কী চেয়েছিলাম?
মা-বাবার ধারণার মতো সরলতম
পৃথিবী।
ভালোবাসা চেয়েছিলাম শান্ত নিরিবিলি একটা ঝিলের মতো।
প্রচুর অন্যায় করতে করতে,
প্রচুর ভুল করতে করতে, কবিতা আর কল্পনার প্ররোচনায়-যত্নে বড়ো হয়ে উঠেছিলাম আমি। আর
ম্যাজিক ছিল আমার জন্মগত ব্যাধি আরোগ্যবিহীন। চারপাশের সবাই যা মেনে নিয়েছিল, তা আমার
কাছে হাজির হয়েছিল জটিলতা হয়ে, একটা আঠালো প্যাঁচালো পরিস্থিতি হয়ে!
নারী আর পুরুষের
ভিড়ে নিজেকে মনে হয় উভলিঙ্গ গুটিপোকার দুভাগের একভাগ। আমি ছটফট করেছি বাকি অর্ধেককে
খুঁজে না পাওয়ার নির্মম অন্ধকারে। আমি খুঁজে পেয়েছি। হারিয়ে ফেলেছি। আবার পেয়েছি। একদিন
একটা দল তৈরি হয়েছিল আমাদের। বন্ধুত্বের স্বচ্ছ উন্মাদনায় হিমসিম খাচ্ছিলাম আমরা। কী
স্বাভাবিক সৎ প্রতিক্রিয়ায় আমরা মুখর ছিলাম! সেই ঐন্দ্রজালিক পর্দা যে স'রে যাবে একদিন,
জানতাম না অনেকেই! আমি ভুল ভেবেছিলাম। ভুলভাবে চিনেছিলাম স্বপ্নের রহস্যময় অবয়ব, ভাষা,
মানবিক মনস্তত্ব। মুশকিলে পড়েছে আমার ঘটমান।
আমি কীভাবে আমার স্বাভাবিকতাকে মেলাবো
পৃথিবীর সময়প্রবাহের সাথে। পরস্পরকে আমরা ভালোবাসি পাগলের মতো। অথচ পৃথিবীর মানুষজন
আর তাদের আচার আচরণকে উপভোগ ও ব্যাখ্যার দৃষ্টিকোণ জন্ম দিয়েছে দূরত্ব, যেখানে খেলে
বেড়াতে পারে আবহমান হাহাকার। উদারতার মুখোশে চারপাশে ঘটে চলেছে কামের অন্তঃসারশূন্য
কারবার, যা পিতৃতন্ত্রকে দিয়েছে শৈল্পিক স্বার্থপরতা ও বিশ্বাসঘাতকতার সু্যোগ। ভালোবাসা
অ্যাতো গভীর, কেউ আর ঝুঁকি নেয় নি ডুবে যাওয়ার।
অপূর্ব রহস্য ময় নির্ভেজাল সত্যি কথা
ReplyDelete