আপাতত এটুকুই।
ঈশ্বর চুপচাপ। তাহলে ঈশ্বরের হাতের ভেতর এত চিৎকার কেন! অথচ অচেনা মানুষ এক সমুদ্র দূরত্ব বহন করে। আজীবন। একা। আর সব রাশিয়ান রূপকথার বই নেমে আসে তাক থেকে।
No comments:
Post a Comment