আদ্যপান্ত একটি মিষ্টি প্রেমের গল্প.. দেখতে দেখতে
কখনো সেই পুরনো 'Kayamat Se Kayamat Tak' বা 'Dil' অথবা কয়েক বছর আগে বাংলার
'চিরদিনই তুমি যে আমার' ছবিগুলোর কথা মনে পড়তে পারে..।
নায়ক ঈশান খট্টর-এর মুখ আর অভিনয় দেখে দাদা শহীদ
কাপুরের যোগ্য ভাই বলে মনে হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঈশান নিজের দাদার ডেবিউ ছবির
থেকে অনেকটাই এগিয়ে আছে..
তবে আগামীদিনে এরকম দুষ্টু মিষ্টি পাশের বাড়ির ছেলের
মতো look নিয়ে বলিউডের larger than life এর তথাকথিত কোনো গল্পে নিজেকে কতোটা fit
করতে পারবে সেটা বোঝা মুশকিল..!
নায়িকা জান্হবী কাপুর ইতিমধ্যেই যথেষ্ঠ চর্চায়..
শ্রীদেবী জী বেঁচে থাকলে কি হতো জানি না তবে উনি চলে গিয়ে বোধহয় বেশ লম্বা একটা
ইনিংস পর্যন্ত দর্শকদের কাছে , মেয়েটিকে নিজের সাথে তুলনামূলক জায়গায় দাঁড়িয়ে
দিলেন..! তবে মায়ের সাথে তুলনা না করেই বলছি.. প্রথম ছবি হিসেবে একেবারেও খারাপ
নয়..! অনেক বলিউডি হিরোইনই ডেবিউ করার পর বলিউডের দৌড়ে টিকে থাকতে গিয়ে যেমন
নিজেকে ঘষেমেজে তৈরী করে নিয়েছেন..তেমনভাবে লেগে থাকলে এই মেয়েও এমন কিছু পিছিয়ে
থাকবে না আশা করি..।
ছবি জুড়ে অনেক নতুন মুখ বা স্বল্প চেনা
মুখ..প্রত্যেকেই কম বেশী মিলিয়ে খারাপ না।
ওদিকে আশুতোষ রানা আর এদিকে খরাজ মুখোপাধ্যায়.. এঁরা
নিজগুণে এখন কিছু বলার উর্ধে..!
ছবির কিছু কিছু ডায়লগ তো ইতিমধ্যেই হিট..হিন্দি ছবি
দেখতে গিয়ে বাঙালি হয়ে মাঝে মাঝে বাংলা কথা শুনতে বেশ লাগে..! গানগুলোও মন্দ নয় ।
বাকি ছবির দৃশ্যায়ন উদয়পুর এবং কলকাতা মিলিয়ে খারাপ
নয়..এবং কলকাতা মানেই যে শুধু আটপৌরে শাড়ি, হাওড়া ব্রিজ এবং ভিক্টোরিয়া নয়..
এখানে মানুষ কাজ করে, খায়, এবং ভরপুর জীবন যাপন করে বাঁচে সেটুকু দেখানোর জন্য
পরিচালক মশাইকে ধন্যবাদ।
পরিশেষে বলা যায়, আদতে কণ্ণড় ছবি থেকে নেওয়া হলেও
মিষ্টি প্রেম এবং শেষে honor killing এর মতো বিষয় নিয়ে গল্প দেখতে মন্দ লাগে না..!
No comments:
Post a Comment